ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটায় কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গাঁ টাঙ্গাইল গোপালপুর পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই এই অনুষ্ঠান নওগাঁয় গ্রাম পুলিশের মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাপুরে ফ্লাইওভারের সাথে সংযুক্ত নির্মাণাধীন সিঁড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মসজিদে ঢুকে ছুরিকাঘাতের মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার জামালপুরে বিষমুক্ত কুমড়ার চাষ হচ্ছে নবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী সন্তানের মৃত্যু কিরাটন লাখপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মাস্টার আর নেই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র, জলজপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করুন পল্টন থানা মামলায় মনোহরদী উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাম্মির রহমান টিপু গ্রেফতার

ভাসানচরেও ইয়াবা কারবার চালু করেছে রোহিঙ্গারা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ভাসানচরে নতুন বসতি স্থাপন করা ৪ রোহিঙ্গা ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে। ১ হাজার, ২৩৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারে জড়িত রোহিঙ্গাকে আটক করতে করতে সক্ষম হয়েছে ভাসানচর থানা পুলিশ।

আটকরা পুলিশকে জানিয়েছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির থেকে ভাসানচরে আসার সময় নিজেদের জিনিসপত্রের মধ্যে করে এসব ইয়াবা নিয়ে এসেছিল তারা। গত ডিসেম্বর মাস থেকে ছয় দফায় সর্বমোট ১৭ হাজার ৯৯৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার। এর আগে গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। সব মিলে বর্তমানে এ দ্বীপটিতে এখন ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসতি করছে।

ভাসানচরে থাকা এক রোহিঙ্গা নেতা মুঠোফোনে জানান, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে মাদক কারবার, খুন, অপহরন, ধর্ষণসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছিল রোহিঙ্গারা। বলতে গেলে সেখানকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা ভেবেছিলাম ভাসানচরে এসে অন্তত শান্তিতে থাকতে পারব। কিন্তু এখানেও ইয়াবা পৌঁছে যাবার বিষয়টা আমাদের জন্য খুবই খারাপ লক্ষণ। ভাসানচরেও যদি এই মাদক ব্যবসা অব্যাহত থাকে তাহলে উখিয়া-টেকনাফের ন্যায় এখানেও অশান্তি নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন টেকনাফের লেদা ডেভলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম। এই রোহিঙ্গা নেতা আরও বলেন, যারা সেখানে মাদক ব্যবসা চালুর চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের দ্বীপে নেয়ার সময় তাদের মালপত্রের ব্যাগগুলো তল্লাশী না করার কারনে মাদক কারবারে জড়িত রোহিঙ্গারা হয়ত সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। এ ব্যাপারে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৮ (এপিবিএন) এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান জানান উখিয়া-টেকনাফ শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরগামী রোহিঙ্গাদের প্রথমে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে এনে রাখা হয়। এরপর পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রামে জাহাজ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই সময় কাউকে তল্লাশি করা হয় না। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ার কারণে ভাসানচরকে কেন্দ্র করে নতুন কোন মাদকের রুট তৈরি হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের যে নেটওয়ার্ক আছে, তা পর্যবেক্ষন করলে ভাসানচরের চেয়ে বিচ্ছিন্ন এলাকায় মাদক পৌছাতে সক্ষম হবে।ইয়াবাসহ আটক রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাসানচরে কর্মরত (ওসি) মাহে আলম। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টের শেষে মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখের বেশী রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে সরকার।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটায় কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গাঁ

ভাসানচরেও ইয়াবা কারবার চালু করেছে রোহিঙ্গারা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ভাসানচরে নতুন বসতি স্থাপন করা ৪ রোহিঙ্গা ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে। ১ হাজার, ২৩৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারে জড়িত রোহিঙ্গাকে আটক করতে করতে সক্ষম হয়েছে ভাসানচর থানা পুলিশ।

আটকরা পুলিশকে জানিয়েছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির থেকে ভাসানচরে আসার সময় নিজেদের জিনিসপত্রের মধ্যে করে এসব ইয়াবা নিয়ে এসেছিল তারা। গত ডিসেম্বর মাস থেকে ছয় দফায় সর্বমোট ১৭ হাজার ৯৯৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার। এর আগে গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। সব মিলে বর্তমানে এ দ্বীপটিতে এখন ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসতি করছে।

ভাসানচরে থাকা এক রোহিঙ্গা নেতা মুঠোফোনে জানান, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে মাদক কারবার, খুন, অপহরন, ধর্ষণসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছিল রোহিঙ্গারা। বলতে গেলে সেখানকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোর পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা ভেবেছিলাম ভাসানচরে এসে অন্তত শান্তিতে থাকতে পারব। কিন্তু এখানেও ইয়াবা পৌঁছে যাবার বিষয়টা আমাদের জন্য খুবই খারাপ লক্ষণ। ভাসানচরেও যদি এই মাদক ব্যবসা অব্যাহত থাকে তাহলে উখিয়া-টেকনাফের ন্যায় এখানেও অশান্তি নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন টেকনাফের লেদা ডেভলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম। এই রোহিঙ্গা নেতা আরও বলেন, যারা সেখানে মাদক ব্যবসা চালুর চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের দ্বীপে নেয়ার সময় তাদের মালপত্রের ব্যাগগুলো তল্লাশী না করার কারনে মাদক কারবারে জড়িত রোহিঙ্গারা হয়ত সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে। এ ব্যাপারে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৮ (এপিবিএন) এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান জানান উখিয়া-টেকনাফ শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরগামী রোহিঙ্গাদের প্রথমে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে এনে রাখা হয়। এরপর পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে তাদের চট্টগ্রামে জাহাজ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই সময় কাউকে তল্লাশি করা হয় না। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ার কারণে ভাসানচরকে কেন্দ্র করে নতুন কোন মাদকের রুট তৈরি হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের যে নেটওয়ার্ক আছে, তা পর্যবেক্ষন করলে ভাসানচরের চেয়ে বিচ্ছিন্ন এলাকায় মাদক পৌছাতে সক্ষম হবে।ইয়াবাসহ আটক রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাসানচরে কর্মরত (ওসি) মাহে আলম। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টের শেষে মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগের ও তখনকার মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখের বেশী রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে সরকার।