ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মসিকের জোড়ালো বাজার মনিটরিং কার্যক্রম নেত্রকোণায় আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তায় বাজার মনিটরিং জকিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে তরুণী ধর্ষণ, মামলা তুলে নিতে হুমকি গাজীপুর মহানগর ১ নং ওয়ার্ডে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এর দাবীতে গন মিছিল চট্রগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাত দখল মুক্ত করল ডবলমুরিং থানা পুলিশ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩ নং ওয়ার্ড় কাউন্সিল আলহাজ্ব মোঃ সাইজ উদ্দিন মোল্লার পক্ষ থেকে জানাই রমজানে জনগণের সমস্যা নিরসনে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি (সিআইপি) মো. আমিনুল হক শামীমের এক আলোচনা সভা মুক্তিযুদ্ধ একদিকে যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তেমনই কেড়ে নিয়েছে বহু বুদ্ধিজীবী, আত্মার আত্মীয়দের৷ বহু নারী হয়েছেন স্বামী, সন্তান হারা৷ অনেকের কাছেই যুদ্ধের স্মৃতি হয়ে উঠেছে এক তমসাচ্ছন্ন রাত্রি৷ নীলফামারীতে জমি নিয়ে বিরোধ পাল্টা পাল্টি সংঘর্ষে আহত ১৩ ঝালকাঠিতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বিআরটিসি বাসের ধাক্কা,সুপারভাইজারসহ নিহত ২জন

মিয়ানমারের বাগো শহরে সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনের বেশি নিহত

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। খবরে বলা হচ্ছে, নিহতদের শরীর সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছে, এবং হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়ত কখনোই জানা যাবে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছিল এবং নড়াচড়া করে এমন যেকোন কিছুর ওপরই গুলি চালিয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সামরিক বাহিনী দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে। ইয়াঙ্গন শহরের কাছে বাগো শহরে এই সহিংসতা শুক্রবার ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে, কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছাতে পুরো একদিন লেগেছে।

কারণ শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।

সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজন ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “এটা গণহত্যার মতই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।”

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী এক বছর ব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি , তখন থেকে মিয়ানমার, যা বার্মা নামেও পরিচিত, জুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে যাতে দেশটির নেতা অং সান সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পুনঃনির্বাচিত হয় এবং সরকার গঠন করে। নির্বাচন কমিশন এই দাবি নাকচ করে আসছে।

শুক্রবার উৎখাত হওয়া সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র অবরোধ বা আর্মস এমবার্গো ও নো-ফ্লাই জোন করার মত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে ওই বৈঠকে আরো সতর্কতা দেয়া হয় যে মিয়ানমার, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে।ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রিচার্ড হোর্সে বলেছেন, সামরিক শাসনের ফলে দেশটিতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দেশটি শাসনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মসিকের জোড়ালো বাজার মনিটরিং কার্যক্রম

মিয়ানমারের বাগো শহরে সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনের বেশি নিহত

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। খবরে বলা হচ্ছে, নিহতদের শরীর সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছে, এবং হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়ত কখনোই জানা যাবে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছিল এবং নড়াচড়া করে এমন যেকোন কিছুর ওপরই গুলি চালিয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সামরিক বাহিনী দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে। ইয়াঙ্গন শহরের কাছে বাগো শহরে এই সহিংসতা শুক্রবার ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে, কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছাতে পুরো একদিন লেগেছে।

কারণ শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।

সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজন ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “এটা গণহত্যার মতই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।”

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী এক বছর ব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি , তখন থেকে মিয়ানমার, যা বার্মা নামেও পরিচিত, জুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে যাতে দেশটির নেতা অং সান সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পুনঃনির্বাচিত হয় এবং সরকার গঠন করে। নির্বাচন কমিশন এই দাবি নাকচ করে আসছে।

শুক্রবার উৎখাত হওয়া সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র অবরোধ বা আর্মস এমবার্গো ও নো-ফ্লাই জোন করার মত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে ওই বৈঠকে আরো সতর্কতা দেয়া হয় যে মিয়ানমার, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে।ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রিচার্ড হোর্সে বলেছেন, সামরিক শাসনের ফলে দেশটিতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দেশটি শাসনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা