ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’

মিয়ানমারের বাগো শহরে সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনের বেশি নিহত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। খবরে বলা হচ্ছে, নিহতদের শরীর সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছে, এবং হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়ত কখনোই জানা যাবে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছিল এবং নড়াচড়া করে এমন যেকোন কিছুর ওপরই গুলি চালিয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সামরিক বাহিনী দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে। ইয়াঙ্গন শহরের কাছে বাগো শহরে এই সহিংসতা শুক্রবার ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে, কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছাতে পুরো একদিন লেগেছে।

কারণ শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।

সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজন ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “এটা গণহত্যার মতই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।”

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী এক বছর ব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি , তখন থেকে মিয়ানমার, যা বার্মা নামেও পরিচিত, জুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে যাতে দেশটির নেতা অং সান সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পুনঃনির্বাচিত হয় এবং সরকার গঠন করে। নির্বাচন কমিশন এই দাবি নাকচ করে আসছে।

শুক্রবার উৎখাত হওয়া সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র অবরোধ বা আর্মস এমবার্গো ও নো-ফ্লাই জোন করার মত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে ওই বৈঠকে আরো সতর্কতা দেয়া হয় যে মিয়ানমার, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে।ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রিচার্ড হোর্সে বলেছেন, সামরিক শাসনের ফলে দেশটিতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দেশটি শাসনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারের বাগো শহরে সেনাবাহিনীর ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনের বেশি নিহত

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৩২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

মিয়ানমারের বাগো শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো ক্র্যাকডাউনে ৮০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। খবরে বলা হচ্ছে, নিহতদের শরীর সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছে, এবং হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়ত কখনোই জানা যাবে না। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছিল এবং নড়াচড়া করে এমন যেকোন কিছুর ওপরই গুলি চালিয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সামরিক বাহিনী দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়েছে। ইয়াঙ্গন শহরের কাছে বাগো শহরে এই সহিংসতা শুক্রবার ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে, কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছাতে পুরো একদিন লেগেছে।

কারণ শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশেপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।

সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজন ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “এটা গণহত্যার মতই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।”

ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী এক বছর ব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি , তখন থেকে মিয়ানমার, যা বার্মা নামেও পরিচিত, জুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে যাতে দেশটির নেতা অং সান সুচি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পুনঃনির্বাচিত হয় এবং সরকার গঠন করে। নির্বাচন কমিশন এই দাবি নাকচ করে আসছে।

শুক্রবার উৎখাত হওয়া সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র অবরোধ বা আর্মস এমবার্গো ও নো-ফ্লাই জোন করার মত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘে ওই বৈঠকে আরো সতর্কতা দেয়া হয় যে মিয়ানমার, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে।ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা রিচার্ড হোর্সে বলেছেন, সামরিক শাসনের ফলে দেশটিতে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দেশটি শাসনের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা