সৌদি আরবের ‘একটি সিদ্ধান্তেই’ বন্ধ হয়ে যাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: ট্রাম্প
- আপডেট টাইম : ১০:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের এক সিদ্ধান্তেই ‘সঙ্গে সঙ্গে’ রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি এতদিন কেন সেটা ঘটল না, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।
পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সৌদি আরবের কী করা উচিত, সেটা বলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও তেল রপ্তানিকারী অন্য দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তা হলেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে।
আল জাজিরার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভা চলছে। সেখানেই স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফোরামের ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো যে এখনো তেলের দাম কমায়নি, তাতে তিনি বিস্মিত। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল সৌদিসহ বাকিদের।
মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের সদস্যদের প্রতি ট্রাম্প বলেন, সৌদি ও ওপেকের সকলকে আমি বলব, তেলের দাম কমান। আপনাদের এটা করতেই হবে। সত্যি কথা বলতে, এখনো যে এটা করা হয়নি, তাতে আমি অবাক। তেলের দাম কমলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, খনিজ তেলের দাম এখন অনেক বেশি। তাই যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে আপনাদের তেলের দাম কমাতে হবে। যা হচ্ছে, তার জন্য ওই দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী। এত মানুষ মারা যাচ্ছে! তেলের দাম কমার পর আমি সুদের হারও কমাতে বলব।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর প্রায় তিন বছর ধরে চলছে রক্তক্ষয়ী এই সংঘাত। এই দীর্ঘ সময়ে দুই পক্ষের পাল্টা হামলায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ও লক্ষাধিক মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।
ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। তিনি প্রায়ই বলতেন, ক্ষমতায় থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধান করে ফেলতেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি বলেন, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। বৈঠকের আয়োজন চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।