গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ, ইসরাইলি সেনার বিরুদ্ধে তদন্ত ব্রাজিলে
- আপডেট টাইম : ০৭:২২:৪১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫
- / ৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এক ইসরাইলি সেনার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাজিলের একটি আদালত। বর্তমানে ওই সেনা ব্রাজিলে পর্যটক হিসেবে আছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
গত সপ্তাহে ওই ইসরাইলি সেনার বিরুদ্ধে হিন্দ রজব ফাউন্ডেশন (এইচআরএফ) নামের একটি সংস্থা অভিযোগ করেছিল।
উল্লেখ্য, এইচআরএফ হলো এমন একটি সংস্থা যা ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার পক্ষে সমর্থন করে।
এইচআরএফ অভিযোগ করেছিল, সন্দেহভাযন ইসরাইলি সেনা বর্তমানে একজন পর্যটক হিসেবে ব্রাজিলে রয়েছে। তিনি গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে বেসামরিকদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলেন।
এইচআরএফ আইনজীবী মাইরা পিনহেইরো বলেছেন, ‘এই ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে বাড়িঘর ও জীবিকা ধ্বংসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ’ গাজায় তার ঘরবাড়ি ভাঙার ভিডিও ও ছবির প্রমাণ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এই অভিযোগর প্রেক্ষিতে ইসরাইলি ওই সেনার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন আদালত। আদালতের নির্দেশকে ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে এইচআরএফ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। আর অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় প্রায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।