ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বানিয়াচংয়ের হত্যা মামালার আসামী গ্রেফতার ছাত্র হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের সাবেক ২ নেতা গ্রেপ্তার ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতার সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানের ভীড় আরএসএফের প্রতিবেদন সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক ফিলিস্তিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নবীনগর পৌরসভার উদ্যোগে তিতাস নদীর পাড়ে শুরু হয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান স্বচ্ছতা করার লহ্ম্যে পৌসভার বিভিন্ন যায়গায় ডাস্টবিন বসিয়েছেনউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী খিলগাঁও দক্ষিণ থানার সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব আইএমএফের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত

ছাত্র হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের সাবেক ২ নেতা গ্রেপ্তার

জয়নাল আবেদীন ফিরোজ(স্টাফ রিপোর্টার)
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সাবেক যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য , চররুহিতা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রেজাউল ইসলাম সুমন (৪০) এবং কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপির সাবেক সদস্য মোসলেহ উদ্দিন (৪৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ। ওসি বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় যুবলীগের সাবেক দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সামনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। টিপুর নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তাঁর সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এসব ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের সাবেক ২ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সাবেক যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য , চররুহিতা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রেজাউল ইসলাম সুমন (৪০) এবং কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপির সাবেক সদস্য মোসলেহ উদ্দিন (৪৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ। ওসি বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় যুবলীগের সাবেক দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সামনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। টিপুর নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তাঁর সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এসব ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।