ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিবিসিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে কাশেমপুর থানার ওসির সাইফুল প্রত্যাহার দাবিতে বিএনপি কর্মী ও আমজনতার মানববন্ধন কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন দুই কলোনির ২০ কক্ষ পুড়ে ছাই ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ তিন ইটভাটাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা সোলাইমান সেলিম রোজা আছি, বই পড়ি, পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ কারাগারে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি: শাজাহান খান সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ পিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা প্রবাসীদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা মঠবাড়িয়ার দুই প্রতারক

ছাত্র হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের সাবেক ২ নেতা গ্রেপ্তার

জয়নাল আবেদীন ফিরোজ(স্টাফ রিপোর্টার)
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সাবেক যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য , চররুহিতা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রেজাউল ইসলাম সুমন (৪০) এবং কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপির সাবেক সদস্য মোসলেহ উদ্দিন (৪৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ। ওসি বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় যুবলীগের সাবেক দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সামনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। টিপুর নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তাঁর সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এসব ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের সাবেক ২ নেতা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সাবেক যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য , চররুহিতা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রেজাউল ইসলাম সুমন (৪০) এবং কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড ইউপির সাবেক সদস্য মোসলেহ উদ্দিন (৪৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ। ওসি বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় যুবলীগের সাবেক দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা-মামলায় ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সামনে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। টিপুর নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তাঁর সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এসব ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।