ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদপুর মুসআব বিন উমাইর রা:মাসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স এর উদ্যোগে হুদাল্লিল মুত্তাক্কিন কনফারেন্স অনুষ্ঠিত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রি -ক্যাডেট স্কুল মহম্মদপুর আইডিয়াল একাডেমীর নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ গ্রামীণ জীবনযাত্রা ও সাম্প্রীতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম হলেন সাংবাদিক সাকিল আহমেদ জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি, পেছালো শুনানি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, নিহত ৩০ সিন্ডিকেট করে ‘লুটপাট’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আজমিরীগঞ্জে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও  তীব্র শীতে  জন জীবন বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটির আহবায়ক কমিটি গঠন

আসাদ সরকার হটানোর মাস্টারমাইন্ড, কে এই জুলানি

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।

মাত্র তিন দিনের ভেতর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনীর অত্যাশ্চর্য পতন ঘটে। এরপর সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এই গোষ্ঠীটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি। যাকে বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় গত কয়েক বছরে বেশ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা ঝড়ের গতিতে তছনছ হয়ে গেল।

গত সোমবার রাশিয়ার হামলায় আল-জুলানি নিহত হয়েছেন বলে একটি খবর অনলাইনে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে বোঝা যায়, সেটি ছিল মিথ্যা খবর প্রচার করে আন্দোলন দমানোর একটি কৌশল।

কে এই আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি?

আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির আসল নাম আহমেদ হুসাইন আল-শারা। ১৯৮২ সালে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী। ১৯৮৯ সালে তার পরিবার সিরিয়ায় ফিরে এসে দামেস্কের অদূরে বসতি স্থাপন করে।

এরপর জুলানি কী করতেন, তা জানা যায়নি। ২০০৩ সালে সিরিয়া থেকে ইরাকে এসে তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন। ওই বছরই যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায়। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। ২০০৬ সালে জুলানিকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ছাড়া পান। এরপর তার নেতৃত্বে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত।

প্রথম দিকের কয়েক বছর জুলানি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আবু বকর আল-বাগদাদির সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বাগদাদি আকস্মিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপর জুলানি সিরিয়ায় নিজেদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেন।

২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাশার সরকার আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইদলিবের দিকে চলে যায়। ওই সময়টাতে জুলানি আল-নুসরা ফ্রন্টের নাম পরিবর্তন করে জাভাত ফাতেহ আল-শাম রাখেন। পরে বিদ্রোহীদের ছোট ছোট অনেক গোষ্ঠী ও নিজের জাভাত ফাতেহ আল-শাম নিয়ে এইচটিএস গঠন করেন জুলানি।

এইচটিএস ২০১৭ সালে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে। এর মাধ্যমে তারা দেশটির ইদলিবে প্রশাসন পরিচালনা শুরু করে। তবে অধিকারকর্মী, সংবাদ প্রতিবেদন ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে,সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট কঠোর হাতে শাসন করে, বিরোধীদের সহ্য করে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আসাদ সরকার হটানোর মাস্টারমাইন্ড, কে এই জুলানি

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।

মাত্র তিন দিনের ভেতর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনীর অত্যাশ্চর্য পতন ঘটে। এরপর সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এই গোষ্ঠীটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি। যাকে বাশার আল-আসাদ সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় গত কয়েক বছরে বেশ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা ঝড়ের গতিতে তছনছ হয়ে গেল।

গত সোমবার রাশিয়ার হামলায় আল-জুলানি নিহত হয়েছেন বলে একটি খবর অনলাইনে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে বোঝা যায়, সেটি ছিল মিথ্যা খবর প্রচার করে আন্দোলন দমানোর একটি কৌশল।

কে এই আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি?

আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির আসল নাম আহমেদ হুসাইন আল-শারা। ১৯৮২ সালে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী। ১৯৮৯ সালে তার পরিবার সিরিয়ায় ফিরে এসে দামেস্কের অদূরে বসতি স্থাপন করে।

এরপর জুলানি কী করতেন, তা জানা যায়নি। ২০০৩ সালে সিরিয়া থেকে ইরাকে এসে তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন। ওই বছরই যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায়। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। ২০০৬ সালে জুলানিকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ছাড়া পান। এরপর তার নেতৃত্বে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত।

প্রথম দিকের কয়েক বছর জুলানি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আবু বকর আল-বাগদাদির সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বাগদাদি আকস্মিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপর জুলানি সিরিয়ায় নিজেদের তৎপরতা বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেন।

২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাশার সরকার আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইদলিবের দিকে চলে যায়। ওই সময়টাতে জুলানি আল-নুসরা ফ্রন্টের নাম পরিবর্তন করে জাভাত ফাতেহ আল-শাম রাখেন। পরে বিদ্রোহীদের ছোট ছোট অনেক গোষ্ঠী ও নিজের জাভাত ফাতেহ আল-শাম নিয়ে এইচটিএস গঠন করেন জুলানি।

এইচটিএস ২০১৭ সালে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে। এর মাধ্যমে তারা দেশটির ইদলিবে প্রশাসন পরিচালনা শুরু করে। তবে অধিকারকর্মী, সংবাদ প্রতিবেদন ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে,সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট কঠোর হাতে শাসন করে, বিরোধীদের সহ্য করে না।