ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি রাজধানী খিলগাঁও সৎ মায়ের হাতে গৃহবধূ খুন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অভিযোগ করলেন নিজ ভাই বাবা নবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার দে আর নেই

লকডাউন’ দেখতে রাস্তায় মানুষের ভিড়!

বিশেষ প্রতিনিধি।।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। ৫ এপ্রিল থেকে এই বিধিনিষেধ পালনের মেয়াদকাল শুরু হয়। চলবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কথা থাকলেও ঘরে বসে নেই মানুষ। প্রথম দিনে রাস্তায় অফিসগামী মানুষের ভিড় থাকলেও দ্বিতীয় দিনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষ পথে আছে ঠিক কিন্তু নেই স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও স্বাভাবিক চলাচল ছিল সাধারণ মানুষের। পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে আড্ডা, রাস্তায় অযথা ঘোরাঘুরি কিংবা খেলাধুলা করার মতো ঘটনা চোখে পড়েছে। আর গণপরিবহন না থাকায় গাদাগাদি করে রিকশা, ভ্যানগাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ভ্যানগাড়ি করেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছে মানুষ।

তৃতীয় দিনে আজ বুধবার থেকে গণপরিবহন চলাচল করছে। তাতে ‘বিধিনিষেধ’ অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি পালনের নমুনা। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছুই নেই। সকালে অফিস টাইমে মানুষের চাপ বেশি থাকলেও দিনের চিত্র অন্যান্য দিনের মতোই। অনেকেই রাস্তায় বের হয়েছেন ‘লকডাউন’ কেমন চলছে সেটার দেখার আগ্রহ নিয়ে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বাসার থেকে বেরিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হাতে বাজারের ব্যাগ থাকলেও মুখে ছিল না মাস্ক। জিজ্ঞাসা করতেই অনেকটা বিরক্ত হয়ে বললেন, খেয়াল ছিল না।

তার পিছু পিছু বাজারের দিকে যেতেই চোখে ছানাবড়া। বাজারে ঘিঞ্জি পরিবেশের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতা কয়েকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতা কারও মুখে নেই মাস্ক। সেখানে নেই সামাজিক দূরত্ব পালনের কোনও ব্যবস্থা। বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস মিয়ার কাছে মাস্কের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওইসব গরিব মানুষের হয় না। আর কাস্টমার তো দূরেই থাকে। সমস্যা নাই। এতদিন কিসু হয় নাই আর কী হইবো এখন?’

শুধু হাট-বাজার নয়, উন্মুক্ত স্থানে কিংবা পথের মধ্যেও মানুষের স্বাস্থ্যবিধি পালনের নজির আছে খুব কম। আর সামাজিক দূরত্ব মানার অভ্যাস নেই বললেই চলে। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকা ঘুরে দেকা গেছে, সব ধরনের দোকানই খোলা। হোটেল, চাইনিজ, ফল, কাপড় সব দোকানই খোলা। ফুটপাতে শত শত দোকান খোলা। সে কারণে দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটার সুযোগও নেই। গাদাগাদি করে মানুষ হাঁটছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা। স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দনিয়া এলাকার রাস্তা দখল করে ফার্স্টফুডের দোকানগুলোও খোলা ছিল। বিকালে সেগুলেতে হাজার হাজার ক্রেতা এসে রাস্তায় যান চলাচলের ব্যাঘত সৃষ্টি করেছে। মাঝে মাঝে পুলিশের গাড়ির সাইরেন বাজিয়ে চলে গেলেও সেদিকে নজর দেয়নি। পুলিশের এই রহস্যজনক আচরনে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, পুলিশ যদি এমন হয় তবে এই লকডাউনের মানে কি? প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আইজিপিও স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন মানতে কঠোর হতে বলেছেন। কিন্তু আমরা তো তার নমুনা দেখছি না।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

লকডাউন’ দেখতে রাস্তায় মানুষের ভিড়!

আপডেট টাইম : ০৯:৫৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি।।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। ৫ এপ্রিল থেকে এই বিধিনিষেধ পালনের মেয়াদকাল শুরু হয়। চলবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। এই সময়ে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কথা থাকলেও ঘরে বসে নেই মানুষ। প্রথম দিনে রাস্তায় অফিসগামী মানুষের ভিড় থাকলেও দ্বিতীয় দিনে অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষ পথে আছে ঠিক কিন্তু নেই স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও স্বাভাবিক চলাচল ছিল সাধারণ মানুষের। পাড়া-মহল্লায় চায়ের দোকানে আড্ডা, রাস্তায় অযথা ঘোরাঘুরি কিংবা খেলাধুলা করার মতো ঘটনা চোখে পড়েছে। আর গণপরিবহন না থাকায় গাদাগাদি করে রিকশা, ভ্যানগাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ভ্যানগাড়ি করেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছে মানুষ।

তৃতীয় দিনে আজ বুধবার থেকে গণপরিবহন চলাচল করছে। তাতে ‘বিধিনিষেধ’ অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি পালনের নমুনা। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছুই নেই। সকালে অফিস টাইমে মানুষের চাপ বেশি থাকলেও দিনের চিত্র অন্যান্য দিনের মতোই। অনেকেই রাস্তায় বের হয়েছেন ‘লকডাউন’ কেমন চলছে সেটার দেখার আগ্রহ নিয়ে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বাসার থেকে বেরিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। হাতে বাজারের ব্যাগ থাকলেও মুখে ছিল না মাস্ক। জিজ্ঞাসা করতেই অনেকটা বিরক্ত হয়ে বললেন, খেয়াল ছিল না।

তার পিছু পিছু বাজারের দিকে যেতেই চোখে ছানাবড়া। বাজারে ঘিঞ্জি পরিবেশের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতা কয়েকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতা কারও মুখে নেই মাস্ক। সেখানে নেই সামাজিক দূরত্ব পালনের কোনও ব্যবস্থা। বাজারের সবজি বিক্রেতা ইউনুস মিয়ার কাছে মাস্কের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওইসব গরিব মানুষের হয় না। আর কাস্টমার তো দূরেই থাকে। সমস্যা নাই। এতদিন কিসু হয় নাই আর কী হইবো এখন?’

শুধু হাট-বাজার নয়, উন্মুক্ত স্থানে কিংবা পথের মধ্যেও মানুষের স্বাস্থ্যবিধি পালনের নজির আছে খুব কম। আর সামাজিক দূরত্ব মানার অভ্যাস নেই বললেই চলে। যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকা ঘুরে দেকা গেছে, সব ধরনের দোকানই খোলা। হোটেল, চাইনিজ, ফল, কাপড় সব দোকানই খোলা। ফুটপাতে শত শত দোকান খোলা। সে কারণে দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটার সুযোগও নেই। গাদাগাদি করে মানুষ হাঁটছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা। স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দনিয়া এলাকার রাস্তা দখল করে ফার্স্টফুডের দোকানগুলোও খোলা ছিল। বিকালে সেগুলেতে হাজার হাজার ক্রেতা এসে রাস্তায় যান চলাচলের ব্যাঘত সৃষ্টি করেছে। মাঝে মাঝে পুলিশের গাড়ির সাইরেন বাজিয়ে চলে গেলেও সেদিকে নজর দেয়নি। পুলিশের এই রহস্যজনক আচরনে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, পুলিশ যদি এমন হয় তবে এই লকডাউনের মানে কি? প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আইজিপিও স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন মানতে কঠোর হতে বলেছেন। কিন্তু আমরা তো তার নমুনা দেখছি না।