ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

গোপন তদন্তের মুখে আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ ক্যাডাররা

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজতে তাদের বিষয়ে আবারও পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করতে সরকারের এই উদ্যোগ।

জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে যাওয়া ছয়টি বিসিএস হলো ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। এসব বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আটটি তথ্য যাচাই করা হবে। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক পরিচয়, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ভূমিকা দেখা হবে।

গত ২০ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসসি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লিখিত ছয়টি বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জীবনবৃত্তান্ত পুনরায় যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কম নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কর্মকর্তার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল একাধিক ফোন নম্বর, ই-মেইল, ফেসবুক, টিআইএন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গোপনীয় প্রতিবেদনে কর্মকর্তা যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন তার নাম, সেশন ও অধ্যয়ন করা বিষয় এবং অবস্থান/আবাসিক হলের তথ্য দিতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য ছাড়াও প্রার্থী অন্য জেলায় অধ্যয়ন করে থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলায় যোগাযোগ পূর্বক তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। (রক্ষিত মূল ভেরিফিকেশন নথি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম সংগ্রহ করে পুনরায় অধ্যয়নকালীন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে)।

এ ছাড়া কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন করে বন্ধুর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, সংশ্লিষ্ট থানার রেকর্ড (সিডিএমএসের তথ্য) যাচাই করে দিতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

আরও বলা হয়, প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লেষ ছাড়াও কোনোরূপ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জড়িত কি না সেই তথ্য দিতে হবে। প্রার্থী সম্পর্কে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং তার সমসাময়িক বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোপন তদন্তের মুখে আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ ক্যাডাররা

আপডেট টাইম : ০৫:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজতে তাদের বিষয়ে আবারও পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করতে সরকারের এই উদ্যোগ।

জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে যাওয়া ছয়টি বিসিএস হলো ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। এসব বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আটটি তথ্য যাচাই করা হবে। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক পরিচয়, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ভূমিকা দেখা হবে।

গত ২০ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসসি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লিখিত ছয়টি বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জীবনবৃত্তান্ত পুনরায় যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কম নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কর্মকর্তার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল একাধিক ফোন নম্বর, ই-মেইল, ফেসবুক, টিআইএন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গোপনীয় প্রতিবেদনে কর্মকর্তা যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন তার নাম, সেশন ও অধ্যয়ন করা বিষয় এবং অবস্থান/আবাসিক হলের তথ্য দিতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য ছাড়াও প্রার্থী অন্য জেলায় অধ্যয়ন করে থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলায় যোগাযোগ পূর্বক তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। (রক্ষিত মূল ভেরিফিকেশন নথি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম সংগ্রহ করে পুনরায় অধ্যয়নকালীন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে)।

এ ছাড়া কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন করে বন্ধুর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, সংশ্লিষ্ট থানার রেকর্ড (সিডিএমএসের তথ্য) যাচাই করে দিতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

আরও বলা হয়, প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লেষ ছাড়াও কোনোরূপ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জড়িত কি না সেই তথ্য দিতে হবে। প্রার্থী সম্পর্কে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং তার সমসাময়িক বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।