লেবাননে প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহকে নির্মূলে
- আপডেট টাইম : ০৬:২৭:০০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
- / ৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক
জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ভবনও। এ নিয়ে দুবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা করেছে ইসরাইল। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
শেষ পর্যন্ত তোপের মুখে পড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন তিনি।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন বাইডেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি ইসরাইলকে থামতে বলছেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, ইতিবাচকভাবে’।
গাজায় গত ১ বছর ধরে ইসরাইলের নৃশংস হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল ভবন, আশ্রয় কেন্দ্র এবং শরণার্থী শিবিরের মতো স্পর্শাকাতর স্থাপনাগুলোও। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার উদ্ধারকর্মী এবং ত্রাণকর্মী ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে।
অনেক জায়গায় সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় ইসরাইলি সেনারা সরাসরি বাধা দিচ্ছে। এসব পদক্ষেপ বন্ধে এতোদিন ইসরাইলের লাগাম টানতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। পার পেতে পেতে ইসরাইল এখন সেটা শুরু করেছে লেবাননে।
শুক্রবার ইউএন ইনটেরিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে শ্রীলঙ্কার দুই জন সৈন্য আহত হন। ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে।
আইডিএফ সাফাই গেয়ে বলেছে, লেবাননের নাকোরায় ইউনিফিল ঘাঁটিকে হুমকি হিসেবে মনে করায় তাদের সেনারা সেখানে গুলি চালায়। এই ঘটনাটি ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে’ তদন্ত করা হবে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবারও শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। সেদিন একটি ওয়াচ টাওয়ার লক্ষ্য করে ট্যাঙ্ক থেকে গোলা ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় টাওয়ার থেকে পড়ে ইন্দোনেশিয়ার দুজন সেনাসদস্য আহত হন।
এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া। শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনের নেতারা।
লেবাননে অন্তত ৮০০ বেসামরিক কর্মীর পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অন্তত ৫০ দেশের নাগরিক অবস্থান করছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইলের বেপরোয়া হামলায় শান্তিরক্ষীদের ওপর ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি বাড়ছে।