ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র গাজায় দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ইসরায়েলকে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়পুরে চিকিৎসকের বিচার দাবীতে মানববন্ধন বিরামপুরে এক পা ওয়ালা শিশু সহ জমজ শিশু জন্ম দিলো এক প্রসুতি মা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই চোরাকারবারি গ্রেফতার,ট্রাকসহ ২১ লক্ষ টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আজমিরীগঞ্জে আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন এডুকেশন এর উদ্যেগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ইবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত, দ্রুত হতে পারে ঘোষণা হল-অনুষদ সম্মেলন ঈদের পর মোংলায় ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইবি সাইন্স ক্লাবের সভাপতি নিরব, সম্পাদক জুনাইদ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনসিসি উদ্যোগে “আমিই বঙ্গবন্ধু” প্রদর্শনী

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) বৃহস্পতিবার “আমি-ই-বঙ্গবন্ধু” শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীটি বিএনসিসি একাডেমি, বাইপাইলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী শুভ উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনসিসির এ ধরনের আয়োজন সত্যি আমাকে অভিহিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তার সকল ঘটনাকে কাল্পনিক ভাবে তুলে ধরেছে বিএনসিসি যেটা আমি কোথায়ও আজ অবধি দেখি নাই। বঙ্গবন্ধুর জীবনীকে কাল্পনিকভাবে তুলে ধরার জন্য বিএনসিসিকে ধন্যবাদ এবং এ সংগঠনের সাফল্য কামনা করেন।

প্রদর্শনীতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন এবং দেশের জন্য তাঁর আত্নত্যাগ সম্পর্কিত একটি ডিজিটাল অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের মাধ্যমে সকলের নিকট অত্যন্ত সহজ সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানটিতে করোনাকালীন সময়ে দেশের ৬৪ টি জেলায় বিএনসিসি করোনা সচেতনতামূলক কার্যক্রমের একটি স্বচিত্র ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একই সাথে সীমিত আকারে রেজিমেন্ট ক্যাম্পিং এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনায়, রেজিমেন্ট কমান্ডারের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটির উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে জানা যায়।

বিএনসিসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। এবং বাঙালি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর জন্য লাল, সবুজ একটি পতাকা। কিন্তু তার এই জীবনের চরাই-উতরাই ঘটনাবহুল সংগ্রামী জীবনে উল্লেখযোগ্য বিষয় বর্তমান তরুন প্রজন্মের কাছে অজানা। সীমিত পরিসরে পুথিগত বিদ্যা কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুকে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তারা খুব বেশি বলতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি যাকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ পৃষ্ঠা লেখা যেতে পারে কিংবা দিনের পর দিন তার সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে যেন সবাই নিজের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বিএনসিসির পক্ষ থেকে আমাদের আজকের আয়োজন।

রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাহাত নেওয়াজের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে হাতে কলমে শেখানোর জন্য এই উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে দরা হয়েছে। দেশের ৬৪ টি জেলায় এই ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে দরা যাবে বলে তিনি

আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমিই বঙ্গবন্ধু” টানেলটির মাধ্যমে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন সহজ সরল সাবলীল ভাবে নতুন প্রজন্মের নিকট অনেকটা হাতে কলমে শিক্ষার মতো তুলে ধরা হয়েছে। এতে একজন দর্শনার্থী “আমিই বঙ্গবন্ধু” টানেল পরিদর্শন শেষে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং দেশমাতৃকার প্রতি তার মহান আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।

“আমিই বঙ্গবন্ধু” টানেলে প্রথমেই একটি কাল্পনিক টাইম মেশিনের মাধ্যমে দর্শনার্থীকে কাল্পনিক ভাবে ১৭ ই মার্চ ১৯২০ সালে ফেরত নেওয়া হয়। এরপর দর্শনার্থী কখনো নিজে বা কখনো অন্যের অভিনয়ের মাধ্যমে ক্রমান্নয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটের সাথে পরিচিতি হতে পারে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এমন একটি প্রজেক্ট বাংলাদেশের সকল জেলায় নির্মাণ করা হলে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হতে পারবে।

“আমিই বঙ্গবন্ধু” শিরোনামে “বঙ্গবন্ধুর ভুমিকায় বঙ্গবন্ধুকে জানার” প্রজেক্টটির বাস্তবায়নে ছিলেন সিইউও মেহেদী হাসান হিমেল, সিইউও মোঃ মামুন শেখ, সার্জেন্ট লিথু জামান, সার্জেন্ট সাখাওয়াত হোসেন, সার্জেন্ট মেহেদী হাসান, সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন, কর্পোরাল আব্দুর রব, কর্পোরাল সাব্বির সহ অন্যান্য ক্যাডেটবৃন্দ।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনসিসি উদ্যোগে “আমিই বঙ্গবন্ধু” প্রদর্শনী

আপডেট টাইম : ০২:৫৬:০৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) বৃহস্পতিবার “আমি-ই-বঙ্গবন্ধু” শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীটি বিএনসিসি একাডেমি, বাইপাইলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী শুভ উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনসিসির এ ধরনের আয়োজন সত্যি আমাকে অভিহিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত তার সকল ঘটনাকে কাল্পনিক ভাবে তুলে ধরেছে বিএনসিসি যেটা আমি কোথায়ও আজ অবধি দেখি নাই। বঙ্গবন্ধুর জীবনীকে কাল্পনিকভাবে তুলে ধরার জন্য বিএনসিসিকে ধন্যবাদ এবং এ সংগঠনের সাফল্য কামনা করেন।

প্রদর্শনীতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন এবং দেশের জন্য তাঁর আত্নত্যাগ সম্পর্কিত একটি ডিজিটাল অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনের মাধ্যমে সকলের নিকট অত্যন্ত সহজ সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানটিতে করোনাকালীন সময়ে দেশের ৬৪ টি জেলায় বিএনসিসি করোনা সচেতনতামূলক কার্যক্রমের একটি স্বচিত্র ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একই সাথে সীমিত আকারে রেজিমেন্ট ক্যাম্পিং এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনায়, রেজিমেন্ট কমান্ডারের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটির উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে জানা যায়।

বিএনসিসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। এবং বাঙালি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর জন্য লাল, সবুজ একটি পতাকা। কিন্তু তার এই জীবনের চরাই-উতরাই ঘটনাবহুল সংগ্রামী জীবনে উল্লেখযোগ্য বিষয় বর্তমান তরুন প্রজন্মের কাছে অজানা। সীমিত পরিসরে পুথিগত বিদ্যা কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুকে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তারা খুব বেশি বলতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি যাকে নিয়ে লক্ষ লক্ষ পৃষ্ঠা লেখা যেতে পারে কিংবা দিনের পর দিন তার সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে যেন সবাই নিজের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বিএনসিসির পক্ষ থেকে আমাদের আজকের আয়োজন।

রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাহাত নেওয়াজের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে হাতে কলমে শেখানোর জন্য এই উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কাল্পনিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে দরা হয়েছে। দেশের ৬৪ টি জেলায় এই ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে দরা যাবে বলে তিনি

আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমিই বঙ্গবন্ধু” টানেলটির মাধ্যমে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন সহজ সরল সাবলীল ভাবে নতুন প্রজন্মের নিকট অনেকটা হাতে কলমে শিক্ষার মতো তুলে ধরা হয়েছে। এতে একজন দর্শনার্থী “আমিই বঙ্গবন্ধু” টানেল পরিদর্শন শেষে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং দেশমাতৃকার প্রতি তার মহান আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।

“আমিই বঙ্গবন্ধু” টানেলে প্রথমেই একটি কাল্পনিক টাইম মেশিনের মাধ্যমে দর্শনার্থীকে কাল্পনিক ভাবে ১৭ ই মার্চ ১৯২০ সালে ফেরত নেওয়া হয়। এরপর দর্শনার্থী কখনো নিজে বা কখনো অন্যের অভিনয়ের মাধ্যমে ক্রমান্নয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটের সাথে পরিচিতি হতে পারে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এমন একটি প্রজেক্ট বাংলাদেশের সকল জেলায় নির্মাণ করা হলে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হতে পারবে।

“আমিই বঙ্গবন্ধু” শিরোনামে “বঙ্গবন্ধুর ভুমিকায় বঙ্গবন্ধুকে জানার” প্রজেক্টটির বাস্তবায়নে ছিলেন সিইউও মেহেদী হাসান হিমেল, সিইউও মোঃ মামুন শেখ, সার্জেন্ট লিথু জামান, সার্জেন্ট সাখাওয়াত হোসেন, সার্জেন্ট মেহেদী হাসান, সার্জেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন, কর্পোরাল আব্দুর রব, কর্পোরাল সাব্বির সহ অন্যান্য ক্যাডেটবৃন্দ।