ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ হয়েছে আগের খতিব ফিরে আসায় বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ রাষ্ট্র সংস্কারে প্রস্তাব দেবে বিএনপি, জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে কমিটি ইসরাইলকে ‘বিপর্যয়কর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন গ্রেফতার পত্রিকার সম্পাদক ও একাধিক সাংবাদিকদের নামে বিতর্কিত সাবেক এসপি হারুনের করা মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টা মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা বলিউড সিনেমা ‘লাক’ এর গল্প চুরি করে তৈরি ‘স্কুইড গেম’! শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত এ সময় প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ হবে

পাচারের অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি:সময়ের কন্ঠ
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আজকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা। দ্বিতীয় বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারস্টিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যে চুক্তি আগে হয়েছিল সেটার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। তার মানে আরও বাড়তি টাকা তারা দেবে।

আর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি আমব্রেলা চুক্তির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।

খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন খাতে যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এবং অন্যান্য কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।

ইআরডি আরও জানায়, ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২৭ সালের জন্য সরকার ও ইউএসএইড এর একটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। এটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।

বৈঠকে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধি দ‌লের নেতৃত্বে ছি‌লেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। বৈঠকে উপস্থিত ছি‌লেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।

গত ৮ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাচারের অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা

আপডেট টাইম : ০৮:৩৪:৪০ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি:সময়ের কন্ঠ
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আজকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা। দ্বিতীয় বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারস্টিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যে চুক্তি আগে হয়েছিল সেটার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। তার মানে আরও বাড়তি টাকা তারা দেবে।

আর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি আমব্রেলা চুক্তির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।

খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন খাতে যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এবং অন্যান্য কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে।

ইআরডি আরও জানায়, ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১-২৭ সালের জন্য সরকার ও ইউএসএইড এর একটি নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। এটি বাস্তবায়নের জন্য মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।

বৈঠকে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধি দ‌লের নেতৃত্বে ছি‌লেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। বৈঠকে উপস্থিত ছি‌লেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

এদিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে মার্কিন প্রতিনিধি দল।

গত ৮ আগস্ট অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করছে।