ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

জামায়াত আমিরকে নেতৃত্ব দিলে দেশ রোল মডেলে পরিণত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫১:২৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪
  • / ৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান ও ইসলামিক বক্তা মুফতি আলী হাসান উসামা। ছবি: সংগৃহীত
‘এক মেয়াদে দেশের নেতৃত্ব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমানের হাতে থাকলে সারা দুনিয়ার জন্যও দেশ রোল মডেলে পরিণত হবে।’

ইসলামিক বক্তা মুফতি আলী হাসান উসামা শুক্রবার (৩০ আগস্ট) তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন।

উসামা বলেন, ‌‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো যেভাবে ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে নিয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে, তা পুরোই বেনজির। দল-মতের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সব ধারার মানুষ যেভাবে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে, বরং করতে বাধ্য হচ্ছে, তাতে এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না, এক মেয়াদে দেশের নেতৃত্ব তার হাতে থাকলে লাখো অমুসলিমও দ্বিনের দিকে ধাবিত হবে, সারা দুনিয়ার জন্যও দেশ রোল মডেলে পরিণত হবে।’

এর আগে ১৮ আগস্ট কওমি আলেমদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের মতবিনিময় শেষে আরও একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন উসামা সে সময় তিনি বলেন- ‘দেশ, ধর্ম ও জাতির চরম সংকটে ঐক্যের প্রচেষ্টাগুলো সফল ও সার্থক হোক। শ্রদ্ধেয় আমিরে জামায়াতের আহ্বানে আজ কওমি ঘরানার আলিম-উলামার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।’

‌‘ডা. শফিকুর রহমান সাহেবের ব্যক্তিত্ব যে-কাউকে মুগ্ধ করার মতো। এই বয়সেও কর্মচাঞ্চল্যে যেন উদ্যমী তরুণ। প্রথম সাক্ষাৎ হলো আজ; তবে মনে হলো, যেন কতকালের চেনা। দেখেই বুকে জড়িয়ে নিলেন। কপালে চুমু খেলেন। রাতে মহফিল থাকায় প্রোগ্রামের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারিনি। আমার আলোচনায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নব্য জাহিলি আধিপত্য রুখে দেওয়ার জন্য এবং সমস্ত নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানালাম।’

ইখতিলাফ ছিল, আছে, থাকবে; তবে ইসলামকে সম্মিলিতভাবে বিজয়ী করতে হবে উল্লেখ করে উসামা বলেন, ঐক্যের ভিত্তি শাখাগত মাসআলা বা ইখতিলাফি বিষয় নয়; ঐক্যের ভিত্তি যা, তা নিয়ে দ্বিমত করার সুযোগ কোথায়! সুতরাং এক সরকার যাবে, আরেক সরকার আসবে; তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ইসলামের বিকল্প কিছু হবে না। সুতরাং ইসলামপন্থিদের মাথায় কাঁঠাল রেখে সবাই খাবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। গুটিকয়েক নাস্তিক পর্যন্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর ইসলামপন্থিদের চাপে ফেলে দেয়। অথচ সবাই মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখলে ইসলামের পক্ষে গণআন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

উসামা আরও বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ইসলাম বিজয়ী হোক, এটা চায়ই না অজ্ঞতার কারণে। কারণ, তারা ইসলামের পূর্ণাঙ্গ চিত্র বুঝতে পারেনি। তাই নিজেদের অজান্তেই সেক্যুলার বিশ্বাস লালন করে। আর যারা ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চায়, তারা ইসলামি দলগুলোর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির কারণে বিরক্ত হয়ে ওঠে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতীয় সংকটে মৌলিক বার্তা তুলে ধরতে হবে মুসলিম জনসাধারণের সামনে। তাহলে ইসলামের পক্ষে বিপ্লব সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জামায়াত আমিরকে নেতৃত্ব দিলে দেশ রোল মডেলে পরিণত

আপডেট টাইম : ০৬:৫১:২৮ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান ও ইসলামিক বক্তা মুফতি আলী হাসান উসামা। ছবি: সংগৃহীত
‘এক মেয়াদে দেশের নেতৃত্ব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমানের হাতে থাকলে সারা দুনিয়ার জন্যও দেশ রোল মডেলে পরিণত হবে।’

ইসলামিক বক্তা মুফতি আলী হাসান উসামা শুক্রবার (৩০ আগস্ট) তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন।

উসামা বলেন, ‌‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো যেভাবে ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে নিয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে, তা পুরোই বেনজির। দল-মতের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সব ধারার মানুষ যেভাবে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে, বরং করতে বাধ্য হচ্ছে, তাতে এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না, এক মেয়াদে দেশের নেতৃত্ব তার হাতে থাকলে লাখো অমুসলিমও দ্বিনের দিকে ধাবিত হবে, সারা দুনিয়ার জন্যও দেশ রোল মডেলে পরিণত হবে।’

এর আগে ১৮ আগস্ট কওমি আলেমদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের মতবিনিময় শেষে আরও একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন উসামা সে সময় তিনি বলেন- ‘দেশ, ধর্ম ও জাতির চরম সংকটে ঐক্যের প্রচেষ্টাগুলো সফল ও সার্থক হোক। শ্রদ্ধেয় আমিরে জামায়াতের আহ্বানে আজ কওমি ঘরানার আলিম-উলামার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।’

‌‘ডা. শফিকুর রহমান সাহেবের ব্যক্তিত্ব যে-কাউকে মুগ্ধ করার মতো। এই বয়সেও কর্মচাঞ্চল্যে যেন উদ্যমী তরুণ। প্রথম সাক্ষাৎ হলো আজ; তবে মনে হলো, যেন কতকালের চেনা। দেখেই বুকে জড়িয়ে নিলেন। কপালে চুমু খেলেন। রাতে মহফিল থাকায় প্রোগ্রামের শেষ পর্যন্ত থাকতে পারিনি। আমার আলোচনায় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নব্য জাহিলি আধিপত্য রুখে দেওয়ার জন্য এবং সমস্ত নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানালাম।’

ইখতিলাফ ছিল, আছে, থাকবে; তবে ইসলামকে সম্মিলিতভাবে বিজয়ী করতে হবে উল্লেখ করে উসামা বলেন, ঐক্যের ভিত্তি শাখাগত মাসআলা বা ইখতিলাফি বিষয় নয়; ঐক্যের ভিত্তি যা, তা নিয়ে দ্বিমত করার সুযোগ কোথায়! সুতরাং এক সরকার যাবে, আরেক সরকার আসবে; তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে ইসলামের বিকল্প কিছু হবে না। সুতরাং ইসলামপন্থিদের মাথায় কাঁঠাল রেখে সবাই খাবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। গুটিকয়েক নাস্তিক পর্যন্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর ইসলামপন্থিদের চাপে ফেলে দেয়। অথচ সবাই মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখলে ইসলামের পক্ষে গণআন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

উসামা আরও বলেন, বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ইসলাম বিজয়ী হোক, এটা চায়ই না অজ্ঞতার কারণে। কারণ, তারা ইসলামের পূর্ণাঙ্গ চিত্র বুঝতে পারেনি। তাই নিজেদের অজান্তেই সেক্যুলার বিশ্বাস লালন করে। আর যারা ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চায়, তারা ইসলামি দলগুলোর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির কারণে বিরক্ত হয়ে ওঠে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতীয় সংকটে মৌলিক বার্তা তুলে ধরতে হবে মুসলিম জনসাধারণের সামনে। তাহলে ইসলামের পক্ষে বিপ্লব সময়ের ব্যাপার মাত্র।