ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • / ২৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য জাতিসংঘের দরজা খোলা। সংস্থাটি নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি- জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর এমন প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সংস্থাটির মুখপাত্র মনিকা গ্রেইলের কাছে জানতে চান- ড. ইউনূসকে নিজেদের অংশীদার মনে করে জাতিসংঘ। সেই প্রেক্ষিতে এই সরকারকে কীভাবে দেখছেন?

জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতির দরজা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের জন্য খোলা। বাংলাদেশের জন্য তিনি (সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি) অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।

অপর এক প্রশ্নে এই প্রতিবেদক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে জানতে চান, সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রদের বিক্ষোভে যে বর্বরতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে আগামী সপ্তাহে ঢাকা যাচ্ছে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল। এ বিষয়ে মহাসচিবের অভিমত কী?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, তদন্ত দলটি কী কাজ হবে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

পরে ইমেইলে পাঠানো এই প্রশ্নের বর্ধিত জবাবে ফারহান হক বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অফিস থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যে সমর্থন দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে যাতে সহায়তার ক্ষেত্র এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়। হাইকমিশনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের মানুষের একটি সফল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য খুবই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার রক্ষার শক্তিশালীকরণে সহায়ক হবে।

মুশফিক তার দ্বিতীয় প্রশ্নে জানতে চান, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে জাতিসংঘ তাদের একজন অংশীদার মনে করে- এমন বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন দিতে দেশটির সঙ্গে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াবেন কিনা মহাসচিব? এদিকে, ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশের সাবেক একনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছেন।

জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, আপনি বাংলাদেশকে সমর্থনের যে কথা বলেছেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, প্রয়োজন অনুসারে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণকে আমরা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪

ছবি: সংগৃহীত
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য জাতিসংঘের দরজা খোলা। সংস্থাটি নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মুখপাত্র মনিকা গ্রেইল।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি- জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারীর এমন প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সংস্থাটির মুখপাত্র মনিকা গ্রেইলের কাছে জানতে চান- ড. ইউনূসকে নিজেদের অংশীদার মনে করে জাতিসংঘ। সেই প্রেক্ষিতে এই সরকারকে কীভাবে দেখছেন?

জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতির দরজা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের জন্য খোলা। বাংলাদেশের জন্য তিনি (সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি) অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবেন।

অপর এক প্রশ্নে এই প্রতিবেদক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে জানতে চান, সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রদের বিক্ষোভে যে বর্বরতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে আগামী সপ্তাহে ঢাকা যাচ্ছে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল। এ বিষয়ে মহাসচিবের অভিমত কী?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, তদন্ত দলটি কী কাজ হবে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

পরে ইমেইলে পাঠানো এই প্রশ্নের বর্ধিত জবাবে ফারহান হক বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অফিস থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যে সমর্থন দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে যাতে সহায়তার ক্ষেত্র এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়। হাইকমিশনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের মানুষের একটি সফল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য খুবই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার রক্ষার শক্তিশালীকরণে সহায়ক হবে।

মুশফিক তার দ্বিতীয় প্রশ্নে জানতে চান, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে জাতিসংঘ তাদের একজন অংশীদার মনে করে- এমন বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন দিতে দেশটির সঙ্গে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াবেন কিনা মহাসচিব? এদিকে, ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশের সাবেক একনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছেন।

জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, আপনি বাংলাদেশকে সমর্থনের যে কথা বলেছেন সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, প্রয়োজন অনুসারে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণকে আমরা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।