ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

দিল্লিতে থেকেও মা শেখ হাসিনার সঙ্গে যে কারণে দেখা হলো না পুতুলের

নিউ দিল্লি থেকে সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহী

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন ভারতের দিল্লিতে। অথচ, একই শহরে থেকেও এখনও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন পুতুল। তার এমন পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। দিল্লিতে থাকার পরও কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না তিনি।

ওই পোস্টে পুতুল লিখেছেন, ‘আমার ভালোবাসার দেশে প্রাণহানির ঘটনায় আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সেই সঙ্গে এমন কঠিন সময়ে মায়ের পাশে থাকতে না পারায় আর মাকে জড়িয়ে ধরতে না পারায় আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে বিবিসি বাংলা তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, সোমবার শেখ হাসিনা ভারতে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবারই সায়মা ওয়াজেদ দিল্লি এসে পৌঁছেছেন। সে ক্ষেত্রে কেন তিনি একই শহর দিল্লিতে থাকা তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না। না কি তাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দেখা করার অনুমতি দেয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনার হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়ার দিন সায়মা ওয়াজেদ থাইল্যান্ডে ছিলেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে থাকায় বর্তমানে তাকে সংস্থাটির কার্যালয় দিল্লিতে থাকতে হচ্ছে তাকে। তবে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের দিন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার ও আলোচনা সভায় যোগ দিতে সায়মা ওয়াজেদ ব্যাঙ্ককে গিয়েছিলেন। যদিও মায়ের দিল্লিতে আসার খবরে তিনি দ্রুতই দিল্লিতে চলে আসেন।

এরপরও কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না পুতুল। তা নিয়ে দিল্লিতে ভারতের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বিবিসি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ যেহেতু হু-র আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন কর্মকর্তা – সে কারণেই হয়তো বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতে আসা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দেখা হয়ে ওঠেনি।

‘প্রথম কথা হল উনি দিল্লিতে কি না, তা আমি জানি না। আর যদি থেকেও থাকেন, উনি শেখ হাসিনার মেয়ে তো বটেই, কিন্তু আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবের সায়মা ওয়াজেদের আরও একটা পরিচয়ও আছে – আর সেটাই হয়তো এখানে দেখা করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করছি।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দিল্লিতে থেকেও মা শেখ হাসিনার সঙ্গে যে কারণে দেখা হলো না পুতুলের

আপডেট টাইম : ১০:৩১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

ছবি: সংগৃহী

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন ভারতের দিল্লিতে। অথচ, একই শহরে থেকেও এখনও মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন পুতুল। তার এমন পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। দিল্লিতে থাকার পরও কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না তিনি।

ওই পোস্টে পুতুল লিখেছেন, ‘আমার ভালোবাসার দেশে প্রাণহানির ঘটনায় আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সেই সঙ্গে এমন কঠিন সময়ে মায়ের পাশে থাকতে না পারায় আর মাকে জড়িয়ে ধরতে না পারায় আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে বিবিসি বাংলা তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, সোমবার শেখ হাসিনা ভারতে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবারই সায়মা ওয়াজেদ দিল্লি এসে পৌঁছেছেন। সে ক্ষেত্রে কেন তিনি একই শহর দিল্লিতে থাকা তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না। না কি তাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দেখা করার অনুমতি দেয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনার হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়ার দিন সায়মা ওয়াজেদ থাইল্যান্ডে ছিলেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে থাকায় বর্তমানে তাকে সংস্থাটির কার্যালয় দিল্লিতে থাকতে হচ্ছে তাকে। তবে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের দিন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার ও আলোচনা সভায় যোগ দিতে সায়মা ওয়াজেদ ব্যাঙ্ককে গিয়েছিলেন। যদিও মায়ের দিল্লিতে আসার খবরে তিনি দ্রুতই দিল্লিতে চলে আসেন।

এরপরও কেন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না পুতুল। তা নিয়ে দিল্লিতে ভারতের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বিবিসি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ যেহেতু হু-র আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন কর্মকর্তা – সে কারণেই হয়তো বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারতে আসা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার দেখা হয়ে ওঠেনি।

‘প্রথম কথা হল উনি দিল্লিতে কি না, তা আমি জানি না। আর যদি থেকেও থাকেন, উনি শেখ হাসিনার মেয়ে তো বটেই, কিন্তু আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবের সায়মা ওয়াজেদের আরও একটা পরিচয়ও আছে – আর সেটাই হয়তো এখানে দেখা করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করছি।’