ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

ক্ষমতা নেওয়ার আগেই ভারতকে যে বার্তা দিলেন ইউনূস

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৮:২১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট ২০২৪
  • / ৭৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। ভারতকে তার নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের গণমাধ্যম এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অধ্যাপক।

ইউনূস বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্বাচনে কারচুপি করার পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে। আর এ জন্যই বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই, তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার একমাত্র সমাধান হলো গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। তিনি চান দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার আমলে যেটি দীর্ঘকাল ধরে হয়নি।

ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ভারতের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হয়েও ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিকে ভারত বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন একজনকে সমর্থন করেছে, যিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল— এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমরা কিন্তু তখন সারা বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম— বাংলাদেশের নিরীহ ছেলেদের তাদের সরকারই গুলি করে মারছে, আমাদের সাহায্য করুন, ভারত না করে দিল।

তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিতে ভারতের নীরবতা বাংলাদেশি জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার কাজের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি অবস্থান নেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না যে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তা হলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।

 

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমতা নেওয়ার আগেই ভারতকে যে বার্তা দিলেন ইউনূস

আপডেট টাইম : ০৯:১৮:২১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট ২০২৪

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। ভারতকে তার নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের গণমাধ্যম এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অধ্যাপক।

ইউনূস বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্বাচনে কারচুপি করার পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে। আর এ জন্যই বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই, তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার একমাত্র সমাধান হলো গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। তিনি চান দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার আমলে যেটি দীর্ঘকাল ধরে হয়নি।

ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ভারতের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হয়েও ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিকে ভারত বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন একজনকে সমর্থন করেছে, যিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল— এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমরা কিন্তু তখন সারা বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম— বাংলাদেশের নিরীহ ছেলেদের তাদের সরকারই গুলি করে মারছে, আমাদের সাহায্য করুন, ভারত না করে দিল।

তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিতে ভারতের নীরবতা বাংলাদেশি জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার কাজের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি অবস্থান নেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না যে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তা হলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।