ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোম্পানীগঞ্জে জমিয়তের কর্মী সমাবেশ একাধিক পত্রিকায় জিয়াউর রহমান উপসহকারী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে দুনীতি সংবাদ প্রকাশ হওয়া কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলী বিপুল কুমার বিশ্বাস রক্ষক যখন ভক্ষক ভেষজ বিজ্ঞানী টিপু সুলতান: কুসুমপুরে সৌখিন কৃষি ও একজন মুক্তিযোদ্ধার মানবসেবায় নিরব বিপ্লব মোংলার সোনাইল তলা এলাকায় ৪২ বিঘা ঘেরে বিষ প্রয়োগ। ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাভার পৌর বিএনপির দুই নেতার কলঙ্কিত অধ্যায় শাহেদ-১০৭ ড্রোন উন্মোচন ইরানের, যেভাবে কাজ করবে এটি রামপালের বড় কাঠালী গ্রামের বিএনপি সোহাগ আকনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজের ম্যানার ছড়া বিরুদ্ধে মানববন্ধন আমরা যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নয়: অর্থ উপদেষ্টা পাঁচ কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি

ক্ষমতা নেওয়ার আগেই ভারতকে যে বার্তা দিলেন ইউনূস

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭২ ১৫০.০০০ বার পাঠক

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। ভারতকে তার নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের গণমাধ্যম এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অধ্যাপক।

ইউনূস বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্বাচনে কারচুপি করার পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে। আর এ জন্যই বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই, তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার একমাত্র সমাধান হলো গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। তিনি চান দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার আমলে যেটি দীর্ঘকাল ধরে হয়নি।

ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ভারতের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হয়েও ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিকে ভারত বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন একজনকে সমর্থন করেছে, যিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল— এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমরা কিন্তু তখন সারা বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম— বাংলাদেশের নিরীহ ছেলেদের তাদের সরকারই গুলি করে মারছে, আমাদের সাহায্য করুন, ভারত না করে দিল।

তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিতে ভারতের নীরবতা বাংলাদেশি জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার কাজের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি অবস্থান নেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না যে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তা হলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।

 

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষমতা নেওয়ার আগেই ভারতকে যে বার্তা দিলেন ইউনূস

আপডেট টাইম : ০৯:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। ভারতকে তার নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের গণমাধ্যম এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অধ্যাপক।

ইউনূস বলেন, ভারত শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্বাচনে কারচুপি করার পদ্ধতিকে সমর্থন করেছে। আর এ জন্যই বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই, তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার একমাত্র সমাধান হলো গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। তিনি চান দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার আমলে যেটি দীর্ঘকাল ধরে হয়নি।

ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ভারতের ভূমিকায় অসন্তোষ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হয়েও ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিকে ভারত বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন একজনকে সমর্থন করেছে, যিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন।

তিনি বলেন, আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল— এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমরা কিন্তু তখন সারা বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম— বাংলাদেশের নিরীহ ছেলেদের তাদের সরকারই গুলি করে মারছে, আমাদের সাহায্য করুন, ভারত না করে দিল।

তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিতে ভারতের নীরবতা বাংলাদেশি জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার কাজের বিরুদ্ধে কোনো সরকারি অবস্থান নেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না যে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তা হলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।