ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক

পীরগঞ্জে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২বছর আগে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নস্থ সিংগারোল গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ভোমরাদহ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শাহ মো.জুবায়ের ইবনে নুর ওরফে সাথী’র সাথে একই উপজেলার ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নস্থ নারায়নপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে ফারজানা আক্তার ফুজির সাথে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জামাই ও মেয়ের সুখের জন্য নগদ ৭লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকারও দেয় ফারজানার পরিবার। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্ম হওয়ার পর যৌতুক হিসেবে বাবার বাড়ি থেকে আরো ২০ লাখ টাকা আনার জন্য স্ত্রী ফারজানকে চাপ দিতে থাকে স্বামী জুবায়ের ও তার পরিবারের লোকজন। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না আনায় ফারজানার উপর নির্যাতন শুরু করে স্বামী, শাশুড়ী ও ননদ। সে সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে। এরই মধ্যে ফারজানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টাও করেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকও হয়। শালিসের পরও ফারজানার উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। নির্যাতনের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ফারজানা কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় স্ত্রী ফারজানা বাদী হয়ে ১২/১১/২০২৩ ইং তারিখে স্বামী জুবায়ের সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ২০০০ সালের সংশোধিত/০৩ এর ১১(গ)/৩০, যার মামলা নং-২১। ওই মামলায় গত ২৯/০৭/২০২৪ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে জামিন নিতে গেলে বিচারক জুবায়েরের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। জুবায়ের ০১/০৮/২৪ইং তারিখে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, এর আগেও তিনি মোটা অংকের যৌতুক নিয়ে এক কলেজ শিক্ষীকাকে বিয়ে করেন। পরে যৌতুক না পেয়ে ঐ স্ত্রীকেও নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ওই শিক্ষীকা মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করেননি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পীরগঞ্জে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট টাইম : ১২:১০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২বছর আগে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নস্থ সিংগারোল গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ভোমরাদহ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শাহ মো.জুবায়ের ইবনে নুর ওরফে সাথী’র সাথে একই উপজেলার ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নস্থ নারায়নপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে ফারজানা আক্তার ফুজির সাথে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জামাই ও মেয়ের সুখের জন্য নগদ ৭লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকারও দেয় ফারজানার পরিবার। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্ম হওয়ার পর যৌতুক হিসেবে বাবার বাড়ি থেকে আরো ২০ লাখ টাকা আনার জন্য স্ত্রী ফারজানকে চাপ দিতে থাকে স্বামী জুবায়ের ও তার পরিবারের লোকজন। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না আনায় ফারজানার উপর নির্যাতন শুরু করে স্বামী, শাশুড়ী ও ননদ। সে সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে। এরই মধ্যে ফারজানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টাও করেন তারা। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকও হয়। শালিসের পরও ফারজানার উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। নির্যাতনের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে গেলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ফারজানা কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় স্ত্রী ফারজানা বাদী হয়ে ১২/১১/২০২৩ ইং তারিখে স্বামী জুবায়ের সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ২০০০ সালের সংশোধিত/০৩ এর ১১(গ)/৩০, যার মামলা নং-২১। ওই মামলায় গত ২৯/০৭/২০২৪ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে জামিন নিতে গেলে বিচারক জুবায়েরের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। জুবায়ের ০১/০৮/২৪ইং তারিখে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, এর আগেও তিনি মোটা অংকের যৌতুক নিয়ে এক কলেজ শিক্ষীকাকে বিয়ে করেন। পরে যৌতুক না পেয়ে ঐ স্ত্রীকেও নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। ওই শিক্ষীকা মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করেননি।