ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক

সাভারে উপজেলা প্রশাসনের মামলায় ‘অজ্ঞাত’ আসামি ৫ হাজার মামলার বাদী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই মামলা করা হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৬৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের পাকিজা এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। ছবিটি গত ১৯ জুলাই তোলা। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/ স্টার
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভার উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

সাভার উপজেলা পরিষদের ষাট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর খোরশেদুল ইসলাম রাশেদ গত ২৩ জুলাই সাভার মডেল থানায় এই মামলা করেন। মামলায় উপজেলা পরিষদে হামলা, ভাঙচুর ও বিজিবি সদস্যদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার ব্যাপারে খোরশেদুল ইসলাম রাশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। আসামিরা পরিষদের মূল ফটকসহ স্মৃতিসৌধের ছবি ভাঙচুর করে। উপজেলা অফিস ভবনে থাকা অনেকগুলো হার্ডবোর্ড ভাংচুর করে আগুন দিয়ে ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি করা হয়। এসময় তারা অফিসের সামনে গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর তারা অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুরে করে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ছয় প্লাটুন বিজিবি উপজেলা প্রাঙ্গণে আসে। আন্দোলনকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করলে আত্মরক্ষার্থে মোট ৮১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

সাভারে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ হতাহতদের কোনো তালিকা করেনি। নিহত হওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা এমনকি মরদেহের ময়নাতদন্তও হয়নি।

সাভারে মোট ১৫ মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৫টি মামলা হয়েছে এবং আশুলিয়া থানায় হয়েছে ছয়টি মামলা।

গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

এসব মামলায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৩৮ জন এবং আশুলিয়ায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানায় দায়ের করা ১৫টি মামলার মধ্যে ৬টি মামলার বাদী পুলিশ। চারটি মামলা করেছে পুড়ে যাওয়া চার বাস কর্তৃপক্ষ। একটি করে মামলার বাদী সাভার উপজেলা প্রশাসন, সরকারি পশু হাসপাতাল, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও এনটিভির ক্যামেরা পারসন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাভারে উপজেলা প্রশাসনের মামলায় ‘অজ্ঞাত’ আসামি ৫ হাজার মামলার বাদী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই মামলা করা হয়েছে

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের পাকিজা এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। ছবিটি গত ১৯ জুলাই তোলা। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/ স্টার
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভার উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

সাভার উপজেলা পরিষদের ষাট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর খোরশেদুল ইসলাম রাশেদ গত ২৩ জুলাই সাভার মডেল থানায় এই মামলা করেন। মামলায় উপজেলা পরিষদে হামলা, ভাঙচুর ও বিজিবি সদস্যদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার ব্যাপারে খোরশেদুল ইসলাম রাশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। আসামিরা পরিষদের মূল ফটকসহ স্মৃতিসৌধের ছবি ভাঙচুর করে। উপজেলা অফিস ভবনে থাকা অনেকগুলো হার্ডবোর্ড ভাংচুর করে আগুন দিয়ে ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি করা হয়। এসময় তারা অফিসের সামনে গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর তারা অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুরে করে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ছয় প্লাটুন বিজিবি উপজেলা প্রাঙ্গণে আসে। আন্দোলনকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করলে আত্মরক্ষার্থে মোট ৮১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

সাভারে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ হতাহতদের কোনো তালিকা করেনি। নিহত হওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা এমনকি মরদেহের ময়নাতদন্তও হয়নি।

সাভারে মোট ১৫ মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৫টি মামলা হয়েছে এবং আশুলিয়া থানায় হয়েছে ছয়টি মামলা।

গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

এসব মামলায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৩৮ জন এবং আশুলিয়ায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানায় দায়ের করা ১৫টি মামলার মধ্যে ৬টি মামলার বাদী পুলিশ। চারটি মামলা করেছে পুড়ে যাওয়া চার বাস কর্তৃপক্ষ। একটি করে মামলার বাদী সাভার উপজেলা প্রশাসন, সরকারি পশু হাসপাতাল, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও এনটিভির ক্যামেরা পারসন।