কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে দশটি রোম পুড়ে ছাই
- আপডেট টাইম : ০৫:৫০:৫৮ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
- / ৯৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের চান্দরা পল্লী বিদ্যুৎ দিঘীরপাড় এলাকায় (২২ মে) বুধবার এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে আগুনের প্রচুর ধোয়া দেখতে পাই। এরপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে এবং পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট এর মাধ্যমে আগুন লাগায় আমরা কেউই কাছে যেতে পারি নাই। পরে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার পর আশেপাশের শত শত মানুষ পানি দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। ততক্ষণে ঘরে থাকা ব্যবহার্য জিনিসপত্র, টাকা পয়সা, কাপড় চোপড়সহ ১০ টি একক পরিবারের সবকিছুই পুরে ছাই হয়ে গেছে।
তন্মধ্যে একটি রুমের ভাড়াটিয়া মামুন হোসেন জানান, আমি কাপড়ের ব্যবসা করি। গতকাল ত্রিশ হাজার টাকার কাপড় আমার দোকানের জন্য কিনে এনে বাসায় ঘরে রেখেছিলাম। কিন্তু আজ আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। আমার রুমে থাকা ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্র সহ আমার স্ত্রীর স্বর্ণ অলংকার কিছুই বের করতে পারি নাই। সবকিছু চোখের সামনে আগুনে দাউদাউ করে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, আমরা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় কাজ করি। দুপুরে যখন অগ্নিকাণ্ড হয় তখন আমরা সবাই যার যার কর্মস্থলে ছিলাম। খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি আমাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক মোঃ জসিম দেওয়ান বলেন, আমার বাড়ির ১০ রোমের ভাড়াটিয়াদের রোমে থাকা কোন কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুন লাগায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে আমার বাড়ির ঘর ও ভাড়াটিয়াদের রোমে সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই।
জসিম দেওয়ানকে তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির টিনের ঘরের ১০ টি রোম করতে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। তবে খুব দ্রুত নতুন করে ঘর তৈরি করে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর থাকার ব্যবস্থা করে দিবো।
এদিকে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রায় রায়হান চৌধুরী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার পর ফোন কলে পল্লী বিদ্যুৎ দিঘীরপাড় এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর রাস্তা সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের পানি বহনকারী গাড়ি আধা কিলোমিটার দূরে রেখে ঘটনা স্থলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে ঐ বাড়িতে আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই।