ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ॥ ইউনেস্কো

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:১৬:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • / ২৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে মন্তব্য করে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাই বলেছেন, জাতির পিতার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাষণে বৈশ্বিক মানবাধিকার ও মর্যাদার মূল্যবোধও প্রতিফলিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

ইউনেস্কো প্রধান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এটা বাংলাদেশকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করেছে। একইসঙ্গে স্বাধীনতা, মানবাধিকার, মর্যাদা এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির মত বৈশ্বিক মূল্যবোধের প্রতিফলনের কারণেও এটি তাৎপর্যপূর্ণ।”

ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ভাষণটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পেয়েছে মন্তব্য করে সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, “৫০ বছর আগে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক এ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেশটির স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব এই দিনটি উদযাপন করছে। ইউনেস্কো যে কারণে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেই একই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিয়েছে।”

ইউনেস্কো মহাসচিব আরো বলেন, “স্বাধীনতার পরের বছরই ইউনেস্কোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে সংযোগ তৈরি হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা এখনও রয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে। এই সহযোগিতা প্রথমত শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুর শিক্ষায়। এই সহযোগিতা ঐহিত্য সংরক্ষণেও।”

তিনি বলেন, ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে বন্ধনের কারণে বাংলাদেশের পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন ও জামদানিসহ বিভিন্ন কিছু ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইউনেস্কো মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব যখন একটি গভীর সংকট মোকাবেলা করছে, তখন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সহেযাগিতা পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রচলনের কথা উল্লেখ করে অ্যাজুলাই বলেন, আসুন আশাবাদী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি, কেননা মানবতার জন্য সংগ্রাম অধিকার, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যও সংগ্রাম।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনের সপ্তম দিনে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ॥ ইউনেস্কো

আপডেট টাইম : ০১:১৬:১০ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট।।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে মন্তব্য করে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাই বলেছেন, জাতির পিতার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাষণে বৈশ্বিক মানবাধিকার ও মর্যাদার মূল্যবোধও প্রতিফলিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

ইউনেস্কো প্রধান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এটা বাংলাদেশকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করেছে। একইসঙ্গে স্বাধীনতা, মানবাধিকার, মর্যাদা এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির মত বৈশ্বিক মূল্যবোধের প্রতিফলনের কারণেও এটি তাৎপর্যপূর্ণ।”

ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ভাষণটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পেয়েছে মন্তব্য করে সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, “৫০ বছর আগে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক এ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেশটির স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব এই দিনটি উদযাপন করছে। ইউনেস্কো যে কারণে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেই একই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিয়েছে।”

ইউনেস্কো মহাসচিব আরো বলেন, “স্বাধীনতার পরের বছরই ইউনেস্কোর সঙ্গে বাংলাদেশের যে সংযোগ তৈরি হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা এখনও রয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে। এই সহযোগিতা প্রথমত শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুর শিক্ষায়। এই সহযোগিতা ঐহিত্য সংরক্ষণেও।”

তিনি বলেন, ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে বন্ধনের কারণে বাংলাদেশের পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন ও জামদানিসহ বিভিন্ন কিছু ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইউনেস্কো মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব যখন একটি গভীর সংকট মোকাবেলা করছে, তখন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সহেযাগিতা পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রচলনের কথা উল্লেখ করে অ্যাজুলাই বলেন, আসুন আশাবাদী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি, কেননা মানবতার জন্য সংগ্রাম অধিকার, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যও সংগ্রাম।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনের সপ্তম দিনে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।