কুমিল্লা দেবিদ্বার থানার বাগুর গ্রামের প্রবাসী ইতালি আলমের স্ত্রী রোকসানা বেগমের পরকীয়ার কারণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
- আপডেট টাইম : ০২:৪৮:৩১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
- / ২৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
রোকসানা বেগমের দুই ছেলে এক মেয়ে।মেয়েটি দুই ছেলে থেকে বড়। মেয়েটিকে বিয়ে দেয় অর্থশালী এক পরিবারে। বিয়ের তিন মাস পার হতে না হতে রোকসানা বেগমের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায় তার ই মেয়ের স্বামীর কাছে। তার মেয়ের স্বামী হঠাৎ একদিন দেখে ওয়াড্রব এর ড্রয়ারের ভিতরে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফের রিপোর্ট সে অবাক হয় ulter রিপোর্ট পড়ে দেখে এইটা তার শাশুড়ির নামের আল্ট্রা।রোকসানা বেগমের মেয়ের স্বামী আরো অবাক হয়েছে।সে কাউকে কিছু না জিজ্ঞাসা করে সে আল্টার রিপোর্ট টা লুকিয়ে ফেলল। রোকসানা বেগম আল্ট্রার কপিটা অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাচ্ছিল না। তার মেয়ের স্বামী জিজ্ঞাসা করল আম্মু মনে হচ্ছে কি যেন একটা খুঁজতেছেন এত পেরেশানি কেন?রোকসানা বেগম বলে না একটা পেপার খুঁজতেছি। রোকসানার মেয়ের স্বামী বলল কিসের পেপার?একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে রোকসানা বেগম বুঝে যায় আল্ট্রার রিপোর্ট টা তার মেয়ের স্বামীর কাছে আছে। রোকসানা বেগমের মেয়ের স্বামী প্রশ্ন করে তার শাশুড়িকে। আমার শ্বশুর তো আজ পাঁচ বছর হয়ে গেছে ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেনা তাহলে আপনার পেটে যেই বাচ্চাটা আছে এটা কার? রোকসানা বেগমের মেয়ের স্বামী এই প্রশ্ন করার সাথে সাথে মেয়ের স্বামীর পায়ে ধরে কান্না করে দেয়। কান্না করে দিয়ে সে বলে বাবা তুমি আমার মান সম্মান নষ্ট করো না তোমার শ্বশুর আজ পাঁচ বছর হয় বাংলাদেশে আসে না তাই আমি একা একা থাকতে পারিনা।তাই আমি একটি ছেলেকে বয়ফ্রেন্ড বানাই তার সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।এই বাচ্চাটা আমার বয়ফ্রেন্ডেরই হবে। এই কথা শোনার সাথে সাথে তার মেয়ের স্বামীর যেন আকাশ থেকে কি একটা তার মাথার উপর পড়েছে।রোকসানা বেগমের মেয়ের স্বামী রোকসানা বেগমকে বলে। আম্মু আমরা মুসলমান এগুলা বিজাতিরা করে আমাদের মরতে হবে মনে রাখবেন। পরে রোকসানা বেগম অনেক কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে পাড়া প্রতিবেশী দুই এক জন রুমের মধ্যে চলে আসে। এসে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে আপনি কান্না করতেছেন কেন? রোকসানা বেগম বলে কিছুই না আপনারা এখান থেকে যান।রোকসানা বেগমের এলাকার মানুষ তার চরিত্র সম্পর্কে আগে থেকেই জানতো। তাই তারা কিছুটা উপলব্ধি করতে পেরেছে।আবার রোকসানা বেগম কোন ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে এটা তার মেয়ের স্বামী জেনে গেছি। এই নিয়ে তার পাড়া-প্রতিবেশী আলোচনা করেছে।এ ঘটনা গণমাধ্যমকে জানায় রোকসানা বেগমের স্বামীর এলাকার পাড়া-প্রতিবেশী।বহুরূপী রোকসানা বেগমের আরো কিছু তথ্য পাওয়া যায়।রোকসানা বেগম কুমিল্লা মুরাদনগর থানার বাবুটি পাড়ার ইউনিয়নের এক ছেলের সাথে প্রেম তার ছিল প্রায় তিন বছর। ওই ছেলের ও ছেলে মেয়ে ছিল রোকসানা বেগমের ও ছেলেমেয়ে আছে।তারা দুজন দুজনের সবকিছুই জানতো।একপর্যায়ে ওয়াদা বদ্ধ হয় তারা বিয়ে করবে। কিন্তু রোকসানা বেগম ওই ছেলের থেকে ১৭ লাখ টাকা খেয়ে পরে আর বিয়ে বসেনি। রোকসানা বেগমের প্রেমিকা গণমাধ্যমকে জানায়।আমাকে রোকসানা বেগম একদিন দেবিদ্বার থানার বাগুর এলাকায় দেখা করবে বলে আমাকে ডাকে। আমি সরল মনে তার সাথে দেখা করতে যাই। রোকসানা বেগম আমার সাথে দেখা করে নাই।কিন্তু তার কিছু সন্ত্রাস বাহিনী আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। আমাকে মারতে মারতে রোকসানা বেগমের সন্ত্রাস বাহিনী বলতেছে আর কোনদিন রোকসানা বেগমের সাথে প্রেম করবি নি।রোকসানা বেগম শুধু আমার। তোর কাছে নাকি রোকসানা বেগমের কিছু উলঙ্গ ছবি আছে এগুলো বের কর। আমাদের সামনে এগুলো ডিলিট কর। পরে রোকসানা বেগমের সন্ত্রাস বাহিনীর অত্যাচারে তার সাথে দীর্ঘ তিন বছর সম্পর্কের ছবিগুলো ছিল সব ডিলিট করে দেয়। রোকসানা বেগমের স্বামীর ছোট ভাই শাহ আলম গণমাধ্যমকে জানায় আমরা তিন ভাই। তার মধ্যে রোকসানা বেগমের স্বামী আলম আমার বড় ভাই। আমার বড় ভাইয়ের সাথে রোকসানা বেগমের ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের দুইদিন পরে আমার ভাবি অর্থাৎ রোকসানা বেগম তার বাবার বাড়িতে যায়। যাওয়ার পর দীর্ঘ চার বছর আর আমাদের বাড়িতে আসে নাই। কেন আসে নাই এটা আমরা কেউ বলতে পারিনা। আমার ভাইকে পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন মা-বাবা সবাই বুঝালো তুই আরেকটি বিয়ে কর। আমার ভাই উত্তরে বলল বিয়ে জীবনে একটাই। অনেক কাহিনীর পর রোকসানা বেগম চার বছর পর আমার ভাইয়ের জীবনে আবার আসে। আসার পর আজ ২০ বছর হয়ে গেছে একদিন আমার মাকে এক মুঠো ভাত দেয়নি।আমার মার সাথে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। আমি দেখতাম রোকসানা বেগম প্রায় সময় মোবাইল ফোন কানে থাকে। আমার ভাইয়ের সাথে বেশি একটা কথা বলত না ফোনে।কার সাথে কথা বলে আমি তাকে সন্দেহ করতে শুরু করলাম। দেখলাম রোকসানা বেগম কয়েকটি পর-পুরুষের সাথে ফোনে কথা বলে। আমরা বিষয়টি আমার বড় ভাইকে জানাই।আমার বড় ভাই রোকসানা বেগমকে অনেক ভাবে বুঝাতো কিন্তু রোকসানা বেগম বুঝতেই চাইত না।বলতো আমাকে তুমি ডিভোর্স দিয়ে দাও।একদিন আমি রোকসানা বেগমকে হাতেনাতে এক পুরুষের সাথে ধরে ফেলি। ধরে রোকসানা বেগমের চুলে ধরে চেঁচিয়ে ঘাটে নিয়ে তাকে অনেক মারধর করি।রোকসানা বেগম মার খেয়ে আমাদেরকে এবং আমার বাড়ির সবাই কে বলে যে আর কখনো পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক করবে না। এক দুই মাস ঠিক ছিল আবার সে বিভিন্ন পুরুষের সাথে ওঠাবসা করতো এবং আমাদের বাড়ি থেকে চলে গিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। আমার ভাই দীর্ঘ ২০ বছর ইতালি থাকে কিন্তু আজ পর্যন্ত এই রোকসানা বেগমের কুকর্মের কারণে একটি বাড়ি ও করতে পারে নাই। আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বলেন যারা ২০ বছর ইতালি থাকে তারা কতগুলো বাড়ি করেছে এই পর্যন্ত।কিন্তু ভাই এই রোকসানা বেগমের পরকীয়া প্রেমের কারণে একটি বাড়িও এ পর্যন্ত করতে পারে নাই। আমার ভাই বিদেশ থেকে টাকা পয়সা পাঠালে হোটেলে -রেস্টুরেন্ট ঘুরে বেড়ায়।আরো অনুসন্ধান করে জানা যায় রোকসানা বেগমের সকল কুকর্মের কথা রোকসানা বেগমের মেয়ের স্বামী জেনে যাওয়ার পর। মেয়ের বিয়ের সাত মাস পর রোকসানা বেগম রোকসানা বেগমের মেয়েকে ইতালি নিয়ে যায়। ইতালি নিয়ে গিয়ে ঢাকার এক ছেলের কাছে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয় টাকার লোভে পড়ে। এখন বর্তমানে রোকসানা বেগম, রোকসানা বেগমের স্বামী আলম, এবং মেয়ে, মেয়ের দ্বিতীয় স্বামী নিয়ে ইতালিতে বসবাস করছে।আরো জানা যায় রোকসানা বেগম দুই মাস পর বাংলাদেশে আসবে এবং ভুক্তভোগীরা তাকে গণপিটুনি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এবং তারা মামলাও করবে বলে গণমাধ্যমকে জানায়। এসব দুষ্কৃতিকারী রোকসানা বেগমকে আইনের আওতায় এনে সাজা প্রধানের অনুরোধ জানায় কুমিল্লার সুশীল সমাজ কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নিকট।