রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন জুতার দোকানের কর্মচারী রাস্তাতে ধরে মাদক মামলায় ফাসালেন পুলিশ অভিযোগ করেন ফরিদ
- আপডেট টাইম : ০৯:১৩:২৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
- / ১৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
মাঝ রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এমাদুল। এরপর ফরিদের স্ত্রীকে ফোন করেন এসআই এমাদুল। দাবি করেন ৫০ হাজার টাকা। বলেন, এই টাকা না দিলে তার স্বামীকে মাদক মামলায় আসামি করা হবে। পরে স্বামীকে বাঁচাতে ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন ফরিদের স্ত্রী। এমাদুলের কথামতো রাতেই ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে নেন তার স্ত্রী। আর ৫ হাজার টাকা বাকি রাখেন তিনি। বাকির ৫ হাজার টাকা ২ দিন পরে দেন এসআই এমাদুলকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহ আলী থানা এলাকার সাধারণ মানুষকে রাস্তাঘাট থেকে ধরে নিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে পকেটে থাকা সব টাকা বের করে নেন এসআই এমাদুল। তাতেও কম পড়লে সেই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ডেকে নিয়ে আদায় করেন আরও টাকা। তাৎক্ষণিক দাবিকৃত অর্থ দিতে না পারলে বাকিতে রেখে পরে সেই টাকা আদায় করা হয়। তার এসব অপকর্মের সঙ্গী একই থানার এএসআই কামরুজ্জামান এবং এএসআই বদরুজ্জামান।
ভুক্তভোগী মো. ফরিদ সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি শাহ আলী মার্কেটের একটি জুতার দোকানে কাজ করি। গত ১৪ রোজার দিনে আমি রাতে দোকান থেকে হাইটা আসিতেছিলাম। তখন সেখান থেকে এসআই এমাদুল আমাকে ধরে নিয়ে শাহ আলী থানার টিনশেডে নিয়ে যাইয়া আমারে আটকাইয়া ফালায়। এরপর আমারে কয় ফ্যামিলিরে ফোন দে। তারপর আমি আমার ওয়াইফরে ফোন দিছি। এরপর এসআই এমাদুল আমার স্ত্রীকে বলে ওনাকে ছাড়াতে হলে ৫০ হাজার টাকা লাগবে। ওনার কাছে মদের বোতল পাইছি। আসলে আমার কাছে কিছুই পায় নাই। আমি পান ছাড়া জীবনে কিছুই খাই নাই।’