ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

রায়পুরে ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড়

  • আপডেট টাইম : ১১:০৭:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১২৪ ৫০০.০০০ বার পাঠক

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পৌর শহরের দোকানিরা নতুন পোশাকে সাজিয়ে তুলছেন দোকানসহ শপিংমল গুলো। উপজেলার পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে ঈদের জামা কাপড় কিনতে পৌর শহরে কাপড়ের দোকানে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। চৈত্র মাসের তাপদাহ উপেক্ষা করে ক্রেতাদের আগমনে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভিড়। মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্য শ্রেণির ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন বেশী। উপজেলা জুড়ে এখনই ছড়িয়ে পড়েছে যেন ঈদ আনন্দ। জমজমাট বেচাকেনায় এবারের ঈদে খুশি ব্যবসায়ীরাও।

রায়পুর পৌর শহরের গাজী সুপার মার্কেট, হায়দর কমপ্লেক্স মিয়াজি মার্কেট, একতা শপিং মল মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মার্কেট শপিং মল গুলোতে অন্যান্য বছরে তুলনায় ঈদের কালেকশন তুলনামূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের পছন্দ ও প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে নিয়ে যান নিজ নিজ এলাকায়। শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, বোরকা, গজ কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স সহ কোনো কিছুরই কমতি নেই দোকানগুলোতে। এবার বাচ্চাদের ও নারীদের পোশাকে বিভিন্ন রকম ডিজাইনে বৈচিত্র এসেছে বেশ।

উপজেলার পৌর শহরের শাড়ির দোকান ও থ্রি-পিচের দোকানসহ প্রতিটি মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা নানা অজুহাত দিয়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পৌর শহরের মেইন রোডসহ গাজী সুপার মার্কেট, হায়দর কমপ্লেক্সে মিয়াজি মার্কেট, একতা শপিং মল, হায়দরগঞ্জ বাজারের কয়েকটি মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত দোকানগুলো। প্রতিটি মার্কেটের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে ঈদের পোশাক। এমদাদ মিয়াাজি রোড বাটা, এপেক্স, আফজাল-সু, লোটো সহ জুতোর শোরুম গুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের অধিকাংশই নিন্ম ও নিন্ম মধ্য বিত্তশ্রেণীর।

ঈদ উৎসবের জন্য কেনা করতে আসা অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এবারের ঈদের কালেকশন তুলনা মূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোয়া। মার্কেট গুলোতে কাপড়ের পোশাকের দাম নেওয়া হচ্ছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে এবার চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবি ১ হাজার টাকা ছিল এবার তা দেড় হাজার টাকায় ক্রেতারা কিনতে পেরেছে। তাছাড়া শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের পোশাক ও শিশুদের পোশাকে দাম হাকানো হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বেশি। সদর রোড এলাকায় গড়ে ওঠা অত্যাধুনিক মার্কেটগুলোকে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে কাপড়, শাড়ি,থ্রি পিস, জুতা, স্যান্ডেল থেকে শুরু করে ঈদে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী। তবে শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন কাঞ্চি বরণ শাড়ি এই বছর ঈদে ব্যাপক চাহিদা।

হায়দর কমপ্লেক্সের জননী বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারি সুশিল সাহা ও ভূইয়া গার্মেন্টের মালিক মো: হেলাল উদ্দিন জানান, এই বছর বিক্রি ভালো,ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে আমাদের বেশি কথা বলতে হয়,কারণ আমরা ঢাকা থেকে পাইকারদের কাছ থেকে গত বছরগুলোর তুলনায় এই বছর অনেক বেশি দামে কাপড় ক্রয় করতে হয়েছে বলে বিক্রি করতে গেলেও একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।
ক্রেতা দেবীপুর গ্রামের মো: আশরাফুল আলম জীবন ও পূর্বলাছ গ্রামের প্রদীপ কুমার রায় বলেন, বেচাকেনা অনেক বেশী। গত বছর দেখেছি উচ্চ বিত্তেরই যেন ঈদ। এবছরই গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্য ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। নিন্ম এবং মধ্য নিন্মবিত্ত শ্রেণির মানুষ দেদারছে কেনাকাটা করছেন। বাজারের চড়া দামের কারণে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান জানান, ঈদ মার্কেট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে। কোন মার্কেট বা শপিংমলে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রয় করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের মোবাইল কোর্ট টিম চালু রয়েছে। যদি কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রায়পুরে ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড়

আপডেট টাইম : ১১:০৭:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পৌর শহরের দোকানিরা নতুন পোশাকে সাজিয়ে তুলছেন দোকানসহ শপিংমল গুলো। উপজেলার পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে ঈদের জামা কাপড় কিনতে পৌর শহরে কাপড়ের দোকানে আসছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। চৈত্র মাসের তাপদাহ উপেক্ষা করে ক্রেতাদের আগমনে এখন স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভিড়। মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্য শ্রেণির ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন বেশী। উপজেলা জুড়ে এখনই ছড়িয়ে পড়েছে যেন ঈদ আনন্দ। জমজমাট বেচাকেনায় এবারের ঈদে খুশি ব্যবসায়ীরাও।

রায়পুর পৌর শহরের গাজী সুপার মার্কেট, হায়দর কমপ্লেক্স মিয়াজি মার্কেট, একতা শপিং মল মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মার্কেট শপিং মল গুলোতে অন্যান্য বছরে তুলনায় ঈদের কালেকশন তুলনামূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের পছন্দ ও প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে নিয়ে যান নিজ নিজ এলাকায়। শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, ওড়না, বোরকা, গজ কাপড়, জুতা, কসমেটিক্স সহ কোনো কিছুরই কমতি নেই দোকানগুলোতে। এবার বাচ্চাদের ও নারীদের পোশাকে বিভিন্ন রকম ডিজাইনে বৈচিত্র এসেছে বেশ।

উপজেলার পৌর শহরের শাড়ির দোকান ও থ্রি-পিচের দোকানসহ প্রতিটি মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বিক্রেতারা নানা অজুহাত দিয়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পৌর শহরের মেইন রোডসহ গাজী সুপার মার্কেট, হায়দর কমপ্লেক্সে মিয়াজি মার্কেট, একতা শপিং মল, হায়দরগঞ্জ বাজারের কয়েকটি মার্কেট ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত দোকানগুলো। প্রতিটি মার্কেটের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে ঈদের পোশাক। এমদাদ মিয়াাজি রোড বাটা, এপেক্স, আফজাল-সু, লোটো সহ জুতোর শোরুম গুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের অধিকাংশই নিন্ম ও নিন্ম মধ্য বিত্তশ্রেণীর।

ঈদ উৎসবের জন্য কেনা করতে আসা অনেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এবারের ঈদের কালেকশন তুলনা মূলকভাবে ভাল হলেও দাম আকাশ ছোয়া। মার্কেট গুলোতে কাপড়ের পোশাকের দাম নেওয়া হচ্ছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে এবার চড়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর যে পাঞ্জাবি ১ হাজার টাকা ছিল এবার তা দেড় হাজার টাকায় ক্রেতারা কিনতে পেরেছে। তাছাড়া শার্ট, প্যান্ট, মেয়েদের পোশাক ও শিশুদের পোশাকে দাম হাকানো হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে বেশি। সদর রোড এলাকায় গড়ে ওঠা অত্যাধুনিক মার্কেটগুলোকে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে কাপড়, শাড়ি,থ্রি পিস, জুতা, স্যান্ডেল থেকে শুরু করে ঈদে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী। তবে শাড়ি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন কাঞ্চি বরণ শাড়ি এই বছর ঈদে ব্যাপক চাহিদা।

হায়দর কমপ্লেক্সের জননী বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারি সুশিল সাহা ও ভূইয়া গার্মেন্টের মালিক মো: হেলাল উদ্দিন জানান, এই বছর বিক্রি ভালো,ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে আমাদের বেশি কথা বলতে হয়,কারণ আমরা ঢাকা থেকে পাইকারদের কাছ থেকে গত বছরগুলোর তুলনায় এই বছর অনেক বেশি দামে কাপড় ক্রয় করতে হয়েছে বলে বিক্রি করতে গেলেও একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।
ক্রেতা দেবীপুর গ্রামের মো: আশরাফুল আলম জীবন ও পূর্বলাছ গ্রামের প্রদীপ কুমার রায় বলেন, বেচাকেনা অনেক বেশী। গত বছর দেখেছি উচ্চ বিত্তেরই যেন ঈদ। এবছরই গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্য ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। নিন্ম এবং মধ্য নিন্মবিত্ত শ্রেণির মানুষ দেদারছে কেনাকাটা করছেন। বাজারের চড়া দামের কারণে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান জানান, ঈদ মার্কেট ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে। কোন মার্কেট বা শপিংমলে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রয় করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের মোবাইল কোর্ট টিম চালু রয়েছে। যদি কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।