ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজধানীর ঝিগাতলায় দাপটের সাথে দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকিপুর্ন অবৈধ ভবন ” হক মেনশন” ! রাজউকের সম্মানিত চাকুরেদের রহস্যজনক দুর্নীতির ফলে উক্ত ভবনের বিরুদ্ধে বহুবছর যাবত একাধিক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও ভাঙার আদেশ অপকৌশলে ফাইলচাপা পরে আছে!

খবরে প্রকাশ, এই “হক মেনশন” ভবনটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রক্ষার কাজে গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত রাজউকের বড় কর্মকর্তারা। এলাকাবাসী সহ আশেপাশের বিভিন্ন সচেতন মহলের একাধিক লিখিত অভিযোগ ২০১০-২০১১ সালে জমা হয়। তখন রাজউক থেকে ভবনটি ভাঙতে আদেশ দিলেও বাড়িওয়ালা ভাঙেনি এই ভবন। আর কোন পদক্ষেপও নেননি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ ঘুষখোর কর্মকর্তারা।

জানা গেছে , রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ২১/১ হোল্ডিংস্থ ৬ তলা বিশিষ্ট “হক মেনশন” মার্কেটটি রাজউক প্লান ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। ৬ কাঠা জমির উপর নির্মিত উক্ত মার্কেট বর্তমানে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উক্ত ভবনে নেই কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি যা কিনা খুবই সংকীর্ণ। নিচতলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত অনেক দোকান ও অফিস আছে। চারতলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত আবাসিক হোটেল রয়েছে যেখানে অনেক লোক আসা যাওয়া এবং রাত্রি যাপন করে।প্রকাশ্যেই জানা যায়, সেই আবাসিক হোটেলে নানান অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ চলে।

এই প্রসঙ্গে এলাকাবাসীরা জানান, মালিকদের সাথে এসব ব্যাপারে প্রায়ই বিভিন্ন লোকের বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে। মালিকদের বেহায়ামি ও দাপুটে প্রভাবে আমরা চরম অতিষ্ট।আমরা অনেকবার রাজউকে এই ভবনটি ভাংতে অনুরোধ করেছি।কিন্তু, প্রতিবারই তারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।ভবনটির ভেতর-বাহির বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।যে কোন মুহূর্তে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার ক্ষতিপুরন কি সেই মিথ্যাবাদীরা দেবে ? আসলে রাজউক যে ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা এতোদিন বুঝতে পারিনি।কি আজব ব্যাপার, এটাকি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ নাকি মগের মুল্লুক!

ভবন মালিকদের সাথে সরেজমিনে কথা বলতে গেলে একাধিক বার তারা নানান অযুহাত ও ব্যাস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান। দেখা গেছে, তারা বেপরোয়া ভাবে ও নিশ্চিন্ত মনে অবৈধ ভবনটির ভাড়া উত্তোলন ও বিভিন্ন দাপুটে ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে পকেট ভারী করা সহ নানান ভোগ বিলাসিতায় বাস্তবেই মহাব্যাস্ত! পাছে বাড়ির কুচক্রী মালিকদের দ্বারা বিভিন্ন ব্যাক্তিকে বলতে শোনা গেছে, “আমরা এই ভবন রাজউকের ভালো অফিসারদের ম্যানেজ করেই টিকিয়ে রেখেছি।তাই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে আমরা বাধ্য নই ! তারা যা ইচ্ছা লিখুক কিন্তু, কিছুই করতে পারবে না” !

উক্ত এলাকা সংশ্লিষ্ট ৫/৩ জোনের বর্তমান পরিদর্শক আবু সায়েম গণমাধ্যমকে জানান,আমি ভবনটির ব্যাপারে দ্রুত ব্যাবস্থা নেব। সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইনাম বলেন,আমি এই অঞ্চলে নতুন এসেছি মাত্র।আমি কখনোই অনিয়ম প্রশ্রয় দিইনা।খুব জলদি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

স্থানীয় জনতার দাবী, আমরা এখন কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। অতি দ্রুত এই ভবন সরাসরি ভেংগে ফেলতে হবে। সেই সাথে এক যুগের বেশি সময় ধরে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আর মোটা টাকা খেয়ে যারা উদরপূর্তি করেছে রাজউকের যেই ভন্ড অফিসাররা তাদের উচিত বিচার কি আদৌ করা হবে নাকি বিচারক মহাশয়েরাও গোপনে এদের মদদদাতা হিসেবে আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ভবন উচ্ছেদ করার বিষয়ে রাজউক আশা বা মিথ্যা আশ্বাস দিলেও রাজউকের দূর্নীতিবাজদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউই। অচিরেই আমরা সেই দুর্নীতিবাজ হারামখোরদের উচিত বিচার জনসম্মুখে দেখতে চাই।

এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে সঠিক সুরাহা সহ অভিযুক্ত ততকালীন রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে (অথরাইজড ও সহকারী অথরাইজড অফিসার, পরিদর্শক ও অন্যান্য) তদন্ত, জবাবদিহিতা ও উচিত বিচারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ দুদকের সুদৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর ঝিগাতলায় দাপটের সাথে দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকিপুর্ন অবৈধ ভবন ” হক মেনশন” ! রাজউকের সম্মানিত চাকুরেদের রহস্যজনক দুর্নীতির ফলে উক্ত ভবনের বিরুদ্ধে বহুবছর যাবত একাধিক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও ভাঙার আদেশ অপকৌশলে ফাইলচাপা পরে আছে!

খবরে প্রকাশ, এই “হক মেনশন” ভবনটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রক্ষার কাজে গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত রাজউকের বড় কর্মকর্তারা। এলাকাবাসী সহ আশেপাশের বিভিন্ন সচেতন মহলের একাধিক লিখিত অভিযোগ ২০১০-২০১১ সালে জমা হয়। তখন রাজউক থেকে ভবনটি ভাঙতে আদেশ দিলেও বাড়িওয়ালা ভাঙেনি এই ভবন। আর কোন পদক্ষেপও নেননি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ ঘুষখোর কর্মকর্তারা।

জানা গেছে , রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ২১/১ হোল্ডিংস্থ ৬ তলা বিশিষ্ট “হক মেনশন” মার্কেটটি রাজউক প্লান ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। ৬ কাঠা জমির উপর নির্মিত উক্ত মার্কেট বর্তমানে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উক্ত ভবনে নেই কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি যা কিনা খুবই সংকীর্ণ। নিচতলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত অনেক দোকান ও অফিস আছে। চারতলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত আবাসিক হোটেল রয়েছে যেখানে অনেক লোক আসা যাওয়া এবং রাত্রি যাপন করে।প্রকাশ্যেই জানা যায়, সেই আবাসিক হোটেলে নানান অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ চলে।

এই প্রসঙ্গে এলাকাবাসীরা জানান, মালিকদের সাথে এসব ব্যাপারে প্রায়ই বিভিন্ন লোকের বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকে। মালিকদের বেহায়ামি ও দাপুটে প্রভাবে আমরা চরম অতিষ্ট।আমরা অনেকবার রাজউকে এই ভবনটি ভাংতে অনুরোধ করেছি।কিন্তু, প্রতিবারই তারা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।ভবনটির ভেতর-বাহির বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে।যে কোন মুহূর্তে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার ক্ষতিপুরন কি সেই মিথ্যাবাদীরা দেবে ? আসলে রাজউক যে ভন্ড ও দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা এতোদিন বুঝতে পারিনি।কি আজব ব্যাপার, এটাকি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ নাকি মগের মুল্লুক!

ভবন মালিকদের সাথে সরেজমিনে কথা বলতে গেলে একাধিক বার তারা নানান অযুহাত ও ব্যাস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান। দেখা গেছে, তারা বেপরোয়া ভাবে ও নিশ্চিন্ত মনে অবৈধ ভবনটির ভাড়া উত্তোলন ও বিভিন্ন দাপুটে ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে পকেট ভারী করা সহ নানান ভোগ বিলাসিতায় বাস্তবেই মহাব্যাস্ত! পাছে বাড়ির কুচক্রী মালিকদের দ্বারা বিভিন্ন ব্যাক্তিকে বলতে শোনা গেছে, “আমরা এই ভবন রাজউকের ভালো অফিসারদের ম্যানেজ করেই টিকিয়ে রেখেছি।তাই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে আমরা বাধ্য নই ! তারা যা ইচ্ছা লিখুক কিন্তু, কিছুই করতে পারবে না” !

উক্ত এলাকা সংশ্লিষ্ট ৫/৩ জোনের বর্তমান পরিদর্শক আবু সায়েম গণমাধ্যমকে জানান,আমি ভবনটির ব্যাপারে দ্রুত ব্যাবস্থা নেব। সংশ্লিষ্ট অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইনাম বলেন,আমি এই অঞ্চলে নতুন এসেছি মাত্র।আমি কখনোই অনিয়ম প্রশ্রয় দিইনা।খুব জলদি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

স্থানীয় জনতার দাবী, আমরা এখন কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। অতি দ্রুত এই ভবন সরাসরি ভেংগে ফেলতে হবে। সেই সাথে এক যুগের বেশি সময় ধরে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আর মোটা টাকা খেয়ে যারা উদরপূর্তি করেছে রাজউকের যেই ভন্ড অফিসাররা তাদের উচিত বিচার কি আদৌ করা হবে নাকি বিচারক মহাশয়েরাও গোপনে এদের মদদদাতা হিসেবে আছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ভবন উচ্ছেদ করার বিষয়ে রাজউক আশা বা মিথ্যা আশ্বাস দিলেও রাজউকের দূর্নীতিবাজদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেউই। অচিরেই আমরা সেই দুর্নীতিবাজ হারামখোরদের উচিত বিচার জনসম্মুখে দেখতে চাই।

এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে সঠিক সুরাহা সহ অভিযুক্ত ততকালীন রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে (অথরাইজড ও সহকারী অথরাইজড অফিসার, পরিদর্শক ও অন্যান্য) তদন্ত, জবাবদিহিতা ও উচিত বিচারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ দুদকের সুদৃষ্টি কামনা করা হচ্ছে।