ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

সারাদেশরাজধানী এত মৃত্যুর কারণ কী?

সময়ের কণ্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশির ভাগের শরীরে পোড়া দাগ নেই। কারো কারো পোড়া দাগ থাকলেও তা মৃত্যুঝুঁকির মতো মারাত্মক নয়। তাহলে এত মৃত্যুর কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, মৃত্যুর কারণ ‘কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং’, যাকে সহজ ভাষায় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বলা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান (অরেঞ্জ) প্রবীর চন্দ্র দাস বলেন, যে কত জন মারা গেছেন, তাদের সবার মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১০ জনকে আহত ভেবে আনা হয়েছিল। তাদের মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং। আহত ব্যক্তিরা আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট বন্ধ ঘরে কালো ধোঁয়ার মধ্যে আটকে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের সাততলা ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

Untitled-1
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আগুনে পোড়ার ক্ষতচিহ্ন কম। তারা মূলত কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গতকাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মারা গেছেন মোট ৪৬ জন। আহত রয়েছেন ১২ জন। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা বন্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে না, তখন ঐ ধোঁয়া শ্বাসনালিতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে, তারা মারা গেছেন।

বেইলী রোডে আগুনের ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সাততলা ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওপরের তলা থেকে ৫০ জনের মতো মানুষ ছাদে আশ্রয় নেন। অনেকে ভবনের বিভিন্ন তলায় ছিলেন। সেখানে প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সারাদেশরাজধানী এত মৃত্যুর কারণ কী?

আপডেট টাইম : ০৮:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশির ভাগের শরীরে পোড়া দাগ নেই। কারো কারো পোড়া দাগ থাকলেও তা মৃত্যুঝুঁকির মতো মারাত্মক নয়। তাহলে এত মৃত্যুর কারণ কী? চিকিৎসকরা বলছেন, মৃত্যুর কারণ ‘কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং’, যাকে সহজ ভাষায় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বলা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান (অরেঞ্জ) প্রবীর চন্দ্র দাস বলেন, যে কত জন মারা গেছেন, তাদের সবার মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১০ জনকে আহত ভেবে আনা হয়েছিল। তাদের মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং। আহত ব্যক্তিরা আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট বন্ধ ঘরে কালো ধোঁয়ার মধ্যে আটকে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের সাততলা ভবনটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

Untitled-1
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আগুনে পোড়ার ক্ষতচিহ্ন কম। তারা মূলত কালো ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গতকাল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মারা গেছেন মোট ৪৬ জন। আহত রয়েছেন ১২ জন। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা বন্ধ ঘর থেকে বের হতে পারে না, তখন ঐ ধোঁয়া শ্বাসনালিতে চলে যায়। প্রত্যেকেরই তা হয়েছে। যাদের বেশি হয়েছে, তারা মারা গেছেন।

বেইলী রোডে আগুনের ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সাততলা ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওপরের তলা থেকে ৫০ জনের মতো মানুষ ছাদে আশ্রয় নেন। অনেকে ভবনের বিভিন্ন তলায় ছিলেন। সেখানে প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার কারণে তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।