ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

চট্রগ্রাম সিটির দুর্নীতিগ্রস্থ সুদীপ বসাকের বদলির আদেশ গাজীপুর সিটিতে

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  • ৮৮ ০.০০০ বার পাঠক

বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম সিটির চিহ্নিত দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তা সুদীপ বসাককে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ৬৮ ধারার ক্ষমতা বলে প্রশাসনিক প্রয়োজনে এই আদেশ দেয়া হয়।

আলোচিত এই কর্মকর্তা সুদীপ বসাক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত ছিলেন । এর আগে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন সেখানে তিনি।

এসময় করপোরেশনের নানা প্রকল্পে অনিয়ম, স্বজন প্রীতি, দুর্নীতি, অবৈধ নিয়োগসহ কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
২০০৬ সালের ৯ জুলাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দৈনিক চুক্তির ভিত্তিতে যান্ত্রিক শাখায় (পুল) উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন সুদীপ বসাক। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর সুদীপ বসাকসহ আরও পাঁচ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর চাকরি নিয়মিত করা হয়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দিয়ে ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকার পরও মাত্র ১০ বছরেই তিনি হয়ে উঠেছেন রীতিমতো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। নানা অভিযোগ থাকলেও তদন্ত বা শাস্তি তো দূরের কথা, উল্টো একের পর এক নিয়ম বর্হিভুতভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে সহকর্মী ও সাধারন মানুষের সবচেয়ে অভিযোগ ছিল এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
একাধিক তদন্ত হলেও বারবার রহস্যজনক ভাবে কোন অদৃশ্য কারনে পাড় পেয়ে যান আলোচিত এই কর্মকর্তা তা বোধগম্য নয়।
সুদীপ বসাকের দুর্নীতির ১ম পর্ব –
(চলবে)

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

চট্রগ্রাম সিটির দুর্নীতিগ্রস্থ সুদীপ বসাকের বদলির আদেশ গাজীপুর সিটিতে

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম সিটির চিহ্নিত দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তা সুদীপ বসাককে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বদলি করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ৬৮ ধারার ক্ষমতা বলে প্রশাসনিক প্রয়োজনে এই আদেশ দেয়া হয়।

আলোচিত এই কর্মকর্তা সুদীপ বসাক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত ছিলেন । এর আগে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন সেখানে তিনি।

এসময় করপোরেশনের নানা প্রকল্পে অনিয়ম, স্বজন প্রীতি, দুর্নীতি, অবৈধ নিয়োগসহ কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
২০০৬ সালের ৯ জুলাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দৈনিক চুক্তির ভিত্তিতে যান্ত্রিক শাখায় (পুল) উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন সুদীপ বসাক। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর সুদীপ বসাকসহ আরও পাঁচ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর চাকরি নিয়মিত করা হয়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগ দিয়ে ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকার পরও মাত্র ১০ বছরেই তিনি হয়ে উঠেছেন রীতিমতো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। নানা অভিযোগ থাকলেও তদন্ত বা শাস্তি তো দূরের কথা, উল্টো একের পর এক নিয়ম বর্হিভুতভাবে পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে সহকর্মী ও সাধারন মানুষের সবচেয়ে অভিযোগ ছিল এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
একাধিক তদন্ত হলেও বারবার রহস্যজনক ভাবে কোন অদৃশ্য কারনে পাড় পেয়ে যান আলোচিত এই কর্মকর্তা তা বোধগম্য নয়।
সুদীপ বসাকের দুর্নীতির ১ম পর্ব –
(চলবে)