ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম-১৫ সংসদীয় আসনের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষ্যে সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল জামায়াত টঙ্গীর মাদক সম্রাজ্ঞী মোমেলা কোটি টাকার বাড়ি-গাড়ি রেখে থাকেন বস্তিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক চলছে ৬ বিজ্ঞানী নিহত, জরুরি অধিবেশন ডেকেছে ইরান দিনাজপুরে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা আহত ৬ লন্ডনে ড. ইউনূস-সাথে তারেক রহমান সৌজন্যে সাক্ষাৎ যুদ্ধের দামামা এবার ইসরায়েলে ইরানের হামলা শুরু শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শতাধিক আহত ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে

লন্ডনে ড. ইউনূস-সাথে তারেক রহমান সৌজন্যে সাক্ষাৎ

লন্ডন অফিস থেকে
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • / ৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ছবি : সংগৃহীত

আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অনেক চাওয়া-পাওয়া, প্রত্যাশা ও প্রতীক্ষার দিন। কারও কারও ভাষায় রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট কিংবা নবদিগন্তের সূচনা হওয়ার দিন। যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আজকের বৈঠককে সামনে রেখে এমন সব শব্দ-বাক্যই উচ্চারিত হচ্ছে চারদিকে।

বিশেষ করে অতিমাত্রায় রাজনীতিচর্চায় অভ্যস্ত দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে ও প্রাণে এ বৈঠককে ঘিরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ও ফলাফল জানার জন্য দেশে ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা-আগ্রহের যেন কমতি নেই। লন্ডন বৈঠককে সামনে রেখে যেভাবে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে তাতে করে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ বৈঠকটি এখন ‘রাজনীতির শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ’।

আজ দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা (স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা) পর্যন্ত লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ঐতিহাসিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকটি ‘ওয়ান টু ওয়ান’ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো যুগান্তরকে দুরকম তথ্য দিয়েছে। কেউ বলছেন, পুরো বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার এবং ‘ওয়ান টু ওয়ান’ হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বৈঠকের একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একান্তে আলাপ করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি কীভাবে হবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এপ্রিলের প্রথমার্ধ আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র ২ মাস।

তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সমর্থন-সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজও এ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করে ফেলা সম্ভব হবে। তখন সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত ২ মাস সময় নিয়ে উত্তপ্ত বৈরী আবহাওয়া আর রমজানজুড়ে নির্বাচনি কর্মকাণ্ডের মধ্যে দেশকে নিয়ে যেতে হবে না। এক্ষেত্রে শুধু দরকার দুপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থার সম্পর্ক, যা সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের সাথে বিএনপির যে আস্থার সংকট চলছে সেটা নিরসন হওয়া দরকার। সেটা দলের চেয়ে দেশের স্বার্থেই বেশি প্রয়োজন।’

এই বিশ্লেষক মনে করছেন, সংকট কাটাতে সরকার প্রধানের সাথে বিএনপির এই বৈঠকটি হতে পারে সেই টার্নিং পয়েন্ট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু থাকে না। রাজনীতিতে যে কোন সম্ভাবনাই থাকে। এই বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সংকট রয়েছে সেটার আপাততভাবে খানিকটা নিরসনও হতে পারে।’

যে কারণে বিশ্লেষকরাও এই বৈঠকেটিকেই আগামীর রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণী বলেই মনে করছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লন্ডনে ড. ইউনূস-সাথে তারেক রহমান সৌজন্যে সাক্ষাৎ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত

আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অনেক চাওয়া-পাওয়া, প্রত্যাশা ও প্রতীক্ষার দিন। কারও কারও ভাষায় রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট কিংবা নবদিগন্তের সূচনা হওয়ার দিন। যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আজকের বৈঠককে সামনে রেখে এমন সব শব্দ-বাক্যই উচ্চারিত হচ্ছে চারদিকে।

বিশেষ করে অতিমাত্রায় রাজনীতিচর্চায় অভ্যস্ত দেশের কোটি কোটি মানুষের মনে ও প্রাণে এ বৈঠককে ঘিরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ও ফলাফল জানার জন্য দেশে ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা-আগ্রহের যেন কমতি নেই। লন্ডন বৈঠককে সামনে রেখে যেভাবে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে তাতে করে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ বৈঠকটি এখন ‘রাজনীতির শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ’।

আজ দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা (স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা) পর্যন্ত লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ঐতিহাসিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ২ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকটি ‘ওয়ান টু ওয়ান’ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো যুগান্তরকে দুরকম তথ্য দিয়েছে। কেউ বলছেন, পুরো বৈঠকটি রুদ্ধদ্বার এবং ‘ওয়ান টু ওয়ান’ হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বৈঠকের একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একান্তে আলাপ করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি কীভাবে হবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এপ্রিলের প্রথমার্ধ আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে সময়ের ব্যবধান মাত্র ২ মাস।

তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে যদি ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর সার্বিক সমর্থন-সহযোগিতা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজও এ সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করে ফেলা সম্ভব হবে। তখন সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত ২ মাস সময় নিয়ে উত্তপ্ত বৈরী আবহাওয়া আর রমজানজুড়ে নির্বাচনি কর্মকাণ্ডের মধ্যে দেশকে নিয়ে যেতে হবে না। এক্ষেত্রে শুধু দরকার দুপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থার সম্পর্ক, যা সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের সাথে বিএনপির যে আস্থার সংকট চলছে সেটা নিরসন হওয়া দরকার। সেটা দলের চেয়ে দেশের স্বার্থেই বেশি প্রয়োজন।’

এই বিশ্লেষক মনে করছেন, সংকট কাটাতে সরকার প্রধানের সাথে বিএনপির এই বৈঠকটি হতে পারে সেই টার্নিং পয়েন্ট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু থাকে না। রাজনীতিতে যে কোন সম্ভাবনাই থাকে। এই বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যে সংকট রয়েছে সেটার আপাততভাবে খানিকটা নিরসনও হতে পারে।’

যে কারণে বিশ্লেষকরাও এই বৈঠকেটিকেই আগামীর রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণী বলেই মনে করছেন।