গত ২৩ শে নভেম্বর রাতে গৃহকর্মী মরিয়মকে এলোপাতাড়ি মারধর করে প্রায় অজ্ঞান করে ফেলে।গৃহকর্মী মরিয়মের বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। কোনরকম অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ২৬ শে নভেম্বর আবার এলোপাথারি মারধর করে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফোলা যখন করে ছেলে গৃহ পরিচালিকা সাথী খাতুন বয়স আনুমানিক (৩০) ।
অস্বাভাবিকভাবে মার খেয়ে যখন আর সহ্য করতে পারে না মরিয়ম একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় কাউকে কিছু না বলে। তখনই এলাকার মানুষের নজরে আসে মরিয়ম। অসুস্থ মরিয়মকে এলাকাবাসী এই অবস্থায় পেয়ে প্রথমে ওই গৃহ পরিচালক মঞ্জুর এলাহী সুজন এবং সাথী খাতুন দম্পতির এক প্রতিবেশীর বাসায় গৃহকর্মী মরিয়মকে নিয়ে তার প্রাথমিকভাবে বিস্তারিত জানে। এসব কিছু শুনে এলাকার কিছু ব্যক্তি সংবাদ কর্মীকে জানায়। খবর পেয়ে সংবাদ কর্মীরা মরিয়মের কাছে এলে জানতে পারে কি নির্মমভাবে অত্যাচার সহ্য করেছে ওই গৃহ পরিচালিকা সাথী খাতুনের। মূলত মরিয়মের কোন পরিবার থাকে না ঢাকাতে। মরিয়মকে তার পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল একথা বলে সাথী খাতুনের ছোট্ট একটি তিন বছরের শিশু কে কোলে রাখার জন্য এবং তার দেখাশোনার জন্য। কিন্তু মরিয়মকে দিয়ে পুরো ঘরের কাজকর্ম করানো থেকে শুরু করে নির্যাতন পর্যন্ত করতো সাথী খাতুন। এত অমানবিক নির্যাতন হবার পরও মুখ বুজে শিশু মরিয়ম তার বাসায় কাজ করতো।
কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা এতটা ভয়াবহ হয়ে গেছে সহ্য করতে না পেরে ঢাকা শহর কেউ না থাকা সত্ত্বেও সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
মনজুর এলাহী সুজন ও সাথী খাতুন দম্পতির মতো শিক্ষিত সমাজে এই ধরনের অত্যাচারীদের বাসায় গৃহকর্মীরা কোনভাবেই সুরক্ষিত নয়।
পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তায় রূপনগর থানায় এলে প্রাথমিক ভাবে ফারুক সহ আরো দুই তিন জন অফিসার কে পাঠায় মনজুর
এলাহি দুজন ও সাথী খাতুন দম্পতির বাসায়। পুলিশের সাথে যায় সংবাদ কর্মীও।
এরপর তাদের কথা এলোমেলো লাগলে থানায় আসতে বলেন,,
পরে পুরো ঘটনাটি শুনে
মামলা করা হবে জানিয়ে আশ্বাস দেয় রূপনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিদ।
পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সাময়র কন্ঠে,,,