ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তা পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশ, নেতৃত্বে ড. ইউনূস: দ্য ইকোনমিস্ট গভীর রাতে ৭৫০ জনকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, বিজিবি-জনতার বাধায় পিছু হটল বিএসএফ পরিবহণসহ ৫ খাতে ৭০ শতাংশ বরাদ্দ ট্রাম্পের পরোক্ষ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান পুতিনের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ লিগ্যাল নোটিশ করতে প্রস্তুতি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছি খালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন বাংলাদেশ সিরিজের দল ঘোষণা আমিরাতের ঠাকুরগাঁওয়ে আ:লীগ অফিস দখল, ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো// সংবাদ সম্মেলনে জুলাই যোদ্ধার আহবায়ক গাজা দখল করে ‘ফ্রিডম জোন’ বানাতে চান ট্রাম্প

উখিয়ায় সুপারির বাম্পার ফলনঃ বাগান মালিকদের মুখে হাসি

উখিয়া (কক্সবাজার) 
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৬৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা’র বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সুপারির ভালো দাম পেয়ে বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে উঠেছে। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান।
উক্ত ফসলি জমি গুলোতে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া সদর, ভালুকিয়াপালং, কুতুপালংসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকুলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
এদিকে রুমখাঁ ধুরুমখালীর সুপারি ব্যবসায়ী মাহবুব আলম ও ছৈয়দ আলম জানান, এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উখিয়ায় সুপারির বাম্পার ফলনঃ বাগান মালিকদের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা’র বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সুপারির ভালো দাম পেয়ে বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে উঠেছে। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান।
উক্ত ফসলি জমি গুলোতে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া সদর, ভালুকিয়াপালং, কুতুপালংসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকুলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
এদিকে রুমখাঁ ধুরুমখালীর সুপারি ব্যবসায়ী মাহবুব আলম ও ছৈয়দ আলম জানান, এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।