ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

উখিয়ায় সুপারির বাম্পার ফলনঃ বাগান মালিকদের মুখে হাসি

উখিয়া (কক্সবাজার) 
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা’র বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সুপারির ভালো দাম পেয়ে বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে উঠেছে। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান।
উক্ত ফসলি জমি গুলোতে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া সদর, ভালুকিয়াপালং, কুতুপালংসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকুলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
এদিকে রুমখাঁ ধুরুমখালীর সুপারি ব্যবসায়ী মাহবুব আলম ও ছৈয়দ আলম জানান, এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উখিয়ায় সুপারির বাম্পার ফলনঃ বাগান মালিকদের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা’র বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সুপারির ভালো দাম পেয়ে বাগান মালিকদের মুখে হাসি ফুটেছে উঠেছে। কক্সবাজার জেলার দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সুপারি উৎপাদনে উপযোগী। এ জনপদের এমন কোনো বাড়ি নেই যে সুপারি গাছ নেই। এছাড়াও বিশাল-বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে সুপারি বাগান।
উক্ত ফসলি জমি গুলোতে সুপারির বাগান করে উৎপাদন করা হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সুপারি। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উখিয়া উপজেলায়। উৎপাদিত সুপারির বাজার দর ভালো থাকায় সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া বাজার, কোটবাজার, রুমখাঁ মনি মার্কেট, মরিচ্যা বাজার, উখিয়া সদর, ভালুকিয়াপালং, কুতুপালংসহ বিভিন্ন স্থানে সুপারীর হাট বসে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত সুপারি।
সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাগানে উৎপাদিত সুপারি বাজারে ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এবারে সুপারির দামও চাষিদের অনুকুলে রয়েছে। যার ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমিতে গড়ে ১.৮৮ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে। ফলে উপজেলায় এবারের মৌসুমে মোট ১৭৮০মেট্রিক টন সুপারি ফলন হয়েছে।
এদিকে রুমখাঁ ধুরুমখালীর সুপারি ব্যবসায়ী মাহবুব আলম ও ছৈয়দ আলম জানান, এবছর প্রতি পণ সুপারি (৮০টি) মানভেদে ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। দেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র থাকলে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিজাম উদ্দিন জানান, মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ৯৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। যা স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সুপারি বাগান মালিকদের কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।