বরিশালের আলোচিত মাদকবিক্রেতা আমিন ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার
- আপডেট টাইম : ১২:১২:৫৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ২০৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরিশালের আলোচিত মাদকবিক্রেতা আমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শহরের পলাশপুর এলাকার সাত নং গুচ্ছগ্রামে আমিনের বাসার কাছাকাছি স্থান থেকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় ডিবি। এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার করে ২০ পিস ইয়াবা। কাউনিয়া থানা আওতাধীন আলোচ্চ্য এই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের খবর এলাকাবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ওই এলাকার একজন নারী মাদকবিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করতে মঙ্গলবার রাতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাফসান জানির নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে অবস্থান করে। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও সেই নারীর পাত্তা না পেয়ে সেখানে আগন্তক স্থানীয় আমিন চৌধুরীর গতি রোধ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকি একপর্যায়ে পঁচিশোর্ধ্ব যুবক আমিনের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গুচ্ছগ্রামের মৃত চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে আমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বেঁচা-বিক্রিসহ বহুমুখী অপরাধ করে আসছিলেন। ইতিপূর্বে কাউনিয়া এবং কোতয়ালি থানা পুলিশ কয়েকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠালেও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ফের এলাকায় এসে একই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। আমিন স্থানীয় সকলের কাছে মাদকের সাব-ডিলার হিসেবে পরিচিত, তিনি শহরের ৯ নং ওয়ার্ডস্থ রসুলপুরের পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাদক ক্রয় পরবর্তী তা খুচরা বিক্রি করেন থাকেন। এই তথ্য পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকাবাসী অবগত থাকলেও ধুরান্ধার আমিনের লাগাম টানা যাচ্ছিলো না।
ডিবি পুলিশ জানায়, বরিশালে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাতে তাদের একটি টিম গুচ্ছগ্রামের তিন রাস্তার মোডে অবস্থান নিয়ে হোসনে আরা নামক নারী মাদক বিক্রেতাকে ধরার টার্গেট নেয়। কিন্তু অনেক সময় অবধি অপেক্ষার পরে নারী মাদক ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া না গেলেও অনেকটা কাকতালীয়ভাবে ধরা পড়েন আমিন চৌধুরী।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাফসান জানি এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এবং তিনি জানান, গ্রেপ্তার আমিন একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা, কিন্তু তাকে কৌশল মতো পাওয়া যাচ্ছিলো না। মঙ্গলবার রাতে অভিযানে কাকতালীয়ভাবে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের পরবর্তী বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, যুবক আমিনের বয়স বেশি না হলেও তিনি মাদক বিক্রিতে বেশ পটু, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কী ভাবে বাণিজ্য চালাতে হয় তার কৌশল ভালোই জানেন, বোঝেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না! অপরাধ করে যে পার পাওয়া যায় না ডিবি পুলিশের অভিযানে তা আরেকবার প্রতীয়মাণ হলো।
স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আমিন চৌধুরী এর আগেও একাধিকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন, খেটেছেন জেলও। কিন্তু মোটেও তিনি শোধরাননি, বরং মাদকের দেদার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে ফের গ্রেপ্তারের খবর এলাকার বাসিন্দাদের প্রশান্তি দিয়েছে। এবং এলাকাবাসীর তরফ থেকে দাবি উঠেছে, এই আমিনের সহযোগীসহ বাকি সকল মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তারের। চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা আমিনকে গ্রেপ্তার করেতো ডিবি পুলিশ বাহবা নিলো, এখন অপরাপর ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা শুরু করবে কী না।