ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
Experience an enjoyable and exciting bbw encounter today ঢাকা ১৯ আসনের এম পি প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর উঠান বৈঠক জনসভায় পরিনত হোমনায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শুভ জন্মদিন হাজির হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মনিরুল ইসলামের ওয়াদা ভঙ্গর অভিযোগ উঠেছে পর্যটন দিবসে উপলক্ষে কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করছে, বলেছে। আইজিপি মিটিং হওয়ার পূর্বেই হিতৈষী ও দাতা সদস্য নিয়োগ গোবিন্দগঞ্জে ছিনতাই হওয়া অটোভ্যান উদ্ধার- গ্রেফতার ১ রামপালে নমিনেশন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদারের লিফলেট বিতরণ ও পথসভা

উপমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের জায়গা দখল করে ও গাছ কেটে রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করলেন গয়না টিটু, প্রতিবাদে ঘাট শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

  • ওমর ফারুক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৫২ ০.০০০০ বার পাঠক

:মোংলা পৌর শহরের মালামাল উঠানোর ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের জায়গা রাতারাতি দখল করে ও গাছ কেটে সেখানে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে টিটু ওরফে গয়না টিটুর বিরুদ্ধে। টিটু ওরফে গয়না টিটু নামের এ ব্যক্তি রাতের আঁধারে এই মার্কেট নির্মাণ করলেও স্থানীয় প্রশাসন জানেন না এসবের কিছুই। তবে প্রতিকার চেয়ে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন ঘাট শ্রমিকেরা। পৌর শহরের ১নম্বর জেটি সংলগ্ন বাজার ঘাট শ্রমিকদের জন্য ২০১৯সালের ৭ফেব্রুয়ারী জায়গাটিতে ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করে সেখানে দুইটি বট গাছ রোপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিববুন নাহার। উপমন্ত্রীর উদ্বোধনকতৃ সেই বিশ্রামগারের জায়গা ওই জায়গায় রোপনকৃত সেই গাছ কেটে রাতারাতি সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট নিমার্ণ করেন টিটু।

এ ঘটনায় রবিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ঘাট শ্রমিকেরা। অভিযোগে মোংলা উপজেলা ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ: রাজ্জাক সরদার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কাঁচামাল, সিমেন্ট, ইট, চাল, ডালসহ বিভিন্ন মালামাল উঠানোর জন্য ১নম্বর জেটিতে অবস্থিত এই বাজার ঘাটটি। শ্রমিকেরা সে মালমাল উঠিয়ে মোংলা নদীর পাশে জেগে ওঠা চরে ছাউনি দিয়ে বিশ্রাম নিতেন। সরকারী এই জায়গায় শ্রমিকেরা যাতে ভাল করে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য ২০১৯সালের ৭ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সংসদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বিশ্রামাগারটির উদ্বোধন করে সেখানে দুইটি বট গাছের রোপন করেন। গাছ দুইটি বড় হওয়ার সাথে সাথে শ্রমিকদের ওই চর পড়া (মোংলা নদী ভরাট হয়ে চর পড়েছে) জায়গায় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভূমিদস্যু টিটু ওরফে গয়না টিটুর। টিটু এক পর্যায়ে গাছ দুইটি কেটে সেই জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। শ্রমিকদের নানা রকম হুমকি—ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সেই চর দখল করেছেন টিটু বলে অভিযোগ করেছেন ঘাট শ্রমিকেরা। তবে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কোন কর্তা ব্যক্তির নজরে আসেনি। এনিয়ে রবিবার দুপুরে ঘাট এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন ঘাটের প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। মানববন্ধন শেষে গয়না টিটুর কেটে ফেলা গাছ দুইটি নিয়ে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দেন তারা।

অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে নদীর পাড়ে চরের জায়গার মালিক মুলত উপজেলা ভূমি অফিস। কিন্তু ওই জায়গা দখল করে কিভাবে মার্কেট হলো তা জানেন না ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। জানতে চাইলে মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ওই জায়গা কেউকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। অবৈধভাবে মার্কেট নিমার্ণ করার বিষয়টি রবিবার দুপুরে তিনি প্রথম শুনেছেন জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় সদর তহশীলদারকে (নায়েব) সরেজমিনে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকারের একজন উপমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিটু ওরফে গয়না টিটু বলেন, তিনি এ জায়গায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দের আবেদন চেয়ে মার্কেট করেছেন।

এদিকে প্রতিদিন এ রকম বরাদ্দ চাওয়া হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো: শাহিনুর আলম বলেন, আবেদন করলেই জায়গা পাওয়া যায় না। আবেদন অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সেটি অবৈধ জায়গা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, যে কোন গাছ কাটা পরিবেশের জন্য হুমকি। তারপরও আমার লাগানো গাছ কাটা ও শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য দেয়া জায়গা কিভাবে দখল করে মার্কেট হলো সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরী অবস্থা চলাকালে অবৈধ দখল ও স্থাপনার দায়ে স্থানীয় প্রশাসন মোংলা নদী পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সে সময়ে অধিকাংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনার মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বরাদ্দ নেয়া কিছু স্থাপনাও গুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছর পর আবারো নদী পাড়ের সে সব জায়গা প্রভাবশালীরা স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলে জানান ঘাট শ্রমিকেরা।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

Experience an enjoyable and exciting bbw encounter today

উপমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের জায়গা দখল করে ও গাছ কেটে রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করলেন গয়না টিটু, প্রতিবাদে ঘাট শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ১১:৫৮:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

:মোংলা পৌর শহরের মালামাল উঠানোর ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের জায়গা রাতারাতি দখল করে ও গাছ কেটে সেখানে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে টিটু ওরফে গয়না টিটুর বিরুদ্ধে। টিটু ওরফে গয়না টিটু নামের এ ব্যক্তি রাতের আঁধারে এই মার্কেট নির্মাণ করলেও স্থানীয় প্রশাসন জানেন না এসবের কিছুই। তবে প্রতিকার চেয়ে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন ঘাট শ্রমিকেরা। পৌর শহরের ১নম্বর জেটি সংলগ্ন বাজার ঘাট শ্রমিকদের জন্য ২০১৯সালের ৭ফেব্রুয়ারী জায়গাটিতে ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করে সেখানে দুইটি বট গাছ রোপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিববুন নাহার। উপমন্ত্রীর উদ্বোধনকতৃ সেই বিশ্রামগারের জায়গা ওই জায়গায় রোপনকৃত সেই গাছ কেটে রাতারাতি সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট নিমার্ণ করেন টিটু।

এ ঘটনায় রবিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ঘাট শ্রমিকেরা। অভিযোগে মোংলা উপজেলা ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ: রাজ্জাক সরদার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কাঁচামাল, সিমেন্ট, ইট, চাল, ডালসহ বিভিন্ন মালামাল উঠানোর জন্য ১নম্বর জেটিতে অবস্থিত এই বাজার ঘাটটি। শ্রমিকেরা সে মালমাল উঠিয়ে মোংলা নদীর পাশে জেগে ওঠা চরে ছাউনি দিয়ে বিশ্রাম নিতেন। সরকারী এই জায়গায় শ্রমিকেরা যাতে ভাল করে বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য ২০১৯সালের ৭ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সংসদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বিশ্রামাগারটির উদ্বোধন করে সেখানে দুইটি বট গাছের রোপন করেন। গাছ দুইটি বড় হওয়ার সাথে সাথে শ্রমিকদের ওই চর পড়া (মোংলা নদী ভরাট হয়ে চর পড়েছে) জায়গায় লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ভূমিদস্যু টিটু ওরফে গয়না টিটুর। টিটু এক পর্যায়ে গাছ দুইটি কেটে সেই জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রাতারাতি মার্কেট নির্মাণ করেছেন। শ্রমিকদের নানা রকম হুমকি—ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সেই চর দখল করেছেন টিটু বলে অভিযোগ করেছেন ঘাট শ্রমিকেরা। তবে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কোন কর্তা ব্যক্তির নজরে আসেনি। এনিয়ে রবিবার দুপুরে ঘাট এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছেন ঘাটের প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। মানববন্ধন শেষে গয়না টিটুর কেটে ফেলা গাছ দুইটি নিয়ে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দেন তারা।

অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে নদীর পাড়ে চরের জায়গার মালিক মুলত উপজেলা ভূমি অফিস। কিন্তু ওই জায়গা দখল করে কিভাবে মার্কেট হলো তা জানেন না ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। জানতে চাইলে মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ওই জায়গা কেউকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। অবৈধভাবে মার্কেট নিমার্ণ করার বিষয়টি রবিবার দুপুরে তিনি প্রথম শুনেছেন জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় সদর তহশীলদারকে (নায়েব) সরেজমিনে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকারের একজন উপমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামাগারের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিটু ওরফে গয়না টিটু বলেন, তিনি এ জায়গায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দের আবেদন চেয়ে মার্কেট করেছেন।

এদিকে প্রতিদিন এ রকম বরাদ্দ চাওয়া হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ে উল্লেখ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো: শাহিনুর আলম বলেন, আবেদন করলেই জায়গা পাওয়া যায় না। আবেদন অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সেটি অবৈধ জায়গা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, যে কোন গাছ কাটা পরিবেশের জন্য হুমকি। তারপরও আমার লাগানো গাছ কাটা ও শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য দেয়া জায়গা কিভাবে দখল করে মার্কেট হলো সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরী অবস্থা চলাকালে অবৈধ দখল ও স্থাপনার দায়ে স্থানীয় প্রশাসন মোংলা নদী পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সে সময়ে অধিকাংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনার মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বরাদ্দ নেয়া কিছু স্থাপনাও গুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছর পর আবারো নদী পাড়ের সে সব জায়গা প্রভাবশালীরা স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলে জানান ঘাট শ্রমিকেরা।