উত্তরাতে দিন দিন অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বহুরূপী এই মাইমুনা খাতুন মনি
- আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩
- / ৩৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক
নিজেকে মাইমুনা কখনো সহ মনিখান সহ নানা নামে নিজের আসল পরিচয় আড়াল করে বিশ্বব্যাপী বিস্তার করেছেন প্রতারণার জাল এই মাইমুনা মনি।
নিজের সংগঠনের নাম বিশ্ব বন্ধু ৯৩। এর মাধ্যমে সাহায্য অনুদান সংগ্রহ করার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। এসএসসি ব্যাচ ভিত্তিক গ্রুপগুলো কেন্দ্র করে তার এই প্রতারণা সহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। নারি কেলেঙ্কারী তো অহরহ হচ্ছে।
বিভিন্ন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া নারি কেলেঙ্কারি করা মাইমুনার কমন পেশা।
অনুসন্ধানে জানা যায় করো না সময় দেশ-বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মনি। না না কৌশলে বন্ধুদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা,সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থা চিন্তা করে অনেকেই মুখ খুলেন না। উত্তরাতে রয়েছে তার অপকর্মের ঘাটি। বিষয়টি দৃষ্টান্ত হয় হঠাৎ করে তার এতটা বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে একাধিক। লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে পাশ করেছেন বলে উল্লেখ করলেও কলেজ সুত্র জানা যায় ৯৩ থেকে ৯৭ পর্যন্ত কোনো সেকশনেই মাইমুনা নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। এক সময় কেবল কোম্পানির কর্মচারী হলেও প্রতারণার মাধ্যমে এখন নিজে বনে গেছেন কেবল অপারেটর ব্যবসায়ী। একই সাথে ব্যবসায়ী নেতা হতেও চালাচ্ছেন দৌড়ঝাপ। সাথে একাধিক দামি গাড়ি অভিযাত্রার দোকানসহ সবই তার প্রতারণার ফসল।
নিজেকে তিনি দাবি করেন বাংলাদেশে তার নখের যোগ্য কোন মহিলা নাই। মাদার তেরেসা কেও কিছুই মনে করেন না তিনি। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এই মহিলা জঙ্গিবাদের সহায়ক-১ বাড়িওয়ালার নামে মামলা থাকলেও সে নিজে করছে সেই বাড়িওয়ালার সহায়তা এমনকি গোপন তথ্য সূত্রে আরও জানা যায় কার সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক ওই প্যারালাইজড বৃদ্ধ বাড়িওয়ালাকে সে সেবা-যত্ন করে এমনকি প্যাম্পপাসটাও পাল্টিয়ে দেয়।তার নিজ খরচে ডেলটা লাইফ ইন্সুরেন্স এবং সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে ১০০০ মেম্বার এড করে যেটা কালো টাকাকে সাদা করার সহজ উপায় হিসেবে বেছে নেন। দৈনিক সময়ের কণ্ঠের প্রতিনিধি যখন তাকে এ সম্পর্কে জানতে চায় সে এমন সব উদ্ভট আচরণ করে তার যা মেসেজ কনভারসেশন কিছুটা দেখলেই বোঝা যায়।
তার কাছে জানতে চাইলে যে সিআইডিতে মামলা চলছে, ওই বাড়িওয়ালার হয়ে আপনি সব জায়গায় কেন এই মামলার জন্য দৌড়াচ্ছেন এতে আপনি কতটুকু বেনিফিটেড? উনি উল্টো সংবাদ কর্মীকে হাস্যকর ভাবে কটুক্তি করে যে খুব খাটছেন আমার পিছে খাটেন তাতে কোন লাভ নেই। কিছুই করতে পারবেন না আপনারা আমার। অনর্থক নিজের সময় নষ্ট করছেন। আমার হাত অনেকটা উপরে।
এবং সর্বশেষ তার বক্তব্যের নেয়ার জন্য তাকে কল দিলে কৌশলে সে এড়িয়ে যায়।
সমাজে এই ধরনের বিভিন্ন মানুষের নাম বাণিজ্য এবং বিভিন্ন সংগঠন দ্বারা অনুদানের অর্থ নিজ একাউন্টে রাখা, নারিকেলেঙ্কারী,মানুষের সাথে প্রতারণা, সাধারণ মানুষ এবং সংবাদকর্মীদের হুমকি-ধমকি প্রদান করা তার দৈনিন্দন কাজ। তারে অপকর্ম নিয়ে কেউ কথা বলতে গেলেই অকথ্যা অশ্লীল ভাষায় গালাগালি এবং হুমকির স্বীকারও হতে হয় ।
পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কণ্ঠে,,,