ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

না‌জিরপু‌রে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার কর‌ছেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতি‌নি‌ধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩
  • / ১৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক

পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা।

আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় এ বছরও পি‌রোজপু‌রের না‌জিরপু‌রে সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ত‌বে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আবাদ হয়‌নি এবছর । পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা প‌ড়ে‌ছে বিপা‌কে।

এ‌দি‌কে কৃষকেরা এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন।

গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো হ‌ওয়ায়। ‌সেই আশায় এ বছরও কৃষ‌কেরা জমিতে পাটের আবাদ করেন এই উপজেলার কৃষকেরা।

তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে পাটের মান আরও ভালো হতো গাছ মোটাতাজা হত। এতে আঁশ ও বে‌শি পাওয়া যেত, কৃষকেরা দামও ভালো পেতেন। এমনটাই জানালেন চরমা‌টিভাঙ্গা গ্রা‌মের ‌কৃষক মোঃ দুলাল শেখ।

তিনি আ‌রো বলেন, বর্তমানে বাজারে পাট ১৮০০টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছ‌রের চে‌য়ে এ বছর দাম তুলনামূলক কম, আ‌মি আ‌গের বছ‌রের চে‌য়ে এবছর প্রায় দেড় একর বেশি জ‌মি‌তে চাষাবাদ ক‌রেছি।

একই গ্রামের ইকবাল শেখ বলেন, বিঘাপ্রতি হালচাষ, সার-বীজ, সেচ-নিড়ানি, পাট কাটা, ধোয়া শুকানোয় ব্যয় ৭-৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট পাওয়া যাচ্ছে ১০-১২ মণ। ২০০০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলে প্রায় ২৪০০০হাজার টাকা পাওয়া যায়। এতে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি ১৬-১৮হাজার টাকা লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতু‌ন্নেছা এশা বলেন,নাজিরপুরে ১৪১৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৩৮০০ মেট্রিকটন। আমরা আশা করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রায় আমরা পৌঁছাতে পারব।তবে এবছর পাটের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় চাষিরা কিছুটা হতাশ। তবে সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় চাষিরা ধৈর্য ধরে পাট সংরক্ষণ করলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

না‌জিরপু‌রে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার কর‌ছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ আগস্ট ২০২৩

পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা।

আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় এ বছরও পি‌রোজপু‌রের না‌জিরপু‌রে সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ত‌বে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আবাদ হয়‌নি এবছর । পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা প‌ড়ে‌ছে বিপা‌কে।

এ‌দি‌কে কৃষকেরা এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন।

গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো হ‌ওয়ায়। ‌সেই আশায় এ বছরও কৃষ‌কেরা জমিতে পাটের আবাদ করেন এই উপজেলার কৃষকেরা।

তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে পাটের মান আরও ভালো হতো গাছ মোটাতাজা হত। এতে আঁশ ও বে‌শি পাওয়া যেত, কৃষকেরা দামও ভালো পেতেন। এমনটাই জানালেন চরমা‌টিভাঙ্গা গ্রা‌মের ‌কৃষক মোঃ দুলাল শেখ।

তিনি আ‌রো বলেন, বর্তমানে বাজারে পাট ১৮০০টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছ‌রের চে‌য়ে এ বছর দাম তুলনামূলক কম, আ‌মি আ‌গের বছ‌রের চে‌য়ে এবছর প্রায় দেড় একর বেশি জ‌মি‌তে চাষাবাদ ক‌রেছি।

একই গ্রামের ইকবাল শেখ বলেন, বিঘাপ্রতি হালচাষ, সার-বীজ, সেচ-নিড়ানি, পাট কাটা, ধোয়া শুকানোয় ব্যয় ৭-৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট পাওয়া যাচ্ছে ১০-১২ মণ। ২০০০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলে প্রায় ২৪০০০হাজার টাকা পাওয়া যায়। এতে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি ১৬-১৮হাজার টাকা লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতু‌ন্নেছা এশা বলেন,নাজিরপুরে ১৪১৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৩৮০০ মেট্রিকটন। আমরা আশা করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রায় আমরা পৌঁছাতে পারব।তবে এবছর পাটের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় চাষিরা কিছুটা হতাশ। তবে সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় চাষিরা ধৈর্য ধরে পাট সংরক্ষণ করলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।