ঢাকা ১০:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

না‌জিরপু‌রে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার কর‌ছেন কৃষকরা

নিজস্ব প্রতি‌নি‌ধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা।

আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় এ বছরও পি‌রোজপু‌রের না‌জিরপু‌রে সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ত‌বে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আবাদ হয়‌নি এবছর । পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা প‌ড়ে‌ছে বিপা‌কে।

এ‌দি‌কে কৃষকেরা এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন।

গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো হ‌ওয়ায়। ‌সেই আশায় এ বছরও কৃষ‌কেরা জমিতে পাটের আবাদ করেন এই উপজেলার কৃষকেরা।

তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে পাটের মান আরও ভালো হতো গাছ মোটাতাজা হত। এতে আঁশ ও বে‌শি পাওয়া যেত, কৃষকেরা দামও ভালো পেতেন। এমনটাই জানালেন চরমা‌টিভাঙ্গা গ্রা‌মের ‌কৃষক মোঃ দুলাল শেখ।

তিনি আ‌রো বলেন, বর্তমানে বাজারে পাট ১৮০০টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছ‌রের চে‌য়ে এ বছর দাম তুলনামূলক কম, আ‌মি আ‌গের বছ‌রের চে‌য়ে এবছর প্রায় দেড় একর বেশি জ‌মি‌তে চাষাবাদ ক‌রেছি।

একই গ্রামের ইকবাল শেখ বলেন, বিঘাপ্রতি হালচাষ, সার-বীজ, সেচ-নিড়ানি, পাট কাটা, ধোয়া শুকানোয় ব্যয় ৭-৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট পাওয়া যাচ্ছে ১০-১২ মণ। ২০০০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলে প্রায় ২৪০০০হাজার টাকা পাওয়া যায়। এতে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি ১৬-১৮হাজার টাকা লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতু‌ন্নেছা এশা বলেন,নাজিরপুরে ১৪১৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৩৮০০ মেট্রিকটন। আমরা আশা করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রায় আমরা পৌঁছাতে পারব।তবে এবছর পাটের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় চাষিরা কিছুটা হতাশ। তবে সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় চাষিরা ধৈর্য ধরে পাট সংরক্ষণ করলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

না‌জিরপু‌রে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার কর‌ছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা।

আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে থাকায় এ বছরও পি‌রোজপু‌রের না‌জিরপু‌রে সোনালি আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ত‌বে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আবাদ হয়‌নি এবছর । পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকেরা প‌ড়ে‌ছে বিপা‌কে।

এ‌দি‌কে কৃষকেরা এখন পাট কাটা, পানিতে ডোবানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর পর শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন।

গত বছর পাটের দাম কিছুটা ভালো হ‌ওয়ায়। ‌সেই আশায় এ বছরও কৃষ‌কেরা জমিতে পাটের আবাদ করেন এই উপজেলার কৃষকেরা।

তবে এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে পাটের মান আরও ভালো হতো গাছ মোটাতাজা হত। এতে আঁশ ও বে‌শি পাওয়া যেত, কৃষকেরা দামও ভালো পেতেন। এমনটাই জানালেন চরমা‌টিভাঙ্গা গ্রা‌মের ‌কৃষক মোঃ দুলাল শেখ।

তিনি আ‌রো বলেন, বর্তমানে বাজারে পাট ১৮০০টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছ‌রের চে‌য়ে এ বছর দাম তুলনামূলক কম, আ‌মি আ‌গের বছ‌রের চে‌য়ে এবছর প্রায় দেড় একর বেশি জ‌মি‌তে চাষাবাদ ক‌রেছি।

একই গ্রামের ইকবাল শেখ বলেন, বিঘাপ্রতি হালচাষ, সার-বীজ, সেচ-নিড়ানি, পাট কাটা, ধোয়া শুকানোয় ব্যয় ৭-৮ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পাট পাওয়া যাচ্ছে ১০-১২ মণ। ২০০০ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করলে প্রায় ২৪০০০হাজার টাকা পাওয়া যায়। এতে খরচ বাদে বিঘাপ্রতি ১৬-১৮হাজার টাকা লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতু‌ন্নেছা এশা বলেন,নাজিরপুরে ১৪১৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ৩৮০০ মেট্রিকটন। আমরা আশা করি কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রায় আমরা পৌঁছাতে পারব।তবে এবছর পাটের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় চাষিরা কিছুটা হতাশ। তবে সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় চাষিরা ধৈর্য ধরে পাট সংরক্ষণ করলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।