ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের

আসিকের মুক্তি দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

ডেইলি অবজারভারের ফটোসাংবাদিক আসিক মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

একই সঙ্গে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহার ও আসিককে মুক্তি না দিলে পল্টন থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়।

আসিককে মুক্তি দেয়া না হলে পুলিশের কর্মসূচি বর্জনের জন্য ফটোসাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ফরহাদ ভাইয়ের সন্তান আসিককে নিয়ে পুলিশ নাটক করছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ছাড়া না হয় তাহলে পল্টন থানা ঘেরাও করা হবে। তাকে যদি না ছাড়া হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান ডিইউজের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাবার পেশায় কর্মরত আসিকের মুক্তি দাবি করছি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বনোয়াট।’

তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকার ও আওয়ামী লীগকে হেয় করার জন্য পুলিশ এ কাজ করেছে কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।’

মধ্যরাতে রাস্তা থেকে আসিককে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমরা এমন ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। যদি এরপরও আসিককে মুক্ত করা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে সব কালো আইন বাতিলসহ আসিকের মুক্তি চাই। আমরা জানি এটা সাজানো নাটক। এ ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি করছি। যদি আসিককে মুক্তি না দেয়া হয় তাহলে সারাদেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।’

সম্প্রতি একের পর এক সাংবাদিকদের ৫৭ ধারায় আটক বিষয়ে ডিআরইউ সভাপতি আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রী এই আইনটি বাতিলের একটি বিল আনবেন বলেছিলেন, কিন্তু আনেননি।’ আগামী ১২ জুলাই ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন তিনি।

ফটোসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন বলেন, ‘আমরা আসিকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই ও পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করছি।’

সমাবেশে ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানিসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে আবারও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

অন্যদিকে দৈনিক সকালের খবরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলালের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার সমালোচনা করে বক্তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আসিকের মুক্তি দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের

আপডেট টাইম : ০১:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

ডেইলি অবজারভারের ফটোসাংবাদিক আসিক মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

একই সঙ্গে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহার ও আসিককে মুক্তি না দিলে পল্টন থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়।

আসিককে মুক্তি দেয়া না হলে পুলিশের কর্মসূচি বর্জনের জন্য ফটোসাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ফরহাদ ভাইয়ের সন্তান আসিককে নিয়ে পুলিশ নাটক করছে। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ছাড়া না হয় তাহলে পল্টন থানা ঘেরাও করা হবে। তাকে যদি না ছাড়া হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান ডিইউজের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাবার পেশায় কর্মরত আসিকের মুক্তি দাবি করছি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বনোয়াট।’

তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকার ও আওয়ামী লীগকে হেয় করার জন্য পুলিশ এ কাজ করেছে কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।’

মধ্যরাতে রাস্তা থেকে আসিককে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমরা এমন ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। যদি এরপরও আসিককে মুক্ত করা না হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বার্থে সব কালো আইন বাতিলসহ আসিকের মুক্তি চাই। আমরা জানি এটা সাজানো নাটক। এ ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি করছি। যদি আসিককে মুক্তি না দেয়া হয় তাহলে সারাদেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।’

সম্প্রতি একের পর এক সাংবাদিকদের ৫৭ ধারায় আটক বিষয়ে ডিআরইউ সভাপতি আরও বলেন, ‘আইনমন্ত্রী এই আইনটি বাতিলের একটি বিল আনবেন বলেছিলেন, কিন্তু আনেননি।’ আগামী ১২ জুলাই ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন তিনি।

ফটোসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হোসেন বলেন, ‘আমরা আসিকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই ও পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করছি।’

সমাবেশে ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানিসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে আবারও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

অন্যদিকে দৈনিক সকালের খবরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলালের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার সমালোচনা করে বক্তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।