দুই দফা বৃষ্টিও ঠেকাতে পারেনি ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের ঢল। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকাজুড়ে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যানবাহনের তীব্র সংকটে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার যাত্রী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গন্তব্যের দিকে রওনা হতে পারছেন না অনেকেই।

মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশজুড়েই দাঁড়িয়ে আছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ সাধারণ যাত্রীরা। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কাদামাটি জমে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো যানবাহন পাচ্ছেন না, আর যে কয়টি বাস পাওয়া যাচ্ছে তাতেও ঠাঁই মেলে না।

যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো বাস থামছে না। যেটা আসছে সেটাতে আগে থেকেই যাত্রী ভর্তি। আর যে কয়টা খালি আছে, তারা ভাড়া চাচ্ছে দ্বিগুণ, এমনকি তিন গুণ পর্যন্ত।

শওকত হোসেন নামের আরেক যাত্রী জানান, পরিবারসহ যাচ্ছি। কিন্তু একটার পর একটা গাড়ি চলে যাচ্ছে, কেউ থামছে না। ঈদ করতে বাড়ি যেতে চাই, কিন্তু কীভাবে যাবো বুঝতে পারছি না।

গোপালপুরগামী অপর যাত্রী স্বপন মিয়া বলেন, আমি খুব কাছের দূরত্বে যাচ্ছি, তাই কোনো বাস নিচ্ছে না। সবাই শুধু দূরের যাত্রী তুলছে। আমাদের মতো কাছের যাত্রীদের তারা নিতে চাচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার অনেক কারখানা একযোগে ছুটি দিয়েছে, ফলে যানবাহনের ওপর চাপ বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে লাখো মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যায়। সেই চিরচেনা চিত্র এবারও ভিন্ন হয়নি। তবে পরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া ও পর্যাপ্ত গাড়ির অভাবের কারণে যাত্রীরা দুর্বিষহ ভোগান্তিতে পড়েছেন।