ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির মোটরসাইকেলের গনসংযোগ জনগণের ব্যাপক সাড়া জামালপুরে ধান কাটার মৌসুম শুরু

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে টাকার জন্য নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আ.লীগ নেতা নুরে আলমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য বিলকিস বেগম (৪০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. নুর আলমকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নুর আলম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরো জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুর আলম গত ৬ আগস্ট দুপুরে দাদনের টাকার জন্য প্রকাশ্যে রাস্তায় বিলকিস বেগম নামের এক ইটভাটা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত নিহতের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মামলার পর ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি সুজন মিয়াকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, বিলকিস ও তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটভাটায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। নুরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধও করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই টাকার জন্য গত ৬ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে নূরে আলম ওই নারীর বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়ি ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয় নুরে আলমের। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে টাকার জন্য নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আ.লীগ নেতা নুরে আলমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৪ আগস্ট ২০২৩

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য বিলকিস বেগম (৪০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. নুর আলমকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নুর আলম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরো জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুর আলম গত ৬ আগস্ট দুপুরে দাদনের টাকার জন্য প্রকাশ্যে রাস্তায় বিলকিস বেগম নামের এক ইটভাটা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত নিহতের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মামলার পর ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি সুজন মিয়াকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, বিলকিস ও তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটভাটায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। নুরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধও করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই টাকার জন্য গত ৬ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে নূরে আলম ওই নারীর বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়ি ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয় নুরে আলমের। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করেন।