ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা বেতন ও পদোন্নতি নিয়ে চিকিৎসকের সুখবর দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায়

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে টাকার জন্য নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আ.লীগ নেতা নুরে আলমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৭৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য বিলকিস বেগম (৪০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. নুর আলমকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নুর আলম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরো জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুর আলম গত ৬ আগস্ট দুপুরে দাদনের টাকার জন্য প্রকাশ্যে রাস্তায় বিলকিস বেগম নামের এক ইটভাটা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত নিহতের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মামলার পর ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি সুজন মিয়াকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, বিলকিস ও তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটভাটায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। নুরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধও করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই টাকার জন্য গত ৬ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে নূরে আলম ওই নারীর বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়ি ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয় নুরে আলমের। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে টাকার জন্য নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আ.লীগ নেতা নুরে আলমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

আপডেট টাইম : ০৩:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দাদনের টাকার জন্য বিলকিস বেগম (৪০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. নুর আলমকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে র‌্যাব কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম এম সবুজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নুর আলম কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা গুনধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। তিনি গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব আরো জানান, করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নুর আলম গত ৬ আগস্ট দুপুরে দাদনের টাকার জন্য প্রকাশ্যে রাস্তায় বিলকিস বেগম নামের এক ইটভাটা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। বিষয়টি প্রচার হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় নিহত নিহতের ছেলে মাসুম বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মামলার পর ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি সুজন মিয়াকে (৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, বিলকিস ও তার পরিবারের সবাই চট্টগ্রামে ইটভাটায় কাজ করতেন। বর্ষাকালে ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারটি সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসে। নুরে আলম ও তার ভাই সুজন মিয়া বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করেন। বিলকিস বেগমের স্বামী আব্দুল করিম গত বছর সুজনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা তিনি পরিশোধও করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা তারা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। এই টাকার জন্য গত ৬ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে নূরে আলম ওই নারীর বাড়িতে যান। তখন বিলকিসের স্বামী আব্দুল করিম বাড়ি ছিলেন না। পাওনা টাকা নিয়ে বিলকিসের সঙ্গে বাগবিতন্ডা হয় নুরে আলমের। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেখানে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করেন।