রায়পুরে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে ৬০ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠছে
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে একটি ভূমিহীন পরিবারের এর জায়গা দখল এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির মোল্লার বিরুদ্ধে ।
ঘটনাটি বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবশী ইউনিয়নের মোল্লার হাট বাজারে ঘটে। সৃষ্ট ঘটনায় গত বুধবার পুলিশ সুপার বরার একটি লিখত অভিযোগ দায়ের করেন রতন কবিরাজ। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশ লক্ষীপুর।
মনির মোল্লা একই উপজেলার চরবশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের রশিদ মোল্লার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার দক্ষিণ চরবশী ইউনিয়নের চরকাচিয়া গ্রামের মাঝি বাড়ির রতন কবিরাজ ভুমিহীন হওয়ায় ২০১৬ সালে ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত জমি থেকে চরকাছিয়া মৌজার ৬০৪৯ নং খতিয়ান ভুক্ত ১১০০১দাগে ৬০ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্ত পায় রতন কবিরাজ ও রিনা বেগম।যার নথি নং ২১৭/২০১৫-১৬ মুলে বিগত ০৪-০৯-২০১৬ ইং তারিখে বন্দোবস্ত প্রধান করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় বন্দোবস্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ জমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির মোল্লার দখলে হওয়ায় রতন মাঝি ভোগ দখল দুরের কথা জমির ধারে কাছেও যেতে পারেননি। ভোগ দখল করতে গেলে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মনির মোল্লা বিভিন্ন হুমকি ধামকি সহ খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্যে বলেন এবং বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার জন্য কয়েকবার লোক পাঠান।এর জেরে গত ১৯ জুলায় বুধবার রতন কবিরাজের ছেলে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাটি নিয়ে বাজারে গেলে হুমকি-ধমকি দিয়ে গাড়িটি আটক করে রাখে। এবং বলেন গাড়ি উদ্ধার করতে হলে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর দেওয়া লাগবে বলে সাফ জানিয়ে দেন মনির মোল্লা।
সোমবার বিকেলে রতন কবিরাজ গণমাধ্যমেকে বলেন, আমি গরিব অসহায় মানুষ আমার নিজস্ব কোন জায়গা জমি না থাকায় আমি ভূমির জন্য আবেদন করলে উপজেলা ভুমি অফিস আবেদন মঞ্জুর করে সরকার আমাকে ও আমার স্ত্রী রিনা বেগমকে ৬০ শতাংশ জমি দেয়, ২০১৬ সালে বন্দোবস্ত হয় দলিল খতিয়ান প্রদান করেন। এখনো অবধি আমি আমার জমি ভোগ করতে পারিনি। ভোগ করতে গেলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি সহ আমাকে মারতে আসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির মোল্লা। শুধু খালি স্ট্যাম্প স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য বলেন। গত বুধবারে আমার ছেলে আমার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে মোল্লারহাট বাজারে গেলে ছেলেকে চগ থাপ্পড় মারে এবং তার থেকে গাড়িটি ছিনিয়ে নেয় । পরবর্তীতে গাড়িটি আনার জন্য গেলে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য বলেন । আমি অসুস্থ এবং অসহায় মানুষ আজ আট দিন যাবত টাকার অভাবে আমি ওষুধ কিনতে পারছি না এই গাড়ির উপার্জন দিয়ে আমার সংসার চলে, আমি আমার গাড়ির এবং সরকারের দেওয়া জমি পেরত চাই।
রতন কবিরাজের স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, আজ ৮ দিন আমরা অসহায় অবস্থায় রয়েছি, যে গাড়িটি চালিয়ে আমার স্বামী উপার্জন করতো আমাদের সংসার চলতো এবং আমি কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণগ্রস্ত এই গাড়ির উপার্জনের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করে আসছি, এখন ঋণ পরিশোধ না করায়, ঋণের টাকার জন্য লোকেরা আমার বাড়িতে এসে বসে থাকে । মনির মোল্লার ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না । সরকারের দেওয়া বন্দোবস্ত এর জমি দখল করে নিয়েছে সেই আমাদের গাড়িটিও চিনিয়ে নিয়েছে, প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার কামনা করছি ।
জানতে ছাইলে এ বিষয়ে মনির হোসেন মোল্লা জানান, রতন কবিরাজ এর কাছ থেকে আমি এক লক্ষ টাকা পাওনা আছি। গাড়ি কেনার সময় আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছে । সে এক লক্ষ টাকা না দেওয়াই তার গাড়ি আটক করেছি । জমি দখলের বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা সরকার তাদের জমি দিলে সরকার তাদের তা বুঝিয়ে দিয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না ।