ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে যুবকের যৌনাঙ্গ কর্তন

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নে রাতের আঁধারে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মোঃ জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক যুবকের যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটার দিকে রায়হানপুর কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জাকির হোসেন রায়হানপুর ৪ নং ওয়ার্ডের কড়ইতলা এলাকার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জাকির হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যায়, পরে জাকিরের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, একই এলাকার তনু মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ হাওয়া বেগমের কাছে তাদের পূর্ব থেকেই কিছু টাকার লেনদেন ছিলো, সেই টাকা দিবে বলে হাওয়া বেগম রবিবার রাতে জাকিরের ফোনে কল করে টাকা আনতে বলে, সেই টাকা আনতে গেলে তনু মিয়ার স্ত্রী হাওয়া জাকিরের যৌনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে, জাকির রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসলে আমরা চিকিৎসার জন্য কাকচিড়া বাজারে ডা. রফিকুল ইসলাম মাসুদের কাছে নিয়ে যাই সেখানে জাকিরের যৌনাঙ্গে ৬ টি সেলাই করা হয়, ডা. রফিকুল ইসলাম মাসুদ চিকিৎসার কথা স্বীকার করেন।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত তনু মিয়ার স্ত্রী হাওয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে এলাকা ছাড়া করতে চায়। তবে জাকিরের ফোনে হাওয়া বেগম যে কল করে ডাকে কল লিস্টে তার সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়।

এছাড়াও যে অটো গাড়িতে করে জাকিরের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সেই ড্রাইভার বলেন, আমাকে গভীর রাতে ফোন করে গাড়ির জন্য ডাকা হয়, আমি জাকিরের বাড়িতে এসে দেখি যৌনাঙ্গ কাটা এবং পরনের লুঙ্গি রক্তাক্ত অবস্থায়, তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য তাকে আমার গাড়ি করে কাকচিড়া নিয়ে সেলাই করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
এছাড়াও জাকিরের সহকর্মী সুমন বলেন, গত রাতে আমার পাশে থাকা অবস্থায়ই হাওয়া বেগম জাকিরকে ফোন করে ডাকে যার প্রমান জাকিরের কল লিস্টে রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন যে, হাওয়া বেগমের এলাকার বিভিন্ন লোকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে, তাকে কিছু বলতে গেলেই সে মামলার হুমকি দেয়, শুধু তাই নয় একজন লোক কারো ঘরে আসলেই তার যৌনাঙ্গ কাটা সম্ভব না, জাকিরেরও চরিত্র তেমন ভালো না জাকির ইতিপূর্বে কয়েকবারই হাওয়ার কাছে এসেছে আমরা এলাকাবাসী তাকে সতর্কও করেছি, হয়তোবা তাদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারনেইর হাওয়া বেগম জাকিরকে অনৈতিক কাজের জন্য ডেকে মেলামেশা অবস্থায়ই ব্লেড দিয়ে আঘাত করে, কয়েক বছর পূর্বে তার স্বামী তনু মিয়া এলাকার খলিল নামের এক লোকের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কারনে প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন মহলো অভিযোগ করেছিলো, হাওয়া বেগমের এমন কর্মকান্ডে এলাকার লোক খুবই অতিষ্ঠ আইনি ভাবে তার বিচার হওয়া উচিৎ।

এদিকে এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ বাদল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনার খবর আমি শুনেছি, তবে হাওয়া বেগমের এমন রেকর্ড নতুন কিছু নয়, পূর্বেও তার নামে অনেক লোকের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।

জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার

রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে যুবকের যৌনাঙ্গ কর্তন

আপডেট টাইম : ০৪:৪৫:১৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নে রাতের আঁধারে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মোঃ জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক যুবকের যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটার দিকে রায়হানপুর কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জাকির হোসেন রায়হানপুর ৪ নং ওয়ার্ডের কড়ইতলা এলাকার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জাকির হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যায়, পরে জাকিরের স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে, একই এলাকার তনু মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ হাওয়া বেগমের কাছে তাদের পূর্ব থেকেই কিছু টাকার লেনদেন ছিলো, সেই টাকা দিবে বলে হাওয়া বেগম রবিবার রাতে জাকিরের ফোনে কল করে টাকা আনতে বলে, সেই টাকা আনতে গেলে তনু মিয়ার স্ত্রী হাওয়া জাকিরের যৌনাঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে, জাকির রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসলে আমরা চিকিৎসার জন্য কাকচিড়া বাজারে ডা. রফিকুল ইসলাম মাসুদের কাছে নিয়ে যাই সেখানে জাকিরের যৌনাঙ্গে ৬ টি সেলাই করা হয়, ডা. রফিকুল ইসলাম মাসুদ চিকিৎসার কথা স্বীকার করেন।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত তনু মিয়ার স্ত্রী হাওয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে এলাকা ছাড়া করতে চায়। তবে জাকিরের ফোনে হাওয়া বেগম যে কল করে ডাকে কল লিস্টে তার সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়।

এছাড়াও যে অটো গাড়িতে করে জাকিরের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সেই ড্রাইভার বলেন, আমাকে গভীর রাতে ফোন করে গাড়ির জন্য ডাকা হয়, আমি জাকিরের বাড়িতে এসে দেখি যৌনাঙ্গ কাটা এবং পরনের লুঙ্গি রক্তাক্ত অবস্থায়, তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য তাকে আমার গাড়ি করে কাকচিড়া নিয়ে সেলাই করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
এছাড়াও জাকিরের সহকর্মী সুমন বলেন, গত রাতে আমার পাশে থাকা অবস্থায়ই হাওয়া বেগম জাকিরকে ফোন করে ডাকে যার প্রমান জাকিরের কল লিস্টে রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন যে, হাওয়া বেগমের এলাকার বিভিন্ন লোকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে, তাকে কিছু বলতে গেলেই সে মামলার হুমকি দেয়, শুধু তাই নয় একজন লোক কারো ঘরে আসলেই তার যৌনাঙ্গ কাটা সম্ভব না, জাকিরেরও চরিত্র তেমন ভালো না জাকির ইতিপূর্বে কয়েকবারই হাওয়ার কাছে এসেছে আমরা এলাকাবাসী তাকে সতর্কও করেছি, হয়তোবা তাদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারনেইর হাওয়া বেগম জাকিরকে অনৈতিক কাজের জন্য ডেকে মেলামেশা অবস্থায়ই ব্লেড দিয়ে আঘাত করে, কয়েক বছর পূর্বে তার স্বামী তনু মিয়া এলাকার খলিল নামের এক লোকের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কারনে প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন মহলো অভিযোগ করেছিলো, হাওয়া বেগমের এমন কর্মকান্ডে এলাকার লোক খুবই অতিষ্ঠ আইনি ভাবে তার বিচার হওয়া উচিৎ।

এদিকে এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ বাদল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন ঘটনার খবর আমি শুনেছি, তবে হাওয়া বেগমের এমন রেকর্ড নতুন কিছু নয়, পূর্বেও তার নামে অনেক লোকের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।

জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।