ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিবিসিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে কাশেমপুর থানার ওসির সাইফুল প্রত্যাহার দাবিতে বিএনপি কর্মী ও আমজনতার মানববন্ধন কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন দুই কলোনির ২০ কক্ষ পুড়ে ছাই ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ তিন ইটভাটাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা সোলাইমান সেলিম রোজা আছি, বই পড়ি, পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ কারাগারে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি: শাজাহান খান সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ পিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা প্রবাসীদের দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা মঠবাড়িয়ার দুই প্রতারক

গোবিন্দগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ী অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন এবং ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

বিপুল কুমার দাশ গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০১:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • / ৩২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা (দাদন ব্যবসায়ী) রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (বড় লোক) হচ্ছে। এসব দাদন ব্যবসায়ীরা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে সীমিত পরিসরে টাকা দিয়ে কড়া সুদের হারে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এমনকি সুদ সহ আসল টাকা দিতে না পারলে তার উপর শুরু অমানবিক নির্যাতন।এই সুদের টাকা যোগাড় করতে গিয়ে অনেকেই তার বসতভিটা বিক্রি করে দিয়ে ঘড় ছাড়া হয়েছে।

তেমনি গুমানীগন্জ ইউনিয়নের অনন্তপুর পারগয়ড়া গ্রামের সুদারু লাভলু।সে আগে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মুরগী কিনে বাজারে বিক্রি করতো।সে এখন সুদের ব্যবসা করে রাতারাতি বড় লোক হয়েছে।

দাদন ব্যবসায়ী লাভলুর কাছ থেকে এক বছর আগে গুঘা কানুপাড়া গ্রামের সরফরাজের ছেলে ফারুক হোসেন ১ লক্ষ টাকা এবং মদনতাঈড় গ্রামের আফান উদ্দীনের ছেলে আক্তারুজ্জামান ৪ লক্ষ টাকা সুদের উপর নিয়ে ছিলো এবং সর্তসাপেক্ষে সুদারু লাভলু তাদের দুজনের কাছ থেকে দুই টি করে চেক নিয়ে নেয়। তারা নিয়মিত প্রতিমাসে সুদের লাভের টাকা দেয়।
হঠাৎ তারা সুদের লাভের টাকা দিতে না পারলে লাবলু মিয়া তার বাহিনী দিয়ে তাদের উপর শুরু করে অত্যাচার নির্যাতন।রাস্তা ঘাটে ধরে অপমান করে,বাড়িতে গিয়ে গরু বাছুর ধরে নিয়ে যায় হুমকি দেয়।
লাভলু লোকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ফারুক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।বাধ্য হয়ে ফারুকের বাবা মা গরু বিক্রি করে আসল লাভ সহ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং আকতারুজ্জামান গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে আসল টাকা লাভ সহ ৫লক্ষ ১০ হাজার টাকা লাভলুকে পরিশোধ করে, লাভলু তাদের কে একটি করে চেক ফেরত দেয় এবং বলে আর একটা চেক হারিয়ে গেছে। কিন্তু দুই তিন মাস পর সুদারু লাবলু হারানো চেক দিয়ে অসহায় ফারুক উপর ১৫ লক্ষ টাকা এবং আক্তারুজ্জামানের উপর ৪৬ লক্ষ টাকার আদালতে চেক মামলা দেয়। মামলার ভয়ে ঘর ছাড়া হয়েছে ফারুক হোসেন এবং অপর জন জেল হাজতে রয়েছে। সুদারু লাভলুর সুদের খপ্পরে পরে এলাকার সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ সুদারু লাভলুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গোবিন্দগঞ্জে নাগরিক সমাজের আয়োজনে ১৬ জুলাই উপজেলা চত্বরে সুদারু লাভলুর বিরুদ্ধে বিশাল মানব অনুষ্টিত হয়। অনু্ষ্টানে সভপতিত্ব করেন নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু মোহন রায় জীবু। সাধারণ সম্পাদক মাহম্মুদ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেডিপি সভাপতি আইয়ুব হোসেন, বাসদনেতা ও রিপোর্টাস সাবেক সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম, মহিলা নেত্রী হ্যাপী বেগম, কালামানিক দেব, ভুক্তভোগী ফারুকের বাবা সরফরাজ আলী সহ এলাকার সাধারণত মানুষ।
বক্তারা বলেন আর যেন কোন গরীব অসহায় মানুষ সুদারু লাভলুর খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে না পড়ে বা লাভলু বাহিনীর দ্বারা নিষ্পেষিত নির্যাতিত হয়ে গৃহহীন না হয়।সেজন্য এই দাদন ব্যবসায়ী লাভলুকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোবিন্দগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ী অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন এবং ইউএনও বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

আপডেট টাইম : ০১:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা (দাদন ব্যবসায়ী) রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (বড় লোক) হচ্ছে। এসব দাদন ব্যবসায়ীরা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে সীমিত পরিসরে টাকা দিয়ে কড়া সুদের হারে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এমনকি সুদ সহ আসল টাকা দিতে না পারলে তার উপর শুরু অমানবিক নির্যাতন।এই সুদের টাকা যোগাড় করতে গিয়ে অনেকেই তার বসতভিটা বিক্রি করে দিয়ে ঘড় ছাড়া হয়েছে।

তেমনি গুমানীগন্জ ইউনিয়নের অনন্তপুর পারগয়ড়া গ্রামের সুদারু লাভলু।সে আগে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মুরগী কিনে বাজারে বিক্রি করতো।সে এখন সুদের ব্যবসা করে রাতারাতি বড় লোক হয়েছে।

দাদন ব্যবসায়ী লাভলুর কাছ থেকে এক বছর আগে গুঘা কানুপাড়া গ্রামের সরফরাজের ছেলে ফারুক হোসেন ১ লক্ষ টাকা এবং মদনতাঈড় গ্রামের আফান উদ্দীনের ছেলে আক্তারুজ্জামান ৪ লক্ষ টাকা সুদের উপর নিয়ে ছিলো এবং সর্তসাপেক্ষে সুদারু লাভলু তাদের দুজনের কাছ থেকে দুই টি করে চেক নিয়ে নেয়। তারা নিয়মিত প্রতিমাসে সুদের লাভের টাকা দেয়।
হঠাৎ তারা সুদের লাভের টাকা দিতে না পারলে লাবলু মিয়া তার বাহিনী দিয়ে তাদের উপর শুরু করে অত্যাচার নির্যাতন।রাস্তা ঘাটে ধরে অপমান করে,বাড়িতে গিয়ে গরু বাছুর ধরে নিয়ে যায় হুমকি দেয়।
লাভলু লোকের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ফারুক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।বাধ্য হয়ে ফারুকের বাবা মা গরু বিক্রি করে আসল লাভ সহ ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং আকতারুজ্জামান গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে আসল টাকা লাভ সহ ৫লক্ষ ১০ হাজার টাকা লাভলুকে পরিশোধ করে, লাভলু তাদের কে একটি করে চেক ফেরত দেয় এবং বলে আর একটা চেক হারিয়ে গেছে। কিন্তু দুই তিন মাস পর সুদারু লাবলু হারানো চেক দিয়ে অসহায় ফারুক উপর ১৫ লক্ষ টাকা এবং আক্তারুজ্জামানের উপর ৪৬ লক্ষ টাকার আদালতে চেক মামলা দেয়। মামলার ভয়ে ঘর ছাড়া হয়েছে ফারুক হোসেন এবং অপর জন জেল হাজতে রয়েছে। সুদারু লাভলুর সুদের খপ্পরে পরে এলাকার সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ সুদারু লাভলুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গোবিন্দগঞ্জে নাগরিক সমাজের আয়োজনে ১৬ জুলাই উপজেলা চত্বরে সুদারু লাভলুর বিরুদ্ধে বিশাল মানব অনুষ্টিত হয়। অনু্ষ্টানে সভপতিত্ব করেন নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু মোহন রায় জীবু। সাধারণ সম্পাদক মাহম্মুদ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেডিপি সভাপতি আইয়ুব হোসেন, বাসদনেতা ও রিপোর্টাস সাবেক সভাপতি কমরেড রফিকুল ইসলাম, মহিলা নেত্রী হ্যাপী বেগম, কালামানিক দেব, ভুক্তভোগী ফারুকের বাবা সরফরাজ আলী সহ এলাকার সাধারণত মানুষ।
বক্তারা বলেন আর যেন কোন গরীব অসহায় মানুষ সুদারু লাভলুর খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে না পড়ে বা লাভলু বাহিনীর দ্বারা নিষ্পেষিত নির্যাতিত হয়ে গৃহহীন না হয়।সেজন্য এই দাদন ব্যবসায়ী লাভলুকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।