রং চা বনাম দুধ চা
- আপডেট টাইম : ০৯:১৩:৪৬ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
- / ৪৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
আমাদের সমাজে অনেক সময় রাস্তাঘাটে জানি চা নিয়ে দেখা যায় তুমুল আলোচনা সমালোচনা, বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় যারা রং চা পান করে থাকেন, তারা যেন ঘোর বিরোধী দুধ চায়ের বিষয়।
যেমনটি আলোচনা ঝড় উঠে আওয়ামীলীগ আর বিএনপি নিয়ে চায়ের আড্ডা তে মাঠে ময়দানে।
অনুরূপ চা নিয়েও জলে তো মূল বিতর্ক,
আসুন তাহলে এবার মূল আলোচনায় চলে আসি,
বিশ্বজুড়ে যেসব পানীয় জনপ্রিয়,
তার অন্যতম চা। ছোট–বড় সবার কমবেশি পছন্দের পানীয় এটি।
বিশ্বজুড়ে নানা রকম চা উৎপাদিত হয়। বিভিন্ন উপায়ে চা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়, যার ওপর নির্ভর করে এর গুণাগুণ। যেমন কালো চা, সবুজ চা, ইষ্টক চা, উলং বা ওলোং চা ও প্যারাগুয়ে চা।
এ ছাড়া সাদা চা, হলুদ চা, পুয়ের চাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের হারবাল চা রয়েছে।
চা অনেক আগে থেকেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বলা হয়, চা পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে,
দেহের কোষের ক্ষয় রোধ হয়। চা যেমন হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়,
তেমনি আবার ক্যানসার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু কোন ধরনের চা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী?
দুধ চা, নাকি রং চা?
চিকিৎসকদের মতে,
যাঁরা নিয়মিত চা খান,
তাঁদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন যে দুধ চায়ের চেয়ে রং চা শরীরের জন্য বেশি উপকারী।
আসুন তাহলে দুধের বিষয়ে আমাদের সমাজে ক্ষতিকারক যে দিকগুলো নিয়ে আলোচনা বাজে যুক্তি উপস্থাপন করে থাকে সে বিষয় টি এবার জেনে নিই,
(১) চা পানীয় হিসেবে স্বাস্থ্যকর।
তবে আমরা এই চা তে যখন দুধ আর চিনি মেশাই তখন এর গুণাগুণ মান পরিবর্তন হয়ে যায়। এটি পাশাপাশি চা কে আরো এসিডিক করে তোলে।
আর অতিরিক্ত দুধ চা পানে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
(২) চা খেলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। যেমন কি শুধু চা অর্থাৎ ব্ল্যাক চাতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য যৌগ থাকে। এতে যখন আমরা দুধ চিনি দিই তখন এতে পুষ্টিগুণ তো থাকেইনা বরং এতে প্রোটিনের আরো ঘাটতি দেখা দেয়।
চা এর রাসায়নিক উপাদান
(৩) আমরা মনে করি চা খেলে স্ট্রেয করে। তাই অনেকেই প্রত্যেকদিন কয়েকবার করে দুধ চা খায় এতে তাদের রাতে ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঘুম কম হলে অনিদ্রার সমস্যা হয়। আর যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনিদ্রা থাকা মোটেও উচিত না। অনিদ্রা থেকে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। আর অনিদ্রা হলে দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস বেড়ে যায়।
(৪) যারা দিনে একদম হিসেবছাড়া চা খাই তাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্টকাঠিন্যের কারণে পেট ফেঁপে যায়, ভালোভাবে পায়খানা হয় না আর এতে গ্যাস এর সমস্যা বেড়ে যায়। এত করে শরীরে এক প্রকার অস্বস্তি দেখা দেয়। যার ফলে কোনো কাজে মন বসেনা।
(৫) দুধ চায়ে রক্তচাপ উঠানামা করে।
আর যারা ব্লাড সুগারের রোগী তাদের তো মোটেও দুধ চা খাওয়ার দরকার নেই। এতে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অর্থাৎ যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তাদের মোটেও উচিত না চা খাওয়ার এতে সুগার বেড়ে গিয়ে আরো রোগের বাসা বাঁধতে পারে।
বেশি চা খেলে কি হয়
(৬) অনেকেই বলে থাকেন চা খেলে গায়ের রং কালো হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের ত্বকে একটা কালসিটে ভাব চলে আসে। আমরা যে ব্ল্যাক লিকারের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ চা তে দুধ দি তখন এতে থাকা গুণাগুণ অক্ষুন্ন হয়ে যায়। এবং এতে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যায়।
অর্থাৎ উপরোক্ত তথ্য থেকে জানা যায়, দুধ চায়ের উপকারিতা থেকে অপকারিতার দিক বেশি। এতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যারা নিয়মমাফিক দিনে কয়েকবার করে চা খান তাদের উচিত চা পরিহার করার
আর এটি ছিল চিকিৎসকদের কথা,
এটা বিজ্ঞান ধারা প্রমাণিত নয়,
এখন আপনি নির্ধারণ করবেন আপনার শরীর কোনটিকে শুট করে।
রং চায়ের বিষয় যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটিকে অস্বীকার করা যায় না,
দুধ চা পান করলে শরীরে ক্ষতি হয় এমন বলা যায় না, যদি কোন ডাক্তার সেটা বলে থাকেন আর সেটাকে যদি চ্যালেঞ্জ করা হয়, তাহলে সেই ডাক্তার তার ডাক্তারি পেশা হারাতে পারেন।
আসলে বিজ্ঞানীরা যা কিছু আবিষ্কার করে সবকিছুই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হয়।
আর বাংলাদেশের মানুষরা জেনে গিয়েছে কোন জিনিসটা ছেলে ডাক্তারের কাছে বেশি যেতে হয় না, ডাক্তাররা সব সময় চাইবে আপনি অসুস্থ হন তার কাছে শরণাপন্ন হন, কারণ বাংলাদেশের ডাক্তারি পেশা বর্তমানে মহৎ পেশা হিসেবে দেখা যায় না, যখন থেকে ডাক্তারি পেশা বাণিজ্যিক করন হয়েছে, সারা বিশ্বের ডাক্তাররা,
যেগুলো খাদ্যাভ্যাস করলে মানুষের শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে, সেগুলো বলার থেকে বিরত থাকে, আর যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাদের কাছে আর যেতে হবে না, সে সমস্ত খাদ্যের ঘোর বিরোধী তারা।
তবে বাংলাদেশের সব মানুষ যেমন একরকম নয় ডাক্তারদের মাঝেও সকল ডাক্তার এক ধরনের নয়।
আর অন্য আরেকটি কথা মনে রাখা উচিত, ডাক্তার আর গবেষক এক নয়,
গবেষকরা গবেষণা করে যেতে বের করেন এবং ডাক্তারদের সাজেশ করেন ডাক্তাররা সেটা বলবে, এটাই স্বাভাবিক।
আমাদের তবে আমাদের সমাজে কিছু কিছু ডাক্তারদের দেখা যায় নিজেকে গবেষক হিসাবে প্রকাশ করতে।
মানুষের শরীরে কয়েক ধরনের রক্তের গ্রুপ রয়েছে, একজন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক এক রকম, আমরা সরজমিনে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেতে পাই যারা দুধ চা পান করেন তাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষের রং চা পান করলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়,
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য,
রংচা পানকারীদের অধিকাংশই এ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, অবশ্য যারা আদা ছাড়া রং চা পান করে থাকেন তাদের কথাই বলছি,
লেবু,আদা,পুদিনা পাতা-ছাড়া কখনোই রং চা পান করতে যাবেন না, এতে আপনার শরীরের উপকারের বদলে অপকারটাই সবচেয়ে বেশি হবে,
শুধু রং চাপ পানকারীদের প্রথম শারীরিক সমস্যা হয়, ছাগল বা ভেড়ার মত পায়খানা হওয়া, পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এটি বাড়তে বাড়তে বাবার হতে হতে পায়খানার রাস্তা বা মালদা ফেটে রক্ত বের হয়, এর থেকে সৃষ্টি হয় পাইলস বা আঞ্চলিক ভাষায় যেটিকে গেজ বলা হয়।
আগেই বলা হয়েছে সকলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক নয়, তবে এটি অনেকেরই হয়ে থাকে।
কাজেই দুধ চা খাবার বিষয় অন্যের সাথে তর্কে লিপ্ত না হওয়াটাই উত্তম।
কারন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর উনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক নয় এটা আপনাকে প্রথম বুঝতে হবে।
যেমনটি আপনার রক্তের গ্রুপ এবং আপনি যার সাথে তর্ক করছেন তার রক্তের গ্রুপ এক নয়, রক্তের গ্রুপ এক হলেও জিংক আলাদা, না হয় শরীরের রং স্বাস্থ্য এবং আকৃতি আলাদা আলাদা রয়েছে।