ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু

ময়মনসিংহে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী মুগ্ধ দর্শক

কামরুল হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩
  • / ১৫১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মনমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।

দেশের ৪৮৬ টি উপজেলায় প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে এরকম প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

বাংলাদেশ জাতীয় অ্যাক্রোবেটিক দলের ২৫জন শিল্পী মঞ্চে প্রায় ঘন্টা ধরে প্রদর্শনীতে মোট ১৩টি খেলা দেখান।

গ্রুপ সাইকেল ব্যালেন্স দিয়ে শুরু হয় ও প্রায় ২ ঘন্টায় ১৩ টি খেলা দেখানো হয়। খেলাগুলোর মধ্যে ছিল ব্রিক স্কিল, ‍ওয়্যার ব্যালেন্স, পাইপ ব্যালেন্স, ব্যারেল ব্যালেন্স, হাই সাইকেল ব্যালেন্স, টপ টু আমব্রেলা, রোফ জাম্প, রোলার ব্যালেন্স, রিং ড্যান্স, ল্যাডার ব্যালেন্স, ব্যাম্বো ও ফায়ার ড্যান্স, বডি ব্যালেন্স।

এধরণের আয়োজনের জন্য শিল্পকলা একাডেমীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দর্শকরা। আর দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরে শিল্পীরাও খুশি।

উপস্থিত দর্শক অপূর্ব রায় বলেন, এই ধরনের প্রদর্শনী আগামী প্রজন্মকে জঙ্গি ও মৌলবাদ মুক্ত সমাজ গঠন এবং সুস্থ সংষ্কৃতির চর্চার বিকাশে সাহায্য করবে।

বিশ্বের উল্লেখযোগ্য শিল্প মাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক শিল্প যা সমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত। তবে বাংলাদেশে এই শিল্পটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে আসছিল।

একসময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ’ফাইন এন্ড পারফমিং আর্ট

প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ীতে অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০০ খ্রীষ্টাব্দে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায়

২০১১ খ্রীষ্টাব্দে অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পুণরায় চালু করা হয়। যে সকল শিল্পী বিভিন্ন সময়ে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল তাদের একত্রিত করে শুধু প্রশিক্ষণ নয় একটি অ্যাক্রোবেটিক দল গঠন করা হয়। দলটির নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দল।

২০১৬ এবং ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দে চীনে মোট ২০ জন শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পী থেকে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছে এবং ১৮টি ইভেন্টের সমন্বয়ে শতাধিক প্রদর্শনী সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এই দল। ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি ২৫ সদস্যবিশিষ্ট বড়দের অ্যাক্রোবেটিক দল ৬৪টি জেলা ও শতাধিক উপজেলায় ইতিমধ্যে ৩৫০ টির অধিক প্রদর্শনী সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই ২টি দল শিল্পের এক উচ্চতা নিয়ে দেশব্যাপী সফল প্রদর্শনী করে যাচ্ছে। ২০৪১ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে উন্নত দেশের শিল্পমানে পৌঁছে যেতে ‍শুরু করেছে এই দলের শিল্প নৈপূন্য।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীতে নতুন শিল্পী তৈরী করার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রটি আধুনিকায়নের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ময়মনসিংহে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী মুগ্ধ দর্শক

আপডেট টাইম : ০৮:২৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মনমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।

দেশের ৪৮৬ টি উপজেলায় প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ময়মনসিংহে এরকম প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

বাংলাদেশ জাতীয় অ্যাক্রোবেটিক দলের ২৫জন শিল্পী মঞ্চে প্রায় ঘন্টা ধরে প্রদর্শনীতে মোট ১৩টি খেলা দেখান।

গ্রুপ সাইকেল ব্যালেন্স দিয়ে শুরু হয় ও প্রায় ২ ঘন্টায় ১৩ টি খেলা দেখানো হয়। খেলাগুলোর মধ্যে ছিল ব্রিক স্কিল, ‍ওয়্যার ব্যালেন্স, পাইপ ব্যালেন্স, ব্যারেল ব্যালেন্স, হাই সাইকেল ব্যালেন্স, টপ টু আমব্রেলা, রোফ জাম্প, রোলার ব্যালেন্স, রিং ড্যান্স, ল্যাডার ব্যালেন্স, ব্যাম্বো ও ফায়ার ড্যান্স, বডি ব্যালেন্স।

এধরণের আয়োজনের জন্য শিল্পকলা একাডেমীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দর্শকরা। আর দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরে শিল্পীরাও খুশি।

উপস্থিত দর্শক অপূর্ব রায় বলেন, এই ধরনের প্রদর্শনী আগামী প্রজন্মকে জঙ্গি ও মৌলবাদ মুক্ত সমাজ গঠন এবং সুস্থ সংষ্কৃতির চর্চার বিকাশে সাহায্য করবে।

বিশ্বের উল্লেখযোগ্য শিল্প মাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক শিল্প যা সমগ্র পৃথিবীতে সমাদৃত। তবে বাংলাদেশে এই শিল্পটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে আসছিল।

একসময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ’ফাইন এন্ড পারফমিং আর্ট

প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ীতে অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০০ খ্রীষ্টাব্দে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায়

২০১১ খ্রীষ্টাব্দে অ্যাক্রোবেটিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পুণরায় চালু করা হয়। যে সকল শিল্পী বিভিন্ন সময়ে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল তাদের একত্রিত করে শুধু প্রশিক্ষণ নয় একটি অ্যাক্রোবেটিক দল গঠন করা হয়। দলটির নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অ্যাক্রোবেটিক দল।

২০১৬ এবং ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দে চীনে মোট ২০ জন শিশু অ্যাক্রোবেটিক শিল্পী থেকে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছে এবং ১৮টি ইভেন্টের সমন্বয়ে শতাধিক প্রদর্শনী সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এই দল। ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি ২৫ সদস্যবিশিষ্ট বড়দের অ্যাক্রোবেটিক দল ৬৪টি জেলা ও শতাধিক উপজেলায় ইতিমধ্যে ৩৫০ টির অধিক প্রদর্শনী সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই ২টি দল শিল্পের এক উচ্চতা নিয়ে দেশব্যাপী সফল প্রদর্শনী করে যাচ্ছে। ২০৪১ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে উন্নত দেশের শিল্পমানে পৌঁছে যেতে ‍শুরু করেছে এই দলের শিল্প নৈপূন্য।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীতে নতুন শিল্পী তৈরী করার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রটি আধুনিকায়নের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।