ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

শরীয়তপুর ডিসি অফিসে দুর্নীতি বাজদের আশ্রয়দাতা সার্ভেয়ার বাদল

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক ও নাওডোবা জমাদ্দার স্ট্যান্ড গোল চত্বর পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কের কাজে ধীর গতির জন্য দায়ী ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার বাদল ও দালাল চক্র সহ গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার তিমির এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ কারণেই সরকারের প্রকল্প ব্যয়

সহ অধিগ্রহণ কি তো এলাকায় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় ।

শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক চার লেন করতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয় ২০১৯ সালে। চার বছরে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও জমি বুঝে না পাওয়ায় প্রকল্পটিতে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, জমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসনের ধীরগতির কারণে কাজটি এগোচ্ছে না। আর জেলা প্রশাসনের দাবি, জমি অধিগ্রহণ সঠিক প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে। ঠিকাদারদের কাজ না করার তথ্য তাদের জানা নেই।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে চট্টগ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগের জন্য ২০০১ সালে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটি চালু হয়। মেঘনার নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে সদর উপজেলার মনোহর বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ একনেকে ৮৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছরের জুনেই জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন। সড়কের জন্য ২২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এ জন্য সওজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ৪৩১ কোটি
টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার বছরে এখনো পুরো জমি বুঝে পায়নি সওজ। মাত্র সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশের ৪২ দশমিক ৫৫ একর জমি বুঝে পেয়ে সওজ। বাকি সাড়ে ২৬ কিলোমিটার সড়কের ১৮৪ দশমিক ৪৫ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এখনো বিভিন্ন জটিলতার কারণে চলমান।

সওজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার লেনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখন সড়কটি ৩৩ ফুট প্রশস্ত করে দুই লেন করা হবে। সড়কটির মধ্যে ৭টি কালভার্ট প্রশস্ত ও নতুন ১৭টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য চারটি গুচ্ছ প্রকল্পে চারটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় সওজ। প্রকল্প শেষ করার জন্য প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ওই সময়ে কোনো কাজ না হওয়ায় মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
অন্যদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়
শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন থানা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতেছে।
দিচ্ছে জমিতে থাকা ঘর গাছ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ জমির ক্ষতিপূরণের টাকা। আর এই ক্ষতিপূরণের টাকা দিচ্ছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এই সুযোগকে
কাজে লাগাতে ডিসি অফিসের
সার্ভেয়ার বাদল গড়ে তুলেছে সুযোগ সন্ধানী একটি প্রতারক ও প্রভাবশালী দালাল চক্র ।মাস্টারমাইন্ড সার্ভেয়ার বাদল এর প্রধান কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের আগাম সংবাদ প্রতারক ও দালাল চক্র দের কাছে জানিয়ে দেওয়া ও বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় দালাল
চক্ররা তড়িঘড়ি করে অল্প সময়ের মধ্যে নতুন ঘর মুরগির খামার গাছের বাগান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্তিষ্ঠান নির্মাণ করা। আর এই সমস্ত অবকাঠামোগুলো পুরনো অবকাঠামোর সাথে মিশিয়ে ডিসি অফিসের মাধ্যমে যেই ভিডিও ধারণ করা হয় সেই ভিডিও তে যেন দেখানো যায় এবং
অবকাঠামো বিলের তালিকা প্রস্তুতের সকল ধরনের সহযোগিতা করেন মাস্টারমাইন্ড সার্ভেয়ার বাদল তার উদ্দেশ্য একটাই সরকারের কোটি কোটি টাকা কৌশলগতভাবে প্রতারক ও প্রভাবশালী দালাল চক্র দের মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া।
অন্যদিকে ও অভিযোগ রয়েছে শরীয়তপুর গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার তিমির, নগদ ঘুষের বিনিময়ে অবকাঠামো বিল ৩/৪ গুণ বাড়িয়ে তালিকা প্রস্তুত করা ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে নাওডোবা গোলচত্বর হতে-দৈনিক বাজার,আনন্দ বাজার,জাজিরা আড়াচন্ডি আকন বাড়ি,জাজিরা
রসের মোড়,জাজিরা টিএনডটি মোড়,মতি সাগর মৌলভী কান্দি,নৈরা রাজনগর বটতলা,রাজনগর বেইলি ব্রীজ মসজিদ সংলগ্ন ,খিলগাও মৌজা,নশাষন, কোটালিপাড়া পাড়া ব্রীজ শরীয়তপুর এর বিভিন্ন এলাকার একশতাধিক পরিবারের
সাথে কথা বলে জানা গেছে ফোরলেন রাস্তা নির্মান প্রকল্পে অবকাঠামোর ক্ষতিপুরন বিল উত্তোলন করার আশায় স্থানীয় এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ ডিসি অফিসের দালালরা রাতারাতি এসব স্থানে স্থাপনা তৈরি করেছেন স্থাপনার মধ্যে রয়েছে নতুন ঘর,মুরগীর খামার,পাকাবাড়ি,সমিল সহ নানা
ধরনের স্থাপনা । রাজ নগর বেইলীব্রীজ সংলগ্ন মসজিদের সাথে ও রাজনগর ইমাম শিকদারের মুরগীর খামারে নাওডোবার দাদন ঢালী পিতাঃ আমজাদ ঢালী সাং-নাওডোবা আমজাদ ঢালীর কান্দি,নামক ব্যক্তি নতুন করে উপড়ে নীচে পাটাতনের ছয়টি ঘর নির্মান করেছে।অন্যদিকে রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোশাররফ কাজীর বাড়ির পাশে হক সাহেবের জমিতে দুইটি ঘর তুলেছে দেলোয়ার মুন্সী পিতা মৃত রশিদ মুন্সী সাং-নাওডোবা বাজার সংলগ্ন হাজী মন্নাফ ফকির কান্দি থানা জাজিরা,ও সাহেব বাজার কালভাট পার হতেই রাস্তার দুই পাশে নাজমুল মোল্লা নামক ব্যক্তি অন্যস্থান হইতে পুরনো ঘর দিয়ে বাড়ি সাজায় যেখানে বসবাসের কেউ নেই উদ্দেশ্য একটাই সরকারি টাকা দুর্নীতির মধ্য দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া এলাকাবাসী সাংবাদিকদের আরও জানায় শরীয়তপুরে রাস্তার দুইটি প্রকল্পতেই দালাল চক্ররাই বেশিরভাগ ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে । অন্যদিকে

নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে চরসেন্সাস মাদবরকান্দি পর্যন্ত ৫ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে মীর হাবিবুল আলম অ্যান্ড রানা বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠানটি দুই কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত ইটের খোয়া দিয়ে বালু ভরাট করেছে। আর দুটি কালভার্ট নির্মাণ করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি কোনো কাজ করছে না। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মিলন শেখ বলেন, ‘২০২০ সালের ২৫ মার্চ কার্যাদেশ পাই। এরপর লোকজন নিয়ে প্রকল্প এলাকায় আসি। তিন বছর ধরে বসে আছি। এখনো জমি বুঝে পাইনি। কাজ করতে গেলে ওই এলাকার স্থানীয় শরীয়তপুর ডিসি অফিসের দালাল ও দুর্নীতিবাজরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কাজে বাধা দেয় এবং বলেন আমরা ঘর ,গাছের বাগান,ও জমির ক্ষতিপূরণ বিল পাইনি এখানে কোনরকম কাজ করা যাবে না।
প্রকল্পটিতে বিনিয়োগ করে ফেঁসে গেছি। এখন আবার নির্মাণসামগ্রীর দাম ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। প্রকল্পের ব্যয় না বাড়ালে আমরা কাজ করতে পারব না।’

চরসেন্সাস মাদবরকান্দি থেকে মনোহর বাজার পর্যন্ত প্রথম ১৭ দশমিক ১ কিলোমিটারের কাজ যৌথভাবে পেয়েছে ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স, রিলায়েবল বিল্ডার্স ও মাইনুদ্দিন বাশি লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৮ কিলোমিটারের কাজ যৌথভাবে পেয়েছে বদরুল ইকবাল, হাসান টেকনো বিল্ডার্স ও ওয়েস্টার্ন ট্রাভেশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে তাদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো জমিই বুঝে পায়নি তারা। গত বছরের অক্টোবরে ওই প্রকল্পে কাজ না করার কথা জানিয়ে সওজকে চিঠি দেয়প্রতিষ্ঠানগুলো।

ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্সের মালিক শফিকুল আলম বলেন, ‘কার্যাদেশ পাওয়ার পর ১৮ মাস অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তারা আমাদের জমি বুঝিয়ে দিতে পারেনি। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। কত দিনে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবে, সেটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে কাজ না করার কথা সওজকে জানিয়ে দিয়েছি।’

শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জমি অধিগ্রহণে ধীরগতির জন্য সড়কটির কাজ এগোচ্ছে না। ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজ করবে না বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়ে দিয়েছে। আর একটি অংশের কাজ চলছে ধীরগতিতে। তারাও বলেছে, প্রকল্প ব্যয় না বাড়ালে কাজ করবে না। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণেই চার লেন সড়কটির নির্মাণকাজে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবেই এগোচ্ছে। সওজকে যে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সেই অংশের কাজও করছে না। আর প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ করছে না এমন তথ্য তাঁর জানা নেই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন।

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো ৩১ কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দে ভরা। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী দিদার পরিবহনের চালক রাশেদুজ্জামান বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে গেলে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ কম হয়। তাই ২০ বছর ধরে সড়কটি দিয়ে বাস চালাচ্ছেন। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা-গর্ত থাকায় অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

ট্রাকচালক মোবারক হোসেন বলেন, সড়কটি দিয়ে বেনাপোল, ভোমরা, পায়রা ও মোংলা বন্দরের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহন করা হয়। শরীয়তপুর অংশে এলেই তাঁরা দুর্ভোগে পড়েন। বেহাল সড়কের কারণে এক ঘণ্টার পথ যেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

পাহাড় পুর বাজারে ক্ষমতার দাপটে সরকারি শৌচাগার বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ,

শরীয়তপুর ডিসি অফিসে দুর্নীতি বাজদের আশ্রয়দাতা সার্ভেয়ার বাদল

আপডেট টাইম : ০১:৫২:০৫ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক ও নাওডোবা জমাদ্দার স্ট্যান্ড গোল চত্বর পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কের কাজে ধীর গতির জন্য দায়ী ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার বাদল ও দালাল চক্র সহ গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার তিমির এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ কারণেই সরকারের প্রকল্প ব্যয়

সহ অধিগ্রহণ কি তো এলাকায় বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় ।

শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক চার লেন করতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন দেয় ২০১৯ সালে। চার বছরে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও জমি বুঝে না পাওয়ায় প্রকল্পটিতে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে, জমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসনের ধীরগতির কারণে কাজটি এগোচ্ছে না। আর জেলা প্রশাসনের দাবি, জমি অধিগ্রহণ সঠিক প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে। ঠিকাদারদের কাজ না করার তথ্য তাদের জানা নেই।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে চট্টগ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগের জন্য ২০০১ সালে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কটি চালু হয়। মেঘনার নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে সদর উপজেলার মনোহর বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ একনেকে ৮৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছরের জুনেই জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন। সড়কের জন্য ২২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এ জন্য সওজের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে ৪৩১ কোটি
টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার বছরে এখনো পুরো জমি বুঝে পায়নি সওজ। মাত্র সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশের ৪২ দশমিক ৫৫ একর জমি বুঝে পেয়ে সওজ। বাকি সাড়ে ২৬ কিলোমিটার সড়কের ১৮৪ দশমিক ৪৫ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া এখনো বিভিন্ন জটিলতার কারণে চলমান।

সওজ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার লেনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখন সড়কটি ৩৩ ফুট প্রশস্ত করে দুই লেন করা হবে। সড়কটির মধ্যে ৭টি কালভার্ট প্রশস্ত ও নতুন ১৭টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এ জন্য চারটি গুচ্ছ প্রকল্পে চারটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় সওজ। প্রকল্প শেষ করার জন্য প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ওই সময়ে কোনো কাজ না হওয়ায় মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
অন্যদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়
শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন থানা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতেছে।
দিচ্ছে জমিতে থাকা ঘর গাছ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ জমির ক্ষতিপূরণের টাকা। আর এই ক্ষতিপূরণের টাকা দিচ্ছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এই সুযোগকে
কাজে লাগাতে ডিসি অফিসের
সার্ভেয়ার বাদল গড়ে তুলেছে সুযোগ সন্ধানী একটি প্রতারক ও প্রভাবশালী দালাল চক্র ।মাস্টারমাইন্ড সার্ভেয়ার বাদল এর প্রধান কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের আগাম সংবাদ প্রতারক ও দালাল চক্র দের কাছে জানিয়ে দেওয়া ও বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় দালাল
চক্ররা তড়িঘড়ি করে অল্প সময়ের মধ্যে নতুন ঘর মুরগির খামার গাছের বাগান সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্তিষ্ঠান নির্মাণ করা। আর এই সমস্ত অবকাঠামোগুলো পুরনো অবকাঠামোর সাথে মিশিয়ে ডিসি অফিসের মাধ্যমে যেই ভিডিও ধারণ করা হয় সেই ভিডিও তে যেন দেখানো যায় এবং
অবকাঠামো বিলের তালিকা প্রস্তুতের সকল ধরনের সহযোগিতা করেন মাস্টারমাইন্ড সার্ভেয়ার বাদল তার উদ্দেশ্য একটাই সরকারের কোটি কোটি টাকা কৌশলগতভাবে প্রতারক ও প্রভাবশালী দালাল চক্র দের মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া।
অন্যদিকে ও অভিযোগ রয়েছে শরীয়তপুর গণপূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার তিমির, নগদ ঘুষের বিনিময়ে অবকাঠামো বিল ৩/৪ গুণ বাড়িয়ে তালিকা প্রস্তুত করা ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে নাওডোবা গোলচত্বর হতে-দৈনিক বাজার,আনন্দ বাজার,জাজিরা আড়াচন্ডি আকন বাড়ি,জাজিরা
রসের মোড়,জাজিরা টিএনডটি মোড়,মতি সাগর মৌলভী কান্দি,নৈরা রাজনগর বটতলা,রাজনগর বেইলি ব্রীজ মসজিদ সংলগ্ন ,খিলগাও মৌজা,নশাষন, কোটালিপাড়া পাড়া ব্রীজ শরীয়তপুর এর বিভিন্ন এলাকার একশতাধিক পরিবারের
সাথে কথা বলে জানা গেছে ফোরলেন রাস্তা নির্মান প্রকল্পে অবকাঠামোর ক্ষতিপুরন বিল উত্তোলন করার আশায় স্থানীয় এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ ডিসি অফিসের দালালরা রাতারাতি এসব স্থানে স্থাপনা তৈরি করেছেন স্থাপনার মধ্যে রয়েছে নতুন ঘর,মুরগীর খামার,পাকাবাড়ি,সমিল সহ নানা
ধরনের স্থাপনা । রাজ নগর বেইলীব্রীজ সংলগ্ন মসজিদের সাথে ও রাজনগর ইমাম শিকদারের মুরগীর খামারে নাওডোবার দাদন ঢালী পিতাঃ আমজাদ ঢালী সাং-নাওডোবা আমজাদ ঢালীর কান্দি,নামক ব্যক্তি নতুন করে উপড়ে নীচে পাটাতনের ছয়টি ঘর নির্মান করেছে।অন্যদিকে রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোশাররফ কাজীর বাড়ির পাশে হক সাহেবের জমিতে দুইটি ঘর তুলেছে দেলোয়ার মুন্সী পিতা মৃত রশিদ মুন্সী সাং-নাওডোবা বাজার সংলগ্ন হাজী মন্নাফ ফকির কান্দি থানা জাজিরা,ও সাহেব বাজার কালভাট পার হতেই রাস্তার দুই পাশে নাজমুল মোল্লা নামক ব্যক্তি অন্যস্থান হইতে পুরনো ঘর দিয়ে বাড়ি সাজায় যেখানে বসবাসের কেউ নেই উদ্দেশ্য একটাই সরকারি টাকা দুর্নীতির মধ্য দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া এলাকাবাসী সাংবাদিকদের আরও জানায় শরীয়তপুরে রাস্তার দুইটি প্রকল্পতেই দালাল চক্ররাই বেশিরভাগ ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে । অন্যদিকে

নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে চরসেন্সাস মাদবরকান্দি পর্যন্ত ৫ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে মীর হাবিবুল আলম অ্যান্ড রানা বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠানটি দুই কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত ইটের খোয়া দিয়ে বালু ভরাট করেছে। আর দুটি কালভার্ট নির্মাণ করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি কোনো কাজ করছে না। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মিলন শেখ বলেন, ‘২০২০ সালের ২৫ মার্চ কার্যাদেশ পাই। এরপর লোকজন নিয়ে প্রকল্প এলাকায় আসি। তিন বছর ধরে বসে আছি। এখনো জমি বুঝে পাইনি। কাজ করতে গেলে ওই এলাকার স্থানীয় শরীয়তপুর ডিসি অফিসের দালাল ও দুর্নীতিবাজরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কাজে বাধা দেয় এবং বলেন আমরা ঘর ,গাছের বাগান,ও জমির ক্ষতিপূরণ বিল পাইনি এখানে কোনরকম কাজ করা যাবে না।
প্রকল্পটিতে বিনিয়োগ করে ফেঁসে গেছি। এখন আবার নির্মাণসামগ্রীর দাম ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। প্রকল্পের ব্যয় না বাড়ালে আমরা কাজ করতে পারব না।’

চরসেন্সাস মাদবরকান্দি থেকে মনোহর বাজার পর্যন্ত প্রথম ১৭ দশমিক ১ কিলোমিটারের কাজ যৌথভাবে পেয়েছে ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্স, রিলায়েবল বিল্ডার্স ও মাইনুদ্দিন বাশি লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। বাকি ৮ কিলোমিটারের কাজ যৌথভাবে পেয়েছে বদরুল ইকবাল, হাসান টেকনো বিল্ডার্স ও ওয়েস্টার্ন ট্রাভেশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাইয়ের মধ্যে তাদের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখনো জমিই বুঝে পায়নি তারা। গত বছরের অক্টোবরে ওই প্রকল্পে কাজ না করার কথা জানিয়ে সওজকে চিঠি দেয়প্রতিষ্ঠানগুলো।

ওরিয়েন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড বিল্ডার্সের মালিক শফিকুল আলম বলেন, ‘কার্যাদেশ পাওয়ার পর ১৮ মাস অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তারা আমাদের জমি বুঝিয়ে দিতে পারেনি। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেক বেড়েছে। কত দিনে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবে, সেটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে কাজ না করার কথা সওজকে জানিয়ে দিয়েছি।’

শরীয়তপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জমি অধিগ্রহণে ধীরগতির জন্য সড়কটির কাজ এগোচ্ছে না। ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজ করবে না বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়ে দিয়েছে। আর একটি অংশের কাজ চলছে ধীরগতিতে। তারাও বলেছে, প্রকল্প ব্যয় না বাড়ালে কাজ করবে না। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণেই চার লেন সড়কটির নির্মাণকাজে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবেই এগোচ্ছে। সওজকে যে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সেই অংশের কাজও করছে না। আর প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ করছে না এমন তথ্য তাঁর জানা নেই। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলবেন।

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো ৩১ কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দে ভরা। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী দিদার পরিবহনের চালক রাশেদুজ্জামান বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে গেলে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পথ কম হয়। তাই ২০ বছর ধরে সড়কটি দিয়ে বাস চালাচ্ছেন। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা-গর্ত থাকায় অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

ট্রাকচালক মোবারক হোসেন বলেন, সড়কটি দিয়ে বেনাপোল, ভোমরা, পায়রা ও মোংলা বন্দরের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহন করা হয়। শরীয়তপুর অংশে এলেই তাঁরা দুর্ভোগে পড়েন। বেহাল সড়কের কারণে এক ঘণ্টার পথ যেতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে।