ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন দেবরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ২৮৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান। ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল—আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে আল—আমিন গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরনের হুমকি—ধামকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। কিছুদিন আগেই আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। অভিযুক্ত আল—আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন দেবরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়

আপডেট টাইম : ০২:০৯:০৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান। ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল—আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে আল—আমিন গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরনের হুমকি—ধামকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। কিছুদিন আগেই আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। অভিযুক্ত আল—আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।