ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন দেবরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০২:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ২৯৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান। ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল—আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে আল—আমিন গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরনের হুমকি—ধামকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। কিছুদিন আগেই আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। অভিযুক্ত আল—আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন দেবরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চায়

আপডেট টাইম : ০২:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দেবরের অত্যাচারে অতিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন (৩৪) অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে চান। ইতোমধ্যেই তাকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি নিরুপায় হয়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের পান্তাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএমএইচ মাসুদ রানা পুলিশের সাব ইন্সপেকটর ছিলেন। গত ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই মেয়ে মাইশা (১৪) ও ছেলে মোহাম্মদ মাহদীকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন বিধবা স্ত্রী হালিমা খাতুন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তার দেবর আল—আমিন হোসেন (২৯) সেই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন। এরই এক পর্যায়ে আল—আমিন গত বুধবার বাহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী যুবকদের সাথে নিয়ে অসহায় হালিমা খাতুনের বাড়ির সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হালিমা বেগমকে বাড়ি ছাড়তে নানা ধরনের হুমকি—ধামকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হালিমা খাতুন জানান, আমার দেবর আল আমিন নানা সময়ে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং আমার মেয়ে সহ আমাকে মারধর করেন। কিছুদিন আগেই আমার বাড়ির দরজার তালা এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ঘরে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেন। এছাড়াও আমার বসত ঘরের দরজার সামনে একটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছে। এতে আমরা নিজ বাড়িতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। অভিযুক্ত আল—আমিন হোসেনের সাথে দেখা করে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক্যামেরার সামনে থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইজার উদ্দিন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।