ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

কিশোরগঞ্জে বাবার দায়ের করা মামলায় কন্যা আছমা আক্তারের ফাঁসি

কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আছমা আক্তার পারিবারিক কলহের ধরিয়া তাহার মেয়ে শিউলি আক্তার মায়া(১০)কে বাজার হইতে বিষাক্ত ট্যাবলেট (ইঁদুর মারার ট্যাবলেট )আমার নাতনী কে জোর পূর্বক খাওয়াইয়া হত্যা করার দায়ে মোঃ সুরুজ মিয়া বাদী হইয়া তার কন্যা লতিবা বাদ পূর্ব চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আছমা আক্তার (৩২) এক মহিলাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং তাকে ১০০০০ হাজার টাকা জরিপানা করা হয়েছে। রোজ: রবিবার ৩০( এপ্রিল) বেলা :১২:৩০ টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত নং ১ কিশোরগঞ্জের এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লা এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি এম,এ.আফজল বাদী রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।উক্ত মামলায় ০৭জন সাক্ষী প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আছমা আক্তার সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের লতিবাবাদ পূর্ব চরপাড়া গ্রামের মোঃ সুরুজ মিয়ার কন্যা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ১৬ই ফেব্রুয়ারি মাসে সকালের ঘটনা দেখাইয়া কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় বাদি সুরুজ মিয়া অভিযোগ দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জ মামলা নং১৯(২)২০ ধারা:৪(১)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ শিশুকে বিষাক্ত ট্যাবলেটজোরপূর্বক সেবন করাইয়া মৃত্যু ঘটানোর অপরাধ। অভিযোগ উল্লেখ করেন যে, আমার মেয়ে আছমা আক্তার ১২ বছর পূর্বে নাটোর জেলার আশরাফ উদ্দিনের সহিত নিজের পছন্দমত বিয়ে হয়।তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।নাম :শিউলি আক্তার মায়া (১০ )বিগত ০৭বছর পূর্বে উক্ত মেয়ের জামাতা আশরাফ উদ্দিন ঢাকা মহাখালী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর হইতে আমার মেয়ে আছমা আক্তার তার মেয়ে শিউলি সহ আমাদের বাড়িতে বসবাস করে আসিতেছে। গত অনুমান ০৩বছর পূর্বে আ: কাদের পিতা :অজ্ঞাত সাং হাতিয়া বর থানা :জয়দেবপুর জেলা :গাজীপুর আমার মেয়ে আছমা আক্তার পুনরায় বিবাহ হয়।বিবাহের পর হইতে আমার মেয়ে আমাদের বাড়িতেই বসবাস করিয়া আসতেছিল। নাতনি শিউলি আক্তার (মায়া )স্থানীয় জাহানারা কিন্ডার গার্ডেনে তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। উক্ত মেয়ের জামাই আ: কাদের ১০-১৫ দিন পরপর আমাদের বাড়িতে আসিয়া ২/৩ দিন অবস্থান করিয়া চলিয়া যাইত। মাঝে মাঝে আমার মেয়েও নাতি সহ জামাই বাড়িতে যাইয়া ২-৩ দিন অবস্থান করিয়া বাড়িতে চলিয়া আসি তো স্বামী স্ত্রী মধ্যে মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি হইত।বিগত ০২ বছর যাবত জামাই আ: কাদের আমাদের বাড়িতে না আসিলেও আসমা আক্তার তার মেয়েকে সহ কাদেরের কাছে যাওয়া আশা করিত। বেশ কিছুদিন যাবত। আছমা আক্তার রাগে ক্ষোভে কারো সাথে তেমন কথাবার্তা বলত না। যার কারণ আমরা জানি না আমি ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে রাত অনুমান ৪:০০ঘটিকার সময় উমরা হজ্জ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে আমার বর্ণিত ঠিকানায় বাড়িতে আসি।আমার ছেলে নয়ন মিয়া শাশুড়ী আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে আছমা আক্তার আমার ছেলের শাশুড়িকে ঘরে প্রবেশ করিতে নিষেধ করিয়া রাগারাগি ও গালিগালাজ শুরু করে। আমার মেয়ে আছমা আক্তার আমার সাথেও ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে যে আমাকে আপনার মেয়ে হইতে তাজ্য করে দেন। মেয়ের বাড়াবাড়ির কারণে বাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জ শহরে চলে আসি। আছমা আক্তার পারিবারিক কলহের জের ধরিয়া তাহার মেয়ে আমার নাতনি শিউলি আক্তার (মায়া)কে স্কুল থেকে বাড়িতে আনিয়া১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সকাল অনুমান ১০ঃ৩৫ মিনিটে সময় শিউলী আক্তার (মায়া ) কে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাজার হইতে বিষাক্ত ট্যাবলেট (ইদুর মারার ট্যাবলেট )আনিয়া আমার বসত বাড়ির উঠানে তাহার মেয়ে শিউলি আক্তার মায়া (১০) কে জোরপূর্বক একটি ট্যাবলেট খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে আরও একটি ট্যাবলেট খাওয়ানোর চেষ্টা কালে আমার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দেখিয়া বাধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী কে ধাক্কা দিয়ে সরাইয়া শিউলির গলায় চাপিয়া ধরে।পুনরায় আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাহাকে ঠেলা ধাক্কা মারিয়া সরাইয়া মোবাইলের ইয়ারফোনের তার দিয়ে শিউলির গলায় পেছাইয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যার চেষ্টা কালে আমার নাতনী বমি করিয়া মাটিতে ঢলিয়া পড়ে।আমার নাতনি শিউলি আক্তার মায়া (১০) পিতা মৃত আশরাফ উদ্দিন সাং নাটোর থানা জেলা নাটোর কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ সকাল অনুমান ১১:৪৫ মিনিটে সময় কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আছমা আক্তারের বাবা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ বছর পূর্তীতে বিজয় মাহমুদের ফ্রী কোরআন শিক্ষার আসর

কিশোরগঞ্জে বাবার দায়ের করা মামলায় কন্যা আছমা আক্তারের ফাঁসি

আপডেট টাইম : ০৩:২০:৪৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আছমা আক্তার পারিবারিক কলহের ধরিয়া তাহার মেয়ে শিউলি আক্তার মায়া(১০)কে বাজার হইতে বিষাক্ত ট্যাবলেট (ইঁদুর মারার ট্যাবলেট )আমার নাতনী কে জোর পূর্বক খাওয়াইয়া হত্যা করার দায়ে মোঃ সুরুজ মিয়া বাদী হইয়া তার কন্যা লতিবা বাদ পূর্ব চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আছমা আক্তার (৩২) এক মহিলাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং তাকে ১০০০০ হাজার টাকা জরিপানা করা হয়েছে। রোজ: রবিবার ৩০( এপ্রিল) বেলা :১২:৩০ টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত নং ১ কিশোরগঞ্জের এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লা এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি এম,এ.আফজল বাদী রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।উক্ত মামলায় ০৭জন সাক্ষী প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আছমা আক্তার সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের লতিবাবাদ পূর্ব চরপাড়া গ্রামের মোঃ সুরুজ মিয়ার কন্যা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে ১৬ই ফেব্রুয়ারি মাসে সকালের ঘটনা দেখাইয়া কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় বাদি সুরুজ মিয়া অভিযোগ দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জ মামলা নং১৯(২)২০ ধারা:৪(১)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ শিশুকে বিষাক্ত ট্যাবলেটজোরপূর্বক সেবন করাইয়া মৃত্যু ঘটানোর অপরাধ। অভিযোগ উল্লেখ করেন যে, আমার মেয়ে আছমা আক্তার ১২ বছর পূর্বে নাটোর জেলার আশরাফ উদ্দিনের সহিত নিজের পছন্দমত বিয়ে হয়।তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়।নাম :শিউলি আক্তার মায়া (১০ )বিগত ০৭বছর পূর্বে উক্ত মেয়ের জামাতা আশরাফ উদ্দিন ঢাকা মহাখালী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর হইতে আমার মেয়ে আছমা আক্তার তার মেয়ে শিউলি সহ আমাদের বাড়িতে বসবাস করে আসিতেছে। গত অনুমান ০৩বছর পূর্বে আ: কাদের পিতা :অজ্ঞাত সাং হাতিয়া বর থানা :জয়দেবপুর জেলা :গাজীপুর আমার মেয়ে আছমা আক্তার পুনরায় বিবাহ হয়।বিবাহের পর হইতে আমার মেয়ে আমাদের বাড়িতেই বসবাস করিয়া আসতেছিল। নাতনি শিউলি আক্তার (মায়া )স্থানীয় জাহানারা কিন্ডার গার্ডেনে তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। উক্ত মেয়ের জামাই আ: কাদের ১০-১৫ দিন পরপর আমাদের বাড়িতে আসিয়া ২/৩ দিন অবস্থান করিয়া চলিয়া যাইত। মাঝে মাঝে আমার মেয়েও নাতি সহ জামাই বাড়িতে যাইয়া ২-৩ দিন অবস্থান করিয়া বাড়িতে চলিয়া আসি তো স্বামী স্ত্রী মধ্যে মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি হইত।বিগত ০২ বছর যাবত জামাই আ: কাদের আমাদের বাড়িতে না আসিলেও আসমা আক্তার তার মেয়েকে সহ কাদেরের কাছে যাওয়া আশা করিত। বেশ কিছুদিন যাবত। আছমা আক্তার রাগে ক্ষোভে কারো সাথে তেমন কথাবার্তা বলত না। যার কারণ আমরা জানি না আমি ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে রাত অনুমান ৪:০০ঘটিকার সময় উমরা হজ্জ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে আমার বর্ণিত ঠিকানায় বাড়িতে আসি।আমার ছেলে নয়ন মিয়া শাশুড়ী আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে আছমা আক্তার আমার ছেলের শাশুড়িকে ঘরে প্রবেশ করিতে নিষেধ করিয়া রাগারাগি ও গালিগালাজ শুরু করে। আমার মেয়ে আছমা আক্তার আমার সাথেও ঝগড়ায় লিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে যে আমাকে আপনার মেয়ে হইতে তাজ্য করে দেন। মেয়ের বাড়াবাড়ির কারণে বাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জ শহরে চলে আসি। আছমা আক্তার পারিবারিক কলহের জের ধরিয়া তাহার মেয়ে আমার নাতনি শিউলি আক্তার (মায়া)কে স্কুল থেকে বাড়িতে আনিয়া১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সকাল অনুমান ১০ঃ৩৫ মিনিটে সময় শিউলী আক্তার (মায়া ) কে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাজার হইতে বিষাক্ত ট্যাবলেট (ইদুর মারার ট্যাবলেট )আনিয়া আমার বসত বাড়ির উঠানে তাহার মেয়ে শিউলি আক্তার মায়া (১০) কে জোরপূর্বক একটি ট্যাবলেট খাওয়ায় এবং পরবর্তীতে আরও একটি ট্যাবলেট খাওয়ানোর চেষ্টা কালে আমার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দেখিয়া বাধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী কে ধাক্কা দিয়ে সরাইয়া শিউলির গলায় চাপিয়া ধরে।পুনরায় আমার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাহাকে ঠেলা ধাক্কা মারিয়া সরাইয়া মোবাইলের ইয়ারফোনের তার দিয়ে শিউলির গলায় পেছাইয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যার চেষ্টা কালে আমার নাতনী বমি করিয়া মাটিতে ঢলিয়া পড়ে।আমার নাতনি শিউলি আক্তার মায়া (১০) পিতা মৃত আশরাফ উদ্দিন সাং নাটোর থানা জেলা নাটোর কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ সকাল অনুমান ১১:৪৫ মিনিটে সময় কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আছমা আক্তারের বাবা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।