এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

- আপডেট টাইম : ০৪:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৩৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াক তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছান তিনি, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে শারীরিক চেকআপ করতে এসেছেন ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এভারকেয়ার হাসপাতালে।
কয়েকটি পরীক্ষা করতে সময় লাগবে। এই কারনে ম্যাডামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসাধী নিচ্ছেন।
গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন রওনা হওয়ার সেই সময়টিতে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হচ্ছেন-
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, কামরুজ্জামান রতন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি প্রমুখ। বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে-
বিভিন্ন প্রান্তের নেতাকর্মীদের আগমনে বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিতে কিছুটা বিলম্ব হয়, কেউ এসেছেন এ নেত্রীকে এক নজর চোখে দেখতে কেউ কথা বলতে কিন্তু সবার কথা বলার সুযোগ হয়নি,
যে বিষয়টি না বললেই নয়-প্রবীণ ৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ তিনি নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানের ফিরোজায় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল, এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সরকারি নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন।
তিনি ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি,
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে উনার কারাজীবন শুরু হয়।
এর পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়।
তিনি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে গুলশানের বাসাতেই বসবাস করছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার সবশেষ গত ২৬ মার্চ মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ
এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।