ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ নোয়াগড় গ্রামে কোটি টাকার হিসাব নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত।। সেনাবাহিনীর হাতে ১১ জন আটক ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে মাদক দ্রব্য গাঁজাসহ হিজরা গ্রেফতার পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে

বাজারে চিনি নিয়ে অস্থিরতা কমছেই না- জনমনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান দৈনিক সময়ের কণ্ঠ
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৭৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

সরকারের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই, পরেও তারপরেও সরকারি নির্দেশনা সত্ত্বেও বাজারে মিলছে না নতুন দামের চিনি। রাজধানীর বাজারে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে বাড়ানো হয়েছে চিনির দাম। ঢাকা শহরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ফলে দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । আর এই চিনির দাম বাড়ানোর কারণে সব দোকানে মিলছেও না।

শহরের বিভিন্ন স্থান করে চিনি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি
দেখেছেন এবং কথা বলেছেন-
বিভিন্ন শ্রেণীর প্রান্তিক লোকজনদের সাথে,

গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার। কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। বিভিন্ন অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি। তারপরও মিলছে না সব দোকানে।

অপর প্রান্তে খুচরা পর্যায়ে প্রকাশ্যে খোলা বা প্যাকেটজাত চিনির দেখা না মিললেও, তা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চিনি সংক্রান্ত বিষয় ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে।

এ বিষয়টিতে ব্যবসায়ীদের মন্তব্য, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন আমদানিকারকরা। প্রতি কেজি চিনি ডিলার পয়েন্ট থেকে কিনতে হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়। ফলে বেশি দামে চিনি কেনায় বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে চিনি সংকটে ডিলারদের প্রতি অভিযোগ আঙ্গুল তুলছেন মিল মালিকদের ওপর।

আর চিনির দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন-মিষ্টি ও চিনি ব্যবহৃত বহুজাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনির দাম বাড়ায় মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
যার কারণে মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন করতে তাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে,
বাজারে পর্যাপ্ত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে ক্রেতাদের। এতে চিনির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, আগে চিনি ১১০ টাকা কেজিতে কিনলেও, এখন ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে হুহু করে দাম বাড়ছে, এতে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।

এ অবস্থায় সরকার ও আমদানিকারকদের সমঝোতা ছাড়া বাজারে অস্থিরতা কমবে না বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আমদানিকারকদের একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে-বক্তাদের মাঝে কেউ কেউ বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা এটি সরকারের ব্যর্থতা, আবার কেউ কেউ বলছেন ব্যবসায়ীদের অনেক প্রশ্রয় দিয়ে দিয়েছেন বর্তমান সরকার, যার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, আবার কেউ কেউ বলছেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য যে সরকার এর আগে সবশেষ চলতি মাসের ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য কমায় দেশের বাজারেও সমন্বয় করতে ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ ও প্যাকেটজাত ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পরদিনই দাম আরও বেড়েছে।
এর অর্থ হচ্ছে সরকারের কথার কর্ণপাত করেন না ব্যবসায়ীরা,

বাজার অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের সাথে আলাপ করে দৈনিক সময়ের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, এতে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন,

আগামী নির্বাচনে যদি খাদ্য ব্যবসায়ীদের যদি নমিনেশন প্রদান করে সরকার অথবা বিরোধী দল-তবে তাকে ভোট প্রদান করবেন না, বিশেষ করে যারা খাদ্য ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন,
এ কারণ জানতে চাওয়া হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের মন্তব্য করেছেন যারা জনগণকে জিম্মি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তাদের তো ভোট প্রদান করার প্রশ্নই উঠে না, সেই মানুষটি আওয়ামীলীগ মনোনীত হোক অথবা জামাত ইসলাম, বা স্বতন্ত্র।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাজারে চিনি নিয়ে অস্থিরতা কমছেই না- জনমনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

সরকারের আন্তরিকতার কোন অভাব নেই, পরেও তারপরেও সরকারি নির্দেশনা সত্ত্বেও বাজারে মিলছে না নতুন দামের চিনি। রাজধানীর বাজারে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে বাড়ানো হয়েছে চিনির দাম। ঢাকা শহরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ফলে দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে । আর এই চিনির দাম বাড়ানোর কারণে সব দোকানে মিলছেও না।

শহরের বিভিন্ন স্থান করে চিনি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি
দেখেছেন এবং কথা বলেছেন-
বিভিন্ন শ্রেণীর প্রান্তিক লোকজনদের সাথে,

গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার। কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। বিভিন্ন অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি। তারপরও মিলছে না সব দোকানে।

অপর প্রান্তে খুচরা পর্যায়ে প্রকাশ্যে খোলা বা প্যাকেটজাত চিনির দেখা না মিললেও, তা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চিনি সংক্রান্ত বিষয় ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে।

এ বিষয়টিতে ব্যবসায়ীদের মন্তব্য, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন আমদানিকারকরা। প্রতি কেজি চিনি ডিলার পয়েন্ট থেকে কিনতে হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়। ফলে বেশি দামে চিনি কেনায় বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে চিনি সংকটে ডিলারদের প্রতি অভিযোগ আঙ্গুল তুলছেন মিল মালিকদের ওপর।

আর চিনির দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন-মিষ্টি ও চিনি ব্যবহৃত বহুজাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনির দাম বাড়ায় মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
যার কারণে মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন করতে তাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে,
বাজারে পর্যাপ্ত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে ক্রেতাদের। এতে চিনির ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, আগে চিনি ১১০ টাকা কেজিতে কিনলেও, এখন ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে হুহু করে দাম বাড়ছে, এতে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে।

এ অবস্থায় সরকার ও আমদানিকারকদের সমঝোতা ছাড়া বাজারে অস্থিরতা কমবে না বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আমদানিকারকদের একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে হবে-বক্তাদের মাঝে কেউ কেউ বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা এটি সরকারের ব্যর্থতা, আবার কেউ কেউ বলছেন ব্যবসায়ীদের অনেক প্রশ্রয় দিয়ে দিয়েছেন বর্তমান সরকার, যার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, আবার কেউ কেউ বলছেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য যে সরকার এর আগে সবশেষ চলতি মাসের ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য কমায় দেশের বাজারেও সমন্বয় করতে ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ ও প্যাকেটজাত ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পরদিনই দাম আরও বেড়েছে।
এর অর্থ হচ্ছে সরকারের কথার কর্ণপাত করেন না ব্যবসায়ীরা,

বাজার অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকদের সাথে আলাপ করে দৈনিক সময়ের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, এতে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন,

আগামী নির্বাচনে যদি খাদ্য ব্যবসায়ীদের যদি নমিনেশন প্রদান করে সরকার অথবা বিরোধী দল-তবে তাকে ভোট প্রদান করবেন না, বিশেষ করে যারা খাদ্য ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন,
এ কারণ জানতে চাওয়া হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের মন্তব্য করেছেন যারা জনগণকে জিম্মি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তাদের তো ভোট প্রদান করার প্রশ্নই উঠে না, সেই মানুষটি আওয়ামীলীগ মনোনীত হোক অথবা জামাত ইসলাম, বা স্বতন্ত্র।