ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের অবহেলায় মহাসড়ক অনিরাপদ, জনদুর্ভোগ চরমে

মহাম্মদপুরে ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মোঃ শফিকুল ইসলাম, মহাম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৯১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামে মাঠে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রত্যেকটা ক্ষেতেই এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, যদিও এখনো মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারে নাই, যদি কোন দুর্যোগবিহীন ফসলগুলো ঘরে তুলতে পারে তখন দেখা যাবে প্রত্যেক কৃষকের মুখে সোনালী হাসি।বিশেষ করে উপজেলার বড়রিয়া গ্রামের কানা বিল নামে পরিচিত একটি বিল রয়েছে ,এই বিলে প্রায় ২৫০০একর বা ৯ হাজার শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন এলাকার কৃষকেরা। প্রত্যেকটা কৃষকের কাছ থেকেই দেখা দিয়েছে চিরচেনা মিষ্টি হাসি। একই গ্রামের একজন কৃষক মোঃ গোলাম রব্বানীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন,আমরা ক্ষেতে যতটুকু পরিশ্রম করেছি সার ওষুধ পানি খরচ করেছি ,সে হিসাবে আল্লাহতালা আমাদেরকে ভালই ফলন দিয়েছেন , একর প্রতি ৮০ থেকে ৮৫ মণ ধান হবে বলে আমরা আশা করছি।এতে আমরা সকল কৃষকই আনন্দিত,এই খুশি এলাকার সকলের জন্য, এই হাসি সারা বাংলাদেশের জন্য, তিনি আরো জানান এক মন ধান উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ আমাদের হয়ে থাকে সেই সমন্বয়ে যেন বাংলাদেশ সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করে মন প্রতি। তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে বলে আশাবাদী ।আসলেই এই মাঠ সহ যেকোনো ধানের ক্ষেতে গেলেই সোনালী রঙের ধান যেন মন জুড়িয়ে দেয় প্রতিটি মানুষের। ধানের পাতা যখন আরেকটি পাতার সঙ্গে মিশে শব্দ সৃষ্টি হয় ,তা যেন কবির ভাষায় বলতে ইচ্ছা হয়,
আমার সোনার বাংলা।
আমি তোমায় ভালোবাসি। বিকেলের আকাশে কিসের ছন্দ, ধানের ক্ষেতে খাঁটি সোনার গন্ধ। সাইফুর রহমান আরো বলেন আমাদের যে পরিমাণ ধানের উৎপাদন হয়েছে আশা করি এলাকার সকলের কিছুটা দুঃখ কষ্ট দূর হবে বলে আমি মনে করি , এই এলাকার দিনমজুরি গরিব যারা আছে তারা এ ধানের ক্ষেতে শ্রম দিয়ে ও তারা আয়ের উৎস খুঁজে পাবেন ,এভাবেই আমাদের এলাকাসহ প্রতিটি উপজেলা, জেলা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রতিটি মানুষের জীবন। এরকম সোনার ফসল প্রতিটি জেলায় উৎপাদন হবে ,এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, বাংলাদেশের ধানসহ যত ফসলাদি আছে প্রতিটি ফসল উৎপাদনের জন্য যে সার ওষুধ পানির প্রয়োজন সেগুলো ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে যদি রাখেন, তাহলে প্রতিটি কৃষকই যার যতটুকুই জমি থাকবে সেখানেই ফসল উৎপাদনের জন্য চেষ্টা করবে। উৎপাদন করতে আগ্রহী হবে। এবারের ধানের বাম্পার ফলন পুরো বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনুক সুখ ও শান্তির বার্তা। কিছু কিছু মাঠ থেকে ধান কাটা তো শুরু হয়েছে বৈশাখ জৈষ্ঠ মাস সহ এই ধান কাটা চলবে ,এই ধান যখন বাড়িতে আসবে প্রতিটি বাড়িতেই যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসবে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মন ,নতুন ধানের নতুন পিঠা বানাইতে ধুম পারবে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি গৃহবধূরা ধান মারানোর কাজে ব্যস্ত থাকবে মনে থাকবে অফুরন্ত আশা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহাম্মদপুরে ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ১১:২১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এবার উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামে মাঠে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রত্যেকটা ক্ষেতেই এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, যদিও এখনো মাঠ থেকে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারে নাই, যদি কোন দুর্যোগবিহীন ফসলগুলো ঘরে তুলতে পারে তখন দেখা যাবে প্রত্যেক কৃষকের মুখে সোনালী হাসি।বিশেষ করে উপজেলার বড়রিয়া গ্রামের কানা বিল নামে পরিচিত একটি বিল রয়েছে ,এই বিলে প্রায় ২৫০০একর বা ৯ হাজার শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছেন এলাকার কৃষকেরা। প্রত্যেকটা কৃষকের কাছ থেকেই দেখা দিয়েছে চিরচেনা মিষ্টি হাসি। একই গ্রামের একজন কৃষক মোঃ গোলাম রব্বানীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন,আমরা ক্ষেতে যতটুকু পরিশ্রম করেছি সার ওষুধ পানি খরচ করেছি ,সে হিসাবে আল্লাহতালা আমাদেরকে ভালই ফলন দিয়েছেন , একর প্রতি ৮০ থেকে ৮৫ মণ ধান হবে বলে আমরা আশা করছি।এতে আমরা সকল কৃষকই আনন্দিত,এই খুশি এলাকার সকলের জন্য, এই হাসি সারা বাংলাদেশের জন্য, তিনি আরো জানান এক মন ধান উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ আমাদের হয়ে থাকে সেই সমন্বয়ে যেন বাংলাদেশ সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করে মন প্রতি। তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক হবে বলে আশাবাদী ।আসলেই এই মাঠ সহ যেকোনো ধানের ক্ষেতে গেলেই সোনালী রঙের ধান যেন মন জুড়িয়ে দেয় প্রতিটি মানুষের। ধানের পাতা যখন আরেকটি পাতার সঙ্গে মিশে শব্দ সৃষ্টি হয় ,তা যেন কবির ভাষায় বলতে ইচ্ছা হয়,
আমার সোনার বাংলা।
আমি তোমায় ভালোবাসি। বিকেলের আকাশে কিসের ছন্দ, ধানের ক্ষেতে খাঁটি সোনার গন্ধ। সাইফুর রহমান আরো বলেন আমাদের যে পরিমাণ ধানের উৎপাদন হয়েছে আশা করি এলাকার সকলের কিছুটা দুঃখ কষ্ট দূর হবে বলে আমি মনে করি , এই এলাকার দিনমজুরি গরিব যারা আছে তারা এ ধানের ক্ষেতে শ্রম দিয়ে ও তারা আয়ের উৎস খুঁজে পাবেন ,এভাবেই আমাদের এলাকাসহ প্রতিটি উপজেলা, জেলা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রতিটি মানুষের জীবন। এরকম সোনার ফসল প্রতিটি জেলায় উৎপাদন হবে ,এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, বাংলাদেশের ধানসহ যত ফসলাদি আছে প্রতিটি ফসল উৎপাদনের জন্য যে সার ওষুধ পানির প্রয়োজন সেগুলো ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে যদি রাখেন, তাহলে প্রতিটি কৃষকই যার যতটুকুই জমি থাকবে সেখানেই ফসল উৎপাদনের জন্য চেষ্টা করবে। উৎপাদন করতে আগ্রহী হবে। এবারের ধানের বাম্পার ফলন পুরো বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনুক সুখ ও শান্তির বার্তা। কিছু কিছু মাঠ থেকে ধান কাটা তো শুরু হয়েছে বৈশাখ জৈষ্ঠ মাস সহ এই ধান কাটা চলবে ,এই ধান যখন বাড়িতে আসবে প্রতিটি বাড়িতেই যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসবে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মন ,নতুন ধানের নতুন পিঠা বানাইতে ধুম পারবে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি গৃহবধূরা ধান মারানোর কাজে ব্যস্ত থাকবে মনে থাকবে অফুরন্ত আশা।