ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভা করেছেন গাজীপুর ৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি সিএমপি চট্টগ্রাম হালিশহর থানা পুলিশের অভিযানে দেশীয় তৈরী বিপুল পরিমাণ চোলাই মদসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক আয়কর না দেওয়ায় রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র স্থগিত উখিয়ায় কুরআনের পাখিদের পাগড়ী বিতরণ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন উখিয়ায় বেড়েছে স্মার্ট ফোনে লুডু খেলা, আসক্তের পথে যুব ও ছাত্র সমাজ জনগণের অংশগ্রহণই নেই, সেখানে কিসের আচরণবিধি লঙ্ঘন’ আবারো বাড়ল এলপিজির দাম ২৩ টাকা আ’লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের ৮ গুপ্তচর নৌসদস্যের মৃত্যুদণ্ড রদ করতে কাতারে মোদি! ইসরাইলকে শায়েস্তা করতে সবকিছু করবে তুরস্ক: এরদোগান

জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত আজ

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৫০ ০.০০০ বার পাঠক

বিশেষ প্রতিনিধি।।

 বুধবার ২৮ মাঘ ১৪২৭, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ঢাকা, বাংলাদেশ
সর্বশেষ

জামুকার সভা ॥ জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

জামুকার সভা ॥ জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও কাটা পড়ছে।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো সুপারিশ আকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান এমপি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামুকার বৈঠকে জিয়াউর রহমান, শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের নামে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নাম বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের আরও ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া হবে।’

এছাড়া এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বহালের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান শাজাহান খান। এর আগে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াহিদুর রহমান ও হাফিজুর রহমান মুন্সীর গেজেট ও সনদ বাতিল করেছিল মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বীর উত্তম’, শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান ‘বীর প্রতীক’ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকায় ছিল খন্দকার মোশতাকের নাম।

এদের মধ্যে শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

আদালত এসব খুনির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করলেও রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের মর্যাদা বাতিল করেনি। গত বছরের ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেহ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করার সুপারিশ করলে ৫ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জামুকার বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভা করেছেন গাজীপুর ৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি

জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত আজ

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি।।

 বুধবার ২৮ মাঘ ১৪২৭, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ঢাকা, বাংলাদেশ
সর্বশেষ

জামুকার সভা ॥ জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

জামুকার সভা ॥ জিয়ার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নামও কাটা পড়ছে।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো সুপারিশ আকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান এমপি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামুকার বৈঠকে জিয়াউর রহমান, শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের নামে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নাম বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের আরও ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে বাদ দেয়া হবে।’

এছাড়া এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বহালের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান শাজাহান খান। এর আগে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াহিদুর রহমান ও হাফিজুর রহমান মুন্সীর গেজেট ও সনদ বাতিল করেছিল মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বীর উত্তম’, শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান ‘বীর প্রতীক’ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকায় ছিল খন্দকার মোশতাকের নাম।

এদের মধ্যে শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

আদালত এসব খুনির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করলেও রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের মর্যাদা বাতিল করেনি। গত বছরের ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার সভায় বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেহ উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করার সুপারিশ করলে ৫ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জামুকার বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিল করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।