ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর পিডি কামাল খান এখনো বহাল★ ভূয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। ★ কানাডাতে সেকেন্ড হোম হিসেবে দশ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ক্রয় করে ছেলের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

মোংলায় ডুবে যাওয়া শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ জাহাজের সব সার মিশলো পানিতে

আসলাম হোসেন,মোংলা (বাগেরহাট):
  • আপডেট টাইম : ০১:১৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২১৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বাগেরহাটে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ এর ৫০০ টন সার পানিতে মিশে গেছে। জাহাজটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে, সার উত্তোলনের চেষ্টা করলেও কিছুই মেলেনি, সবটাই নদীতে তলিয়ে গেছে।গত ২৫ জানুয়ারি রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ নামের জাহাজটি ডুবে যায়। এতে কানাডা থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আমদানি করা ৫০০ টন সার ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া সময়ে জাহাজটির উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটির মালিকপক্ষও এটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের মালিক আজাহার সিদ্দিক বলেন, ‘লাইটার জাহাজ এবং জাহাজে থাকা সার উদ্ধারে নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পর মোংলা ও খুলনার ডুবুরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুরুতে তারা জাহাজের সার অপসারণের চেষ্টা চালায়। তবে কোনও সার পাওয়া যায়নি। পুরো সারই নদীতে তলিয়ে গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজটি উদ্ধার করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ধরনের নৌযান রওনা হয়েছে। ২০ দিনের মধ্যে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’এদিকে সার নদীতে মিশে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ভিদে পোকামাকড় ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ ঠেকাতে এই সার ব্যবহার করা হয়। এই সারে ৫০ ভাগ পটাসিয়াম থাকে। এতে জলজ সম্পদের ক্ষতিসহ পাশের সুন্দরবনের পরিবেশও নষ্ট হবে।’এই সারের খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজের মালিক এস এম মোস্তাক মিঠু বলেন, ‘কানাডা থেকে এই সার আমদানি করছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন। তবে দুর্ঘটনার কারণে এই সার নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি মোংলায় জাহাজটি ডুবে যায়। এখন জাহাজ উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।’

গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় সারবোঝাই জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে নয় জন কর্মচারী ছিলেন। সবাইকে‌ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে‌ কোস্টগার্ড প‌শ্চিম জোন।মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ টন সার নিয়ে জাহাজ‌টি যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে রওনা দি‌য়ে‌ছি‌ল। হারবাড়িয়া-৮ এলাকায় সুপ্রিম ভ্যালর নামের এক‌টি বিদেশি জাহাজকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে জাহাজটি। এ সময় ঘন কুয়াশায় লাইটার জাহাজটি বিদেশি ওই জাহাজকে ধাক্কা দেয়। এতে জাহাজটির নি‌চের অংশ ক্ষ‌তিগ্রস্ত হলে ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে জাহাজের নয় কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ‌ দেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এখনও এটি উদ্ধার করা যায়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় ডুবে যাওয়া শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ জাহাজের সব সার মিশলো পানিতে

আপডেট টাইম : ০১:১৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাগেরহাটে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ এর ৫০০ টন সার পানিতে মিশে গেছে। জাহাজটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে, সার উত্তোলনের চেষ্টা করলেও কিছুই মেলেনি, সবটাই নদীতে তলিয়ে গেছে।গত ২৫ জানুয়ারি রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শাহজালাল এক্সপ্রেস-২ নামের জাহাজটি ডুবে যায়। এতে কানাডা থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আমদানি করা ৫০০ টন সার ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া সময়ে জাহাজটির উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটির মালিকপক্ষও এটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের মালিক আজাহার সিদ্দিক বলেন, ‘লাইটার জাহাজ এবং জাহাজে থাকা সার উদ্ধারে নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পর মোংলা ও খুলনার ডুবুরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুরুতে তারা জাহাজের সার অপসারণের চেষ্টা চালায়। তবে কোনও সার পাওয়া যায়নি। পুরো সারই নদীতে তলিয়ে গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজটি উদ্ধার করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ধরনের নৌযান রওনা হয়েছে। ২০ দিনের মধ্যে এটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’এদিকে সার নদীতে মিশে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ভিদে পোকামাকড় ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ ঠেকাতে এই সার ব্যবহার করা হয়। এই সারে ৫০ ভাগ পটাসিয়াম থাকে। এতে জলজ সম্পদের ক্ষতিসহ পাশের সুন্দরবনের পরিবেশও নষ্ট হবে।’এই সারের খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজের মালিক এস এম মোস্তাক মিঠু বলেন, ‘কানাডা থেকে এই সার আমদানি করছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন। তবে দুর্ঘটনার কারণে এই সার নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি মোংলায় জাহাজটি ডুবে যায়। এখন জাহাজ উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।’

গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় সারবোঝাই জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে নয় জন কর্মচারী ছিলেন। সবাইকে‌ জীবিত অবস্থায় উদ্ধার ক‌রে‌ কোস্টগার্ড প‌শ্চিম জোন।মোংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ টন সার নিয়ে জাহাজ‌টি যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে রওনা দি‌য়ে‌ছি‌ল। হারবাড়িয়া-৮ এলাকায় সুপ্রিম ভ্যালর নামের এক‌টি বিদেশি জাহাজকে অতিক্রম করার চেষ্টা করে জাহাজটি। এ সময় ঘন কুয়াশায় লাইটার জাহাজটি বিদেশি ওই জাহাজকে ধাক্কা দেয়। এতে জাহাজটির নি‌চের অংশ ক্ষ‌তিগ্রস্ত হলে ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে জাহাজের নয় কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ‌ দেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এখনও এটি উদ্ধার করা যায়নি।