ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

মোঃনাইমুর রহমান তালুকদার রহমান , শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৮২ ১৫০০০.০ বার পাঠক

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার

ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো.
আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না
হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা.
নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক,
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার

ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো.
আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না
হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা.
নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক,
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।