ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

মোঃনাইমুর রহমান তালুকদার রহমান , শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • / ১৩৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার

ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো.
আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না
হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা.
নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক,
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:২৩ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শেরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার

ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মকবুল হোসেন ওরফে লালে (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. ইমান আলী শেখ আসামির
উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। আসামি মকবুল হোসেন সদর উপজেলার মির্জাপুর কান্দিপাড়া গ্রামের মো.
আশরাফ আলীর ছেলে ও তিন সন্তানের জনক। এদিকে একই ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত না
হওয়ায় মকবুল হোসেনের মা বকুলা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম
কিবরিয়া বুলু জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে মকবুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
ঝিনাইগাতী উপজেলার বাতিয়াগাঁও গ্রামের মো. রেফাজ উদ্দিনের মেয়ে মোছা.
নুরুন্নাহারের। দাম্পত্য জীবনে ২ মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তাদের সংসারে। কিন্তু ঘটনার ২/৩ বছর পূর্বে থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নুরুন্নাহারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী মকবুল হোসেন। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নাহারকে যৌতুকের দাবিতে প্রচণ্ড মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করার পর মুখে বিষ ঢেলে তার লাশ জেলা সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় মকবুল হোসেন। ওই ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নাহারের বড় ভাই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মকবুল হোসেনসহ ৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং একইদিন মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২ নভেম্বর আসামি মকবুল হোসেন ও তার মা বকুলা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই শরীফ হোসেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক,
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার মা বকুলা বেগমকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।