ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

বান্দরবানের পাহাড়ের ঢালুতে বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ঠান্ডা আলু

বান্দরবানের লামা উপজেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ঠান্ডা আলু। জুমের ধান উৎপাদনের চেয়ে ঠান্ডা আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। অথচ একসময় এই ঠান্ডা আলু জুমের সাথী ফসল হিসেবে ধানের সাথে সেটাকে চাষ করা হতো।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঢালু জমিতে জঙ্গল কেটে শুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পরিষ্কার করে পাহাড়িরা এক ধরণের চাষাবাদ করে সেটাকে জুম চাষ বলা হয়। এই জুমচাষে ধানের সাথে ৩০ থেকে ৩৫ প্রকার সাথী ফসল করা হয়। এই সাথী ফসলের একটি পাহাড়ি ফলন ঠান্ডা আলু। এই আলু জুমের ধানের সাথে বপন করা হতো।

জুমের ধান সেপ্টেম্বর-অক্টেবরে কাটা শেষ হলে ঠান্ডা আলু ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে জুমিয়ারা যখন বিভিন্ন আলু, বেগুন, মরিচ তিল, যব উত্তোলনের সময় যখন ক্লান্ত-ক্ষুধার্ত হতো ঠিক সে সময় ঠান্ডা আলু খেয়ে শরীরে প্রাণ শক্তি ফিরে পেত। আগে শুধু খাওয়ার জন্য চাষ করা হতো কিন্তু কালের আবর্তনে এখন উঁচু পতিত জমিতে ঠান্ডা আলুর চাষ হচ্ছে। আর হাট-বাজারে বিক্রি করে চাষিরা লাভবানও হচ্ছেন।

সরেজমিনে লামা বাজার ও পাহাড়ি বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, সাপ্তাহিক হাটের দিন জুমিয়া কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ঠান্ডা আলু বিক্রি করছেন। এর মধ্যে অনেকে তাদের কাছ থেকে পাইকারি দরে ঠান্ডা আলু কিনে নেন। ক্রেতারা জানান, ৫-৬ টি আলুর এক একটি গোছা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

লামা উপজেলার রুপসী পাড়ার বাসিন্দা মিসেস নু হ্লামে মারমা (৪০)বলেন, উঁচু জমিগুলোতে অন্যান্য ফসল কম হওয়াতে গত দুইবছর ধরে ঠান্ডা আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি। ৪০শতক জায়গায় এবছর প্রায় ৬০ মণ ঠান্ডা আলু পেয়েছি। পাইকারি প্রতিমণ ১৬শ টাকা করে প্রায় ৯৬ হাজার টাকার ঠান্ডা আলু বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসার অধিদফতরের উপপরিচালক এমএম শাহনেওয়াজ বলেন,জুমের ঠান্ডা আলু বাণুজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

বান্দরবানের পাহাড়ের ঢালুতে বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ঠান্ডা আলু

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

বান্দরবানের লামা উপজেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ঠান্ডা আলু। জুমের ধান উৎপাদনের চেয়ে ঠান্ডা আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা। অথচ একসময় এই ঠান্ডা আলু জুমের সাথী ফসল হিসেবে ধানের সাথে সেটাকে চাষ করা হতো।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঢালু জমিতে জঙ্গল কেটে শুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলে পরিষ্কার করে পাহাড়িরা এক ধরণের চাষাবাদ করে সেটাকে জুম চাষ বলা হয়। এই জুমচাষে ধানের সাথে ৩০ থেকে ৩৫ প্রকার সাথী ফসল করা হয়। এই সাথী ফসলের একটি পাহাড়ি ফলন ঠান্ডা আলু। এই আলু জুমের ধানের সাথে বপন করা হতো।

জুমের ধান সেপ্টেম্বর-অক্টেবরে কাটা শেষ হলে ঠান্ডা আলু ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে জুমিয়ারা যখন বিভিন্ন আলু, বেগুন, মরিচ তিল, যব উত্তোলনের সময় যখন ক্লান্ত-ক্ষুধার্ত হতো ঠিক সে সময় ঠান্ডা আলু খেয়ে শরীরে প্রাণ শক্তি ফিরে পেত। আগে শুধু খাওয়ার জন্য চাষ করা হতো কিন্তু কালের আবর্তনে এখন উঁচু পতিত জমিতে ঠান্ডা আলুর চাষ হচ্ছে। আর হাট-বাজারে বিক্রি করে চাষিরা লাভবানও হচ্ছেন।

সরেজমিনে লামা বাজার ও পাহাড়ি বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, সাপ্তাহিক হাটের দিন জুমিয়া কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ঠান্ডা আলু বিক্রি করছেন। এর মধ্যে অনেকে তাদের কাছ থেকে পাইকারি দরে ঠান্ডা আলু কিনে নেন। ক্রেতারা জানান, ৫-৬ টি আলুর এক একটি গোছা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

লামা উপজেলার রুপসী পাড়ার বাসিন্দা মিসেস নু হ্লামে মারমা (৪০)বলেন, উঁচু জমিগুলোতে অন্যান্য ফসল কম হওয়াতে গত দুইবছর ধরে ঠান্ডা আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি। ৪০শতক জায়গায় এবছর প্রায় ৬০ মণ ঠান্ডা আলু পেয়েছি। পাইকারি প্রতিমণ ১৬শ টাকা করে প্রায় ৯৬ হাজার টাকার ঠান্ডা আলু বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসার অধিদফতরের উপপরিচালক এমএম শাহনেওয়াজ বলেন,জুমের ঠান্ডা আলু বাণুজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।